SSC 1st Week Assignment Answer 2021

SSC 1st Week Assignment Answer 2021 has been published. 1st Week SSC Assignment Answer 2021 has been Solved by Our Educational Team. SSC History of Bangladesh and World Civilization Assignment Solution 2021 1st Week is an important task for the students. All information on SSC 1st Week Physics Assignment Solution 2021 of SSC Exam 2021 is available below. SSC 1st Week Economics Assignment Answer 2021, SSC 1st Week Biology Assignment Answer 2021, SSC 1st Week Finance and Banking Assignment Answer 2021 and SSC 1st Week Business Entrepreneurship Assignment Answer 2021 is a significant assignment for the students. The directorate of secondary and higher education has already released the assignment syllabus. You Must Submit Your Assignment Your School. See detail of SSC 1st Week Assignment Answer 2021.

 

 

 

SSC 1st Week Assignment Answer 2021: 

Assignment Type: SSC Assignment

SSC 1st Week Assignment Publish Date: 18 July 2021  

Assignment Level: SSC Examinee 

1st Phase Assignment: 1 to 3 week

Board: All Educational Board       

SSC 1st Week Assignment Subject Name: 

1. History of Bangladesh and World Civilization/Physics/Business Entrepreneurship

2. Economics/Biology/Finance and Banking

Note: নিচে ১ম সপ্তাহের এসএসসির বিভিন্ন বিষয়ের এ্যাসাইনমেন্টের সমাধান দেওয়া আছে।   

 

Subject Name: History of Bangladesh and World Civilization

Question: “মানব জীবনে ইতিহাস” শীর্ষক প্রবন্ধ (৩০০ শব্দের মধ্যে)”

শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ

১। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণা, স্বরূপ ও পরিসর ব্যাখ্যা করতে পারবে।

২। ইতিহাসের উপাদান ও প্রকারভেদ বর্ণনা করতে পারবে।

৩। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহী হবে।

Answer: 

“মানব জীবনে ইতিহাস”

ইংরেজী History শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে এসেছে ইতিহাস শব্দটি। আর ইংরেজী History শব্দটি এসেছে গ্রিক ও ল্যাটিন Historia শব্দ থেকে। যার অর্থ হচ্ছে সত্যানুসন্ধান বা গবেষণা। একটি দেশের অন্যতম সম্পদ সে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের মূল্যায়ন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তা সঠিক ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন। আবার একইভাবে সে দেশের রাষ্ট্রীয় দীনতা প্রকাশ পায় ইতিহাস ঐতিহ্যকে ভুলে যাওয়া, অবমূল্যায়ন অথবা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করার মধ্য দিয়ে। উন্নয়নের অন্যতম ভীত ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঠিক চর্চা এবং আমাদের সূর্য সন্তানদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। কারণ, টেকসই উন্নয়নের অন্যতম উপাদান হলো প্রত্যেকটি দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের চর্চা ও যথাযোগ্য মূল্যায়ন। ইতিহাস রচনার উপাদান সাধারনত দুইভাগে বিভক্ত-যেমনলিখিত উপাদান ও অলিখিত উপাদান। লিখিত উপাদানের মধ্যে সাহিত্যনথিপত্রজীবনী প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত। যেমন বেদকৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র‘, কলহনের রাজতরঙ্গিনী‘, মিনহাজ-উস-সিরাজের তবাকাত-ই-নাসিরী‘, আবুল ফজলের আইন-ই-আকবরী‘ ইত্যাদি। অলিখিত উপাদান মূলত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। মূর্তিস্মৃতিস্তম্ভমুদ্রালিপিইমারত ইত্যাদি প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান। যেমন- ভারতের সিন্ধু সভ্যতাবাংলাদেশের মহাস্থানগড়পাহাড়পুরময়নামতি ইত্যাদি।

 

ইতিহাস রচনার অন্যতম উপকরণ হচ্ছে  মুদ্রা। সাহিত্য ও শিলালিপি থেকে যে সব তথ্য পাওয়া যায় সেগুলির সত্যতা যাচাই করতে মুদ্রা যথেষ্ট সাহায্য করে থাকে । মুদ্রাগুলিতে সাধারণত রাজার নাম, সন-তারিখ, রাজার মূর্তি ও নানা দেবদেবীর মূর্তি খোদাই করা থাকে । ইতিহাসের উপাদান হিসেবে এগুলি অতি গুরুত্বপূর্ণ । কেবলমাত্র রাজার নাম, রাজত্বকাল, ধর্মমত বা তাঁর শখ নয়— এইসব মুদ্রাগুলি থেকে একটি রাজ্যের ধাতুশিল্প, শিল্পকলা, রাজ্যে ব্যবহৃত লিপি এবং রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থার সম্যক পরিচয় পাওয়া যায় । এছাড়া বিদেশীয় লেখকের বিবরণ এবং প্রাচীন লিপি মুদ্রা ও অতীতের অন্যান্য স্মৃতিচিহ্নই ইতিহাস রচনার উপকরণ। এ পর্যন্ত যে উপকরণগুলি আবিষ্কৃত হয়েছে, তার সাহায্যে যতদূর পুরাতন ঐতিহাসিক কাহিনী বিবৃত হয়েছে ইহা বাংলার ইতিহাস নয়, তার কঙ্কালমাত্র।

 

পঠন-পাঠন, আলোচনা ও গবেষণাকর্মের সুবিধার্থে ইতিহাসকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা- ভৌগোলিক অবস্থানগত ইতিহাস ও বিষয়বস্তুগত ইতিহাস।

(১) ভৌগোলিক অবস্থানগত ইতিহাসঃ যে বিষয়টি ইতিহাসে স্থান পেয়েছে, তা কোন প্রেক্ষাপটে রচিত- স্থানীয়, জাতীয় না আন্তর্জাতিক। এভাবে ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে শুধু বোঝার সুবিধার্থে ইতিহাসকে আবারও তিনভাগে ভাগ করা যায়, যথা- স্থানীয় বা আঞ্চলিক ইতিহাস, জাতীয় ইতিহাস ও আন্তর্জাতিক ইতিহাস।

(২) কোনো বিশেষ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে যে ইতিহাস রচিত হয়, তাকে বিষয়বস্তুগত ইতিহাস বলা হয়। ইতিহাসের বিষয়বস্তুর পরিসর ব্যাপক। তবু সাধারণভাবে একে পাঁচভাগে ভাগ করা যায়, যথা- রাজনৈতিক ইতিহাস, সামাজিক ইতিহাস, অর্থনৈতিক ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ইতিহাস, কূটনৈতিক ইতিহাস ও সাম্প্রতিক ইতিহাস।

 

 

Subject Name: Physics 

অধ্যায় ও শিরােনামঃ প্রথম: ভৌত রাশি এবং পরিমাপ

Question: 

একটা প্রজেক্টের মডেল তৈরি করার জন্য তােমার মােটা আর্ট পেপারের প্রয়ােজন। আবার কোভিড মহামারির কারণে তােমার পরিচিত স্টেশনারির দোকানটিও খুলছেনা। যে দোকানটি খােলা আছে তার দোকানি অসাধু বলে লােকালয়ে দুর্নাম আছে। কিন্তু বাধ্য হয়ে তার কাছ থেকেই তােমাকে এখন কাগজ কিনতে হবে। দোকানি তােমাকে যে কাগজ দিয়েছে তার মান ১৬০ গ্রাম/মি বলে দাবী করছে। মডেলিং কাগজের প্রতি পাতার সাইজ ৬৫ সেমিx ৭৫ সেমি। তুমি স্থির করলে যে দোকানির কথাটা যাচাই করে দেখবে। বাসায় তােমার কাছে যে মাপার ফিতা আছে তা দিয়ে ২ সেমি এর ছােটো কোনাে কিছুর পরিমাপ করা যায়না। আর তােমার বাসায় রান্নার মালমশলা মাপার জন্য যে ডিজিটাল নিক্তি আছে তাতে ২০ গ্রামের নীচে কোনাে ভর রেকর্ড হয় না । তার মানে ৮ গ্রামের কোনাে বস্তুর ভর সঠিকভাবে মাপতে গেলে তােমাকে ৫টি বস্তু নিতে হবে। যাতে তাদের সম্মিলিত ভর ৪০ গ্রাম হয় যা ২০ গ্রামের গুণিতক। তােমার অন্য কোনাে যন্ত্র ব্যবহারের সুযােগ নেই।

(ক) কাগজের মান যে একক দিয়ে মাপা হচ্ছে তার মাত্রা কত?

(খ) কিলােগ্রামে মাপলে এই মানের একক কী দাঁড়াবে?

(গ) এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তােমাকে কমপক্ষে কতগুলাে কাগজ কিনতে হবে? তােমার হিসেবের স্বপক্ষে যুক্তি দেখাও।

(ঘ) কাগজের প্যাকেটের গায়ে যদি মান লেখা থাকে (১২০°.৫) গ্রাম/মি তার অর্থ হচ্ছে মানটি আসলে ১১৯.৫ হতে ১২০.৫ এককের এর মাঝে রয়েছে। এখানে চূড়ান্ত কটির মান ৫ একক তােমার নির্ণীত মানের কতটুকু সূক্ষ্ম বা নির্ভুল?

Answer: 

ক)

এখানে, কাগজের মান ১৬০ গ্রাম/মিটার

গ্রাম(g), ভরের মাত্রা = M

মিটার(m), দৈর্ঘ্যের মাত্রা =L

সুতরাং, মাত্রা = M/L2

=ML-2

খ) 

দেওয়া আছে,

কাগজের মান গ্রাম এককে = 160 gm/m2

1 kg = 1000 gm

সুতরাং, 1 gm =1/1000  kg

সুতরাং, কিলোগ্রাম এককে হবে = 160 gm/m2

= 160 x (1/1000)  kg/m2

=160 x 10-3 kg/m2

= 0.16 kg/m2

গ) 

দেওয়া আছে,  প্রতি খাতার সাইজ = ৬৫ সে.মি. x ৭৫ সে.মি.

সুতরাং, প্রতি খাতার ক্ষেত্রফল = (৬৫ x ৭৫) বর্গ সেন্টিমিটার

= ৪৮৭৫ বর্গ সে.মি.

=(৪৮৭৫/১০০০০) বর্গ মি.                        [১ বর্গ মি. = ১০০০০ বর্গ সে.মি.]

= ০.৪৮৭৫ মি.

এখানে, কাগজের মান = ১৬০ গ্রাম/মি.

অর্থাৎ, ১ বর্গমিটার কাগজের ভর ১৬০ গ্রাম

সুতরাং, ০.৪৮৭৫ বর্গমিটার কাগজের ভর = (১৬০ x ০.৪৮৭৫) গ্রাম

=৭৮ গ্রাম

একটি কাগজের ভর ৭৮ গ্রাম। যেহেতু নিক্তিটি ২০ গ্রাম ভরের গুণিতক হিসেবে পরিমাপ করে,  তাই ২০ এর গুণিতক আকারে ভর হিসাবের জন্য (৭৮ x ১০) গ্রাম বা ৭৮০ গ্রাম অর্থাৎ ১০ টি কাগজ কিনতে হবে।  কারণ ৭৮০ গ্রাম; যা ২০ এর গুণিতক।

সুতরাং সর্বনিম্ন ১০ টি কাগজ একসাথে কিনতে হবে।

ঘ) 

এসএসসি পরীক্ষা ২০২১ পদার্থ বিজ্ঞান ১ম এ্যাসাইনমেন্ট এর বাছাইকরা উত্তর

 

Subject Name: Biology 

Question:

খালি চোখে লক্ষ্যণীয় উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য এবং টিস্যুর শ্রমবন্টন নির্ণয়।

Answer: 

উদ্ভিদ কোষের বৈশিষ্ট্য

উদ্ভিদ কোষের চারিদিকে সেলুলোজ বিবাহিত জলপ্রপাতের বিদ্যমান থাকে যার নিচে প্লাজমা ঝিল্লির অবস্থান করে। কিছু নিম্ন শ্রেণীর উদ্ভিদ ছাড়া অধিকাংশ উদ্ভিদ কোষে প্লাস্টিড দেখা দেয় তবে ছত্রাক ব্যক্তিরা ইত্যাদিতে প্লাস্টিক বিদ্যমান থাকে না। উদ্ভিদ কোষে কোন সেন্ট্রোজোম থাকে না ব্যক্তিগত কিছু সৌবল মহসড়কে সেন্ট্রোজোম পরিলক্ষিত করা যায়।
সাধারণত বড় আকারের এক বা একাধিক কোষগহ্বর থাকে যা অনেকদিন স্থায়ী থাকে। উদ্ভিদ কোষের সাধারণত বড় আকারের এক বা একাধিক কোষগহ্বর থাকে এবং স্থায়ী। পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদ কোষের আকার সাধারণত পরিবর্তিত হয় না প্লাজমা পর্দার মাইক্রোভিলাই থাকে না।
https://i.imgur.com/8z2nSZw.jpg
https://i.imgur.com/4i0xTpJ.jpg

Subject Name: Business Entrepreneurship

Question: 

বাংলাদেশে ব্যবসায় সম্প্রসারণে ব্যবসায় পরিবেশের প্রভাব বিশ্লেষণ।

শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ

১. ব্যবসায়ের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবাে

২. ব্যবসায়ের প্রকারভেদ বর্ণনা করতে পারবাে

৩. ব্যবসায়ের উপর প্রভাব বিস্তারকারী পরিবেশের উপাদানগুলাে চিহ্নিত করতে পারবাে।

Answer: 

ব্যবসায়ের ধারণা

অর্থশাস্ত্রের পরিভাষায় ব্যবসা এক ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড (বিজ্ঞান) যেখানে নির্দিষ্ট সৃষ্টিশীল ও উৎপাদনীয় লক্ষ্যকে সামনে রেখে বৈধভাবে সম্পদ উপার্জন বা লাভের উদ্দেশ্যে লােকজনকে সংগঠিত করা হয় ও তাদের উৎপাদনীয় কর্মকাণ্ড রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।

ব্যক্তির মুনাফা পাওয়ার আশায় পণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম উৎপাদনের মাধ্যমে উপযােগ সৃষ্টি এবং মানুষের বস্তুগত ও অবস্তুগত অভাব পূরণের লক্ষে সেগুলাে বণ্টন এবং এর সহায়ক সবরকম বৈধ, ঝুঁকিবহুল ও ধারাবাহিক কার্যকে ব্যবসায় বলে।

ব্যবসায়ের প্রকারভেদঃ 

ক. শিল্প:

যে কার্য প্রচেষ্টা বা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এবং এতে উপযােগ সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের ব্যবহার উপযােগী পণ্য প্রস্তুত করা হয় তাকে শিল্প বলে।

প্রজনন শিল্প: অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যে নির্বাচিত উদ্ভিদ ও প্রাণীর বংশবিস্তারকরণ প্রচেষ্টাকে প্রজনন শিল্প বলে।

নিষ্কাশন শিল্প: যে শিল্প প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভূগর্ভ, পানি বা বায়ু হতে সম্পদ উত্তোলন করা হয় তাকে নিষ্কাশন শিল্প বলে।

 

নির্মাণ শিল্প: রাস্তা, ঘাট, ব্রিজ ইত্যাদি নির্মাণ কাজের সাথে জড়িত শিল্পকে নির্মাণ শিল্প বলে।

সেবামূলক শিল্প: সেবা প্রদান কাজের সাথে জড়িত শিল্পকে সেবামূলক শিল্প বলে।

উৎপাদন শিল্প: উৎপাদন কাজের সাথে জড়িত শিল্পকে উৎপাদন শিল্প বলে।

খ. বাণিজ্য:

শিল্পে উৎপাদিত পণ্য প্রকৃত ভােগকারী বা ব্যবহারকারীর নিকট পৌঁছানাের ক্ষেত্রে যে সকল প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়, মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে তা দূরীকরণের জন্য গৃহীত যাবতীয় কাজের সমষ্টিকে বাণিজ্য বলে।

গ. প্রত্যক্ষ সেবা:

ডাক্তারি, আইন বৃত্তি, প্রকৌশলী ইত্যাদি সেবা কাজের সাথে জড়িত কাজকে প্রত্যক্ষ সেবা বলে।

ব্যবসায় পরিবেশের ধারণা

পরিবেশ হলাে কোনাে অঞ্চলের জনগণের জীবনধারা ও অর্থনৈতিক কার্যাবলীকে প্রভাবিত উপাদানের সমষ্টি। পরিবেশ দ্বারা মানুষের জীবনধারা, আচার-আচরণ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং ব্যবসা প্রভাবিত হয়। যে সব প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক উপাদান দ্বারা ব্যবসায়িক সংগঠনের গঠন, কার্যাবলি, উন্নতি ও অবনতি প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে প্রভাবিত হয় সেগুলাের সমষ্টিকে ব্যবসায়িক পরিবেশ বলে। কোনাে স্থানের ব্যবসায় ব্যবস্থার উন্নতি নির্ভর করে ব্যবসায়িক পরিবেশের উপর।

ব্যবসায় পরিবেশের উপাদানসমূহ:

১. প্রাকৃতিক পরিবেশ
২. অর্থনৈতিক পরিবেশ
৩. সামাজিক পরিবেশ
৪. রাজনৈতিক পরিবেশ
৫. প্রযুক্তিগত পরিবেশ
৬. আইনগত পরিবেশ

ব্যবসায় পরিবেশের উপাদন সমূহের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নরূপ:

১. প্রাকৃতিক পরিবেশ: একটি দেশের আবহাওয়া, জলবায়ু, ভূ-প্রকৃতি, মৃত্তিকা, সাগর, নদ-নদী, আয়তন, অবস্থান, প্রাকৃতিক সম্পদ ইত্যাদির সমন্বয়ে যে পরিবেশ গড়ে ওঠে তাকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলে। ” ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করার আগে প্রাকৃতিক বিষয়গুলি বিবেচনা করা উচিত। কারণ ব্যবসায় প্রাকৃতিক পরিবেশ দ্বারা খুব বেশি প্রভাবিত হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন: বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, সুনামি ইত্যাদি ব্যবসায়ের পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারে।

২. অর্থনৈতিক পরিবেশ: কোনাে দেশে জনগণের আয় ও সঞ্চয়, অর্থ ও ঋণ ব্যবস্থা, বিনিয়ােগ, মূলধন ও জনসম্পদ, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, অর্থনৈতিক নীতি, বাণিজ্য চক্র, অর্থনৈতিক সম্পদ ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে যে পরিবেশের গঠিত হয় তাকে অর্থনৈতিক পরিবেশ বলে। অর্থনৈতিক পরিবেশ একটি দেশের ব্যবসায়ের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিটি দেশে আলাদা আলাদা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র এবং মিশ্র অর্থনীতি অন্তর্ভুক্ত বা জাতির।

৩. সামাজিক পরিবেশ: একটি দেশের সমাজের বা জাতির মানুষের সংখ্যা, ধর্ম, বিশ্বাস, চিন্তা চেতানা, শিক্ষা-সংস্কৃতি, রীতি-নীতি, দৃষ্টিভঙ্গি, মতামত, জীবন শৈলী ও দেশীয় ঐতিহ্য এসব মিলিয়ে যে পারিপার্শ্বিকতা গড়ে ওঠে তাকে সামাজিক পরিবেশ বলে। সামাজিক পরিবেশ বলতে আর্থ-সাংস্কৃতিক পরিবেশকে বােঝায়। একটি সমাজের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্বাস, আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশা, ইচ্ছা, অভ্যাস, রীতিনীতি ইত্যাদির ব্যবসায়কে প্রভাবিত করে থাকে।

৪. রাজনৈতিক পরিবেশ: রাজনৈতিক পরিবেশ হলাে একটি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেমন: দেশের সার্বভৌমত্ব, সরকারের স্থিতিশীলতা, দৃষ্টিভঙ্গি, রাজনৈতিক দল, নেতৃত্ব ও তাদের চিন্তা-ভাবনা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ইত্যাদি মিলিত হয়ে যে পারিপার্শ্বিকতার সৃষ্টি হয় তাকে রাজনৈতিক পরিবেশ বলে।

ব্যবসায়ের উপর রাজনৈতিক পরিবেশের প্রভাব রয়েছে বহুগুণে। একটি দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক ব্যবস্থা সেই দেশের ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপগুলি: সিদ্ধান্ত, প্রচার, উৎসাহ, অবস্থান, নির্দেশ এবং নিয়ন্ত্রণ করে। দক্ষ ও গতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থা জনগণের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে এবং নাগরিকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা দেয়। এটি অর্থনৈতিক বিকাশের একটি প্রাথমিক উপাদান।

৫. প্রযুক্তিগত পরিবেশ: ব্যবসায়ের পরিবেশের প্রযুক্তিগত উপাদানগুলি যেমন: বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষা, গবেষণা, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রযুক্তি আমদানির সুযােগ ইত্যাদি মিলিয়ে যে পরিবেশ গড়ে ওঠে তাকে প্রযুক্তিগত পরিবেশ বলে। মানসম্মত পণ্য ও পরিষেবা, পণ্যগুলির গুণমান, উৎপাদনশীলতা এবং প্যাকেজিংয়ের জন্য উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার যেমন: যন্ত্রপাতি এবং অটোমেশন ইত্যাদি। একটি প্রতিযােগিতামূলক ব্যবসায় পরিবেশে প্রযুক্তি উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। প্রযুক্তি ব্যবসায়কে আরও উন্নত ও দ্রুত চালাতে সহায়তা করে। নতুন প্রযুক্তি গ্রাহকদের কাছে নতুন পণ্য এবং পরিষেবা সরবরাহ করতে সহায়তা করে।

৬. আইনগত পরিবেশ: একটি দেশের বাণিজ্যিক আইন, শিল্প আইন, পরিবেশ সংক্ষরণ আইন, আন্তর্জাতিক আইন, ভােক্তা আইন, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা আইন ইত্যাদি মিলিত হয়ে যে পরিবেশ গড়ে ওঠে তাকে আইনগত পরিবেশ বলে। অবৈধ ও বেআইনি ব্যবসায়িক কার্যক্রম রােধ করতে সরকার বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করে সাধরণ জনগণকে রক্ষা করার জন্য। একজন ব্যবসায়ীকে সরকারের প্রদত্ত সকল আইন মেনেই ব্যবসায় পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। সুতরাং আইনগত পরিবেশ ব্যবসায়ের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে থাকে।

 

Subject Name: Finance and Banking 

Question: 

আর্থিক ব্যবস্থাপকের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তাঁর অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জ্ঞান সহায়ক – বিষয়টির যৌক্তিকতা নিরূপণ।

শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ

১. অর্থায়নের সংজ্ঞা বর্ণনা করতে পারবে

২. অর্থায়নের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে

৩. আর্থিক ব্যবস্থাপকের কার্যাবলি বর্ণনা করতে পারবে

Answer: 

অর্থায়ন মূলত অর্থ বা তহবিল ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করে থাকে। কোন উৎস হতে কী পরিমাণ, কতটুকু তহবিল সংগ্রহ করে, কোথায় কীভাবে বিনিয়ােগ করা হলে কারবারে সর্বোচ্চ মুনাফা হবে, অর্থায়ন সেই সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে। একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মালামাল বা পণ্য ক্রয় বিক্রয় থেকে অর্থের আগমন ও নির্গমন হয়। কারবাওে মালামাল প্রস্তুত ও ক্রয় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের তহবিলের প্রয়ােজন হয়।

উদাহরণ:- মেশিন ক্রয় বাবদ খরচ, কাঁচামাল ক্রয় বাবদ খরচ, শ্রমিকদের মজুরি প্রদান ইত্যাদি অর্থায়নের উল্লেখযােগ্য কয়েকটি উদাহরণ। তহবিলের এই প্রয়ােজন অনুযায়ী পরিকল্পনামাফিক তহবিল সংগ্রহ করতে হয়, যেন উৎপাদনপ্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। অর্থায়ন বলতে তহবিল সংগ্রহ ও ব্যবহার সংক্রান্ত এই প্রক্রিয়াগুলােকে বুঝায়।

যেমন: আমার গ্রামে কোনাে দর্জির দোকানে গেলে দেখতে পাই যে, একজন বা দুজন সেলাই মেশিনে কাপড় সেলাই করছে। আবার হয়তাে কেউ কাপড় কাটছে বা বােতাম সেলাই করছে। ফলে একটি দর্জির দোকানের মালিককে তার এই কার্যপ্রক্রিয়া সঠিকভাবে চালিয়ে নেয়ার জন্য সেলাই মেশিন ক্রয়, সুতা, বােতাম, কাঁচি ইত্যাদি প্রয়ােজনীয় পরিমাণে ক্রয় করতে হয়। ব্যবসার শুরুতে সাধারণত এসব ক্রয়ের জন্য প্রয়ােজনীয় তহবিল সে তার নিজস্ব মূলধন ব্যবহার করে নির্বাহ করে। পরিশেষে বলা যায় যে, একটি অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা হলাে এমন একটি প্রক্রিয়া যা কোন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের আর্থিক তহবিলের সামগ্রিক কার্য প্রক্রিয়া ধাপ।

 

আজকালকার দিনের প্রতিযােগিতামূলক মুক্তবাজার ব্যবস্থায় মুনাফা অর্জনের জন্য প্রতিটি সরকারি, বেসরকারি, আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলােকে গুরুত্বের সাথে পূর্ব-পরিকল্পনামাফিক অর্থায়ন করতে হয়। নিচে কারবারি অর্থায়নের গুরুত্ব তুলে ধরা হলাে:

১) ব্যবসায়িক মূলধন-সংকট:

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ বলে আর্থিক সংকট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলাের জন্য একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এই সংকটের জন্য কারবার প্রতিষ্ঠান সুচারুরূপে পরিচালনা করা একটি কঠিন কাজ। উদাহরণসরূপ বলা যায় যে, একটি প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল কেনা প্রয়ােজন কিন্তু অর্থসংকটের জন্য সে যদি যথাসময়ে উপযুক্ত পরিমাণে কাঁচামাল কিনতে অপারগ হয়, তাহলে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদনপ্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।

২) অনগ্রসর ব্যাংক ব্যবস্থা:

অনেক সময় ব্যাংক ঋণের বিপরীতে যে সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হয়, তার অপ্রতুলতার কারণে ব্যাংক ঋণ উপযুক্ত সময়ে ও যথার্থ পরিমাণে পাওয়া যায় না। ফলে ব্যবসায়ীদের এ অর্থসংকট হতে উদ্ভুত সমস্যা মােকাবিলা করার জন্য খুবই পরিকল্পিতভাবে অর্থের সংস্থান করতে হয় এবং সঠিক বিনিয়ােগ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অর্থের লাভজনক ব্যবহার করার প্রয়ােজন হয়।

 ৩) স্বল্পশিক্ষিত উদ্যোক্তা:

বাংলাদেশের বেশির ভাগ ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা স্বল্পশিক্ষিত বলে তারা একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্থায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না। এতে করে অনেক লাভজনক প্রতিষ্ঠান উপযুক্ত আর্থিক পরিকল্পনার অভাবে আর্থিক সংকটে সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে না এবং অবশেষে লাভের বদলে ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

৪) উৎপাদনমুখী বিনিয়োেগ ও জাতীয় আয়:

একটি সফল বিনিয়ােগ জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে। অর্থায়নবিষয়ক জ্ঞানের প্রয়ােগে একজন ব্যবসায়ী বিনিয়ােগের বিভিন্ন প্রকল্পগুলাের মধ্যে ভবিষ্যৎ আয়-ব্যয়ের সম্ভাব্যতা বিশ্লেষণ করে সবচেয়ে লাভজনক প্রকল্পটি বেছে নিতে পারে। এই ধরনের লাভজনক বিনিয়ােগ কারবারটির জন্য যেমন অর্থবহ, তেমনি সারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পরিশেষে বলা যায় যে, উপরােক্ত বিষয়গুলাে কারবারি অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

আয় সিদ্ধান্ত বলতে মূলত তহবিল সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে বুঝায়। অর্থায়ন সিদ্ধান্তের আওতায় তহবিল সংগ্রহের ভিন্ন উৎস নির্বাচন এবং এসব উৎসের সুবিধা-অসুবিধা বিশ্লেষণ করে অর্থায়ন-সংক্রান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সাধারণত চলতি ব্যয় নির্বাহের জন্য স্বল্পমেয়াদি উৎস থেকে আর স্থায়ী ব্যয় নির্বাহের জন্য দীর্ঘমেয়াদি উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত ব্যবসায় তহবিল সংগ্রহে মালিকপক্ষের নিজস্ব পুঁজি ও বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে ব্যবসায় তহবিল সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া বড় কোম্পানিগুলাে শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করতে পারে। এই শেয়ার হােল্ডাররাই কোম্পানির মালিক। কোনাে প্রতিষ্ঠান ঋণের মাধ্যমে তহবিলের যে অংশ সংগ্রহ করে, তার জন্য প্রতিষ্ঠানটির ঋণের দায় বৃদ্ধি পায়, আবার মালিকপক্ষ হতে সংগ ফলে সঠিক অর্থায়ন সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই একটি প্রতিষ্ঠান ঋণের দায় ও মালিকানা-স্বত্বের মধ্যে লাভজনক ভারসাম্য সৃষ্টিতে সফল হয়।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, আমার এলাকায় লাবিব নামে একজন মুদির দোকানি তার ব্যবসায়ের অর্থায়ন সংগ্রহ করতে চায়। তার দোকানের প্রয়ােজনীয় জিনিসপত্র, মালামাল ক্রয়ের জন্য যে খরচের অর্থ সংগ্রহ করতে হবে, তাই হলাে আয় সিদ্ধান্ত বা অর্থায়ন সিদ্ধান্ত। তাই বলা যায় যে,একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য কতটুকু পরিমাণ অর্থের প্রয়ােজন তা শুধুমাত্রই আয় সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই জানা সম্ভব হয়। অর্থায়নের সুষ্ঠু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারলেই ব্যবসায়ের সফলতা অর্জন সম্ভব হয়।

 

একজন দর্জি দোকানের সেলাই মেশিন লয়-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত একটি বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত। মুদি দোকানের আসবাবপত্র, রেফ্রিজারেটর ক্রয়-সংক্রান্ত একটি বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য উৎপাদনমুখী মেশিন ক্রয়, কারখানা নির্মাণের খরচও এই জাতীয় সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রত্যাশিত আগমন-নির্গমনের একটি পরিকল্পনা করতে হয়। যেমন; প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মেশিন ক্রয়-সংক্রান্ত সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। যদি মেশিন দ্বারা প্রস্তুতকৃত পণ্যসামগ্রীর বিক্রয় পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পায়, এতে করে যদি মুনাফা ও নগদ প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং সর্বমােট নগদ প্রবাহ যদি মেশিনের ক্রয় মূল্য থেকে বেশি হয়।

অর্থাৎ, মেশিনটি যদি আগামী দশ বছর ব্যবহার করা যাবে মনে হয়, তাহলে মেশিনের বিনিয়ােগ সিদ্ধান্তটির জন্য আগামী দশ বছরে মালামাল বিক্রয় থেকে যে অর্থের আগমন হবে তার সাথে মেশিনের ক্রয়মূল্যের তুলনা করতে হবে। সুতরাং আগামী দশ বছরে -, , দশ বছরে ) দশ বছরের বিক্রয়লব্ধ নগদ প্রবাহ বের করা সম্ভব। নগদ প্রবাহ হতে মুনাফার পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য বিক্রয়লব্ধ অর্থ থেকে উৎপাদন ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে নগদ প্রবাহ নির্ধারণ করতে হয়। ভবিষ্যতের পণ্য বিক্রয়ের পরিমাণ ও পণ্যের মূল্য নির্ধারণ একটি দুরূপ কাজ বলে বিনিয়ােগ সিদ্ধান্তটি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

আয় সিদ্ধান্ত বা অর্থায়ন সিদ্ধান্ত ও ব্যয় সিদ্ধান্ত বা বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত আর্থিক ব্যবস্থাপকের জন্য সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া আর্থিক ব্যবস্থাপককে আরাে কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

ক) কী পরিমাণে কাঁচামাল ক্রয় বা প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযােগী এবং সেই অর্থ কোথা থেকে সংগ্রহ করা যাবে- এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে চলতি বিনিয়ােগ ব্ধান্ত বলে।

খ) দৈনন্দিন প্রয়ােজন নির্বাহ করার জন্য কী পরিমাণ নগদ অর্থ রাখা উচিত, সেটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

গ) যেসব উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের প্রাপ্য প্রদান করা আরেকটি সিদ্ধান্ত।

ব্যাংক ঋণ ও অন্যান্য ঋণ যেমন- বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদির মাধ্যমে তহবিল সংগৃহীত হলে যথাসময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ প্রদান করার সিদ্ধান্ত আর্থিক ব্যবস্থাপকের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। একইভাবে শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিলের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত হারে মুনাফা অর্জন ও লভ্যাংশ বন্টন ও আর্থিক ব্যবস্থাপকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়।

Subject Name: Economics 

বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত ও সরকারি উদ্যোগ। সম্মিলিতভাবে কাজ করে’—উক্তিটিতে। নির্দেশিত অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য উল্লেখপূর্বক বিভিন্ন অর্থ ব্যবস্থার তুলনামূলক সুবিধা ও অসুবিধা মূল্যায়ন।

শিখনফল ও বিষয়বস্তুঃ

১। বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিচয় বর্ণনা করতে পারবে

২। বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার তুলনামূলক সুবিধা ও অসুবিধা মূল্যায়ন পারবে।

Answer: 

জ্ঞান বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে অর্থনীতির বিষয় এর পরিধি অনেক বেড়েছে। অতীত ও বর্তমান অর্থনীতি বিষয়ের সমন্বয় অর্থনৈতিক বিষয় এখন অনেক উন্নত সমৃদ্ধ। প্রথমে যারা অর্থনৈতিক বিষয় উপস্থাপন করেছে এদের মধ্যে অ্যাডাম স্মিথ, ডেভিড রিকার্ডো এবং জন স্টুয়ার্ট মিল অর্থনীতিকে সম্প্রদায় উৎপাদনের বিজ্ঞান বলে মনে করেন। এদের মধ্যে এডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক বলা হয়। অর্থনীতির এই ধারা ক্লাসিক্যাল অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত। তখন অর্থনীতি বা Economics এর নাম ছিল রাজনৈতিক অর্থনীতি বা political Economy।

যে অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি মালিকানা ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বিরাজ করে তাকে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বলে। বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থা একটি মিশ্র অর্থব্যবস্থা। কেননা, বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিমালিকানার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম হয়ে থাকে। অর্থাৎ অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত ও সরকারি উদ্যোগ সম্মিলিত ভূমিকা পালন করে। কাজেই আমরা বলতে পারি, বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থা একটি মিশ্র অর্থব্যবস্থা। বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান। যথা- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ভারত ইত্যাদি।

ধনতান্ত্রিক বা বাজার অর্থব্যবস্থা (Capitalistic or market economic system) :
যে অর্থব্যবস্থায় প্রতিটি ব্যক্তি বা ফার্ম উৎপাদন, বন্টন ও ভোগের ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করে এবং বাজার ব্যবস্থা সরকারি হস্তক্ষেপমুক্ত থাকে, তাকে ধনতান্ত্রিক বা বাজার অর্থব্যবস্থা বলে৷ এ ধরনের বাজার ব্যবস্থায় প্রতিটি ব্যক্তি বা ফার্ম কোথায় বিনিয়োগ করবে, কি উৎপাদন করবে বা কি বিক্রয় করবে, কি দামে দ্রব্য বা সেবা বিনিময় করবে-এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকে৷ অর্থাৎ ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা দ্রব্য বা সেবার দাম বাজারে চাহিদা ও যোগান এর মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। এখানে অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরকারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ থাকেনা। বর্তমানে পুরোপুরি ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার প্রায় কাছাকাছি অর্থ ব্যবস্থা বিদ্যমান।

সমাজতান্ত্রিক বা নির্দেশনামূলক অর্থব্যবস্থা (Socialistic or Command Economic System) :
এই অর্থব্যবস্থা ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার ঠিক বিপরীত। যে অর্থব্যবস্থায় সম্পদ ও উৎপাদন উপকরণের মালিকানা রাষ্ট্রের এবং সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয় তাকে সমাজতান্ত্রিক বা নির্দেশনা মূলক অর্থব্যবস্থা বলে। এ অর্থব্যবস্থায় দ্রব্যের দাম নির্ধারণে স্বয়ংক্রিয় বাজার ব্যবস্থার কোন ভূমিকা থাকে না এবং উৎপাদিত দ্রব্য ভোগ ও বন্টনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে।

বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত ও সরকারি উদ্যোগ সম্মিলিতভাবে কাজ করে। 

  • মিশ্র অর্থব্যবস্থা (Mixed Economic System) :
    ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থার সংমিশ্রণই হচ্ছে মিশ্র অর্থব্যবস্থা। অর্থাৎ মিশ্র অর্থব্যবস্থা এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে উৎপাদন, ভোগ ও বন্টন ইত্যাদি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্বয়ংক্রিয় বাজার ব্যবস্থার সাথে সাথে সরকারি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সংমিশ্রণ ঘটে। এ ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অনেক অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত ব্যক্তি বা ফার্ম বাজার ব্যবস্থার মাধ্যমে নিয়ে থাকে। আবার সরকারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • ইসলামী অর্থব্যবস্থা (Islamic Economic System) :
    ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। ইহা মানব জীবন ও সমাজের প্রতিটি ধাপে প্রয়োজনীয় বিধিবিধান ও পথ নির্দেশনা প্রদান করে । ইসলামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা শরীয়াহ এর আলোকে প্রতিষ্ঠিত। শরিয়াহ এর মূল ভিত্তি হচ্ছে কুরআন ও সুন্নাহ। যে অর্থব্যবস্থায় আল্লাহর বিধান অনুযায়ী অর্থনৈতিক কার্যাবলি পরিচালিত হয় এবং কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান করা হয় তাকে ইসলামী অর্থব্যবস্থা বলে। এ ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় মানুষ জাতি ও সমাজের কল্যাণ সাধনে সীমিত সম্পদের ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মানুষের আচরণ বিশ্লেষণ করা হয়।

মিশ্র অর্থব্যবস্থা এর বৈশিষ্ট্য

সম্পদের মালিকানা: এই অর্থ ব্যবস্থার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে সম্পদের রাষ্ট্রীয় মালিকানার পাশাপাশি ব্যক্তিমালিকানা বিদ্যমান। আবার উৎপাদনের উপায়সমূহের ক্ষেত্রেও ব্যক্তিমালিকানার পাশাপাশি সরকারি মালিকানা স্বীকৃত।

ব্যক্তিগত ও সরকারি খাতের সহাবস্থান: মিশ্র অর্থনীতিতে ব্যক্তিগত ও সরকারি খাত পাশাপাশি অবস্থান করে। এখানে ব্যক্তিগত ও সরকারি খাতের শিল্প-কারখানা একত্রে কাজ করে। এই অর্থনীতিতে ব্যক্তিগত খাতে মুনাফা অর্জনই লক্ষ্য তবে সরকারি খাতে সামাজিক কল্যাণকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। অনেক সময় ব্যক্তিগত খাতের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

অর্থনৈতিক পরিকল্পনা : এখানে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রিত হয়। তবে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা কে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনার সাথে সমন্বয় করা হয়।

দাম ব্যবস্থা : এ অর্থব্যবস্থায় বাজার অর্থনীতির দাম ব্যবস্থাকে অনুসরণ করা হয়। অর্থাৎ এখানে দ্রব্য বা সেবার দাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাহিদা ও যোগানের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। তবে সরকার রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে দাম ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

ব্যক্তি স্বাধীনতা : মিশ্র অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষিত হয়। এখানে ব্যক্তি কি পরিমান ভোগ করবে এবং উৎপাদক কি দ্রব্য উৎপাদন করবে সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্র খুব বেশি হস্তক্ষেপ করে না। তবে সমাজের স্বার্থে কোন কোন সময় ভোগ বা বিপণনের ক্ষেত্রে সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করে।

বন্টন ব্যবস্থা : যেহেতু এ অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিমালিকানা বিদ্যমান, সেহেতু জাতীয় আয় এর সুষম বন্টন এখানে নিশ্চিত করা কঠিন।

বিভিন্ন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার তুলনামূলক সুবিধা ও অসুবিধাসমূহ

  • ভোক্তার স্বাধীনতার ক্ষেত্রে : ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় প্রত্যেক ভোক্তা তার নিজস্ব পছন্দ, ও রুচি অনুযায়ী অবাধে দ্রব্য ক্রয় ও ভোগ করতে পারে। অর্থাৎ পূর্ণ স্বাধীনতা বিরাজ করে। কিন্তু সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভোক্তারা সরকার ও কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা নির্ধারিত উৎপাদিত দ্রব্যাদি ভোগ করে থাকে। কোন ভোক্তা ইচ্ছাকৃত অর্থ ব্যয় করে বাজারকে প্রভাবিত করে কোন কিছু উৎপাদন ও ভোগ করতে পারে না। আবার মিশ্র অর্থব্যবস্থায় ভোক্তা সাধারণত দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও ভোগের ক্ষেত্রে অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে। তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে দ্রব্যের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে এবং প্রয়োজন অনুসারে কোন দ্রব্যের উৎপাদন নিয়ন্ত্রন করতে পারে।
  • সম্পদের মালিকানা ক্ষেত্রে : সম্পদ উৎপাদনের উপকরণ গুলো ব্যক্তিমালিকানায় থাকে। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে অধিকাংশ সম্পদ( জমি, কল কারখানা ইত্যাদি)ম ও উৎপাদনের উপাদান গুলোর মালিক হলো সরকার, সমবায় প্রতিষ্ঠান, যৌথ সামাজিক দল ইত্যাদি। আবার মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যক্তি তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ভোগ করতে পারে ও ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। পাশাপাশি গণদ্রব্য (মহাসড়ক) ও সেবা (স্বাস্থ্যসেবা) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ প্রধানত সরকার পরিচালনা করে।
  • প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে : সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা অবাধ অভাব রয়েছে। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগে উৎপাদন পরিচালিত হওয়ায় সেখানে বহুসংখ্যক বেসরকারি উদ্যোক্তার অবাধ প্রতিযোগিতা থাকে। কিন্তু ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনে প্রথমে অনেক ফার্ম অবাধে প্রতিযোগিতা করে। ফলে তখন দ্রব্যের মান কম থাকে এবং নতুন নতুন আবিষ্কার সম্ভব হয়।
  • মুনাফা অর্জনের ক্ষেত্রে : ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা উৎপাদক সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনের জন্য উৎপাদন করেন। মিশ্র কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয় তবে তা অতিরিক্ত একচেটিয়া মুনাফা নয়। আর সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদন করা হয় সকল জনগণের কথা চিন্তা করে।

যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাটি ভালো তার স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হলো-

মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হচ্ছে সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট অর্থব্যবস্থা। কারণ, এ অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি মালিকানা ও বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে উৎপাদন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। বিশ্বে কোথাও বিশুদ্ধ ধণতন্ত্র বা সমাজতন্ত্র নেই। তাই অনেকে মিশ্র অর্থব্যবস্থাকে একটি উন্নত অর্থব্যবস্থা বলে মনে করেন বিশ্বের অধিকাংশ দেশে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে।

 

See/download SSC 1st Week Assignment Syllabus 2021 from below PDF: 

 

SSC 1st Week Assignment Syllabus 2021 PDF

 

Official Syllabus Notice: Click here to see official SSC Assignment Syllabus notice

 

See/download SSC 1st Week Assignment Syllabus 2021 from below images: 

SSC Assignment Cover Page: 

SSC Assignment Gird Exam 2021: 

History of Bangladesh and World Civilization: 

Physics: 

Business Entrepreneurship: 

Economics: 

Biology: 

Finance and Banking: 

 

Courtesy: To all authorities from where documents are collected

N.B: Generally we try to update any news. For any Change, reform, and republished of any news we are not responsible.

For more update stay with our website jobstestbd.com

 

 

Contact Us:

If you want to give advertisement in our website for any product of your organization please contact with us by following Address.

 

Inbox to Facebook: jobstestbd.com
Email at: [email protected]
Contact No.: 01720403750

 

Mirpur 1, Dhaka, Bangladesh.

About Abd Mamin

I am a passionate blogger and at present working in a Government organization. I have completed my MBA from Rajshahi University. Educational content writing is my dearest passion. I hope all my educational content will help you in several extent. Thank you for visiting our website.
View all posts by Abd Mamin →