NSI Written Exam Question Solution 2019

NSI Written Exam Question Solution 2019 is available below. National Security Intelligence (NSI) Written Exam Question Solution 2019, NSI Under Prime Minister’s Office (PMO) Written Exam Question Solution 2019, NSI Job Written Exam Question Solve 2019, NSI Written Exam Question With Answer 2019, NSI AD Written Exam Question Solution 2019, NSI Field Officer Written Exam Question Solution 2019, NSI Wireless Operator Written Exam Question Solution 2019, Written Exam Question Solve NSI 2019, NSI Written Question 2019 PDF, NSI Written Exam Question And Solution 2019 are the search option to get exam question solution of NSI AD Written Exam Question Solution 2019.

 

 

 

 

NSI Written Exam Question Solution 2019:

Organization Name: National Security Intelligence (NSI) Under Prime Minister’s Office (PMO)

Exam type: Written Exam

Post Name And Vacancy:

1. Assistant Director-177

2. Field Officer-107

3. Computer Technician-01

4. Radio Technician-02

5. Accountant cum Cashier-01

6. Stenographer cum computer operator-08

7. Computer operator-02

8. Junior Field Officer-122

9. Steno typist cum computer operator-05

10. Assistant Libraian-01

11. Wireless Operator-103

12. Office Assisatnt-01

13. Office assistant cum computer typist-96

14. Laboratory Assistant-01

15. Watcher Constable-689

16. Darkroom Assisatant-01

17. Office Soyahak-77

Total Vacancy: 1394

NSI Exam Taker: IBA DU

See more…

NSI Written Exam Result 2019

AD Written Exam Date: 08 November 2019

AD Written Exam Time: 10.00 AM to 12.00 PM

Field Officer Written Exam Date: 08 November 2019

Field Officer Written Exam Time: 03.00 PM to 05.00 PM

Wireless Operator Written Exam Date: 08 November 2019

Written Exam Time: 03.00 PM to 05.00 PM

Written Exam Date: 22 November 2019

Office assistant cum computer typist Exam Time: 3.00 PM to 5.00 PM

Junior Field Officer Exam Time: 3.00 PM to 5.00 PM

Watcher Constable Exam Time: 10.00 AM to 12.00 PM

See More…

NSI Watcher Constable Written Exam Question Solution 2019

NSI MCQ Exam Question Solution 2019 All Post

See/Download NSI Written Exam Question Solution 2019 From Below:

Post Name: Office assistant cum computer typist

১. মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে তার নাম লেখুন এবং সর্বোচ্চ খেতাবপ্রাপ্ত ৬ জনের নাম লিখুন।

উত্তরঃ মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে তার নামঃ

ক) বীরশ্রেষ্ঠ খ) বীর উত্তম গ) বীর বিক্রম ঘ) বীর প্রতীক

সর্বোচ্চ খেতাবপ্রাপ্ত মানে বীরশ্রেষ্ঠ ৬ জনের নামঃ

১) মুন্সি আব্দুর রউফ।

২) মোঃ মোস্তফা কামাল।

৩) মতিউর রহমান।

৪) নূর মোহাম্মদ শেখ।

৫) হামিদুর রহমান।

৬) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর।

২. দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজনীয়তা কি? দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার ৪ টি উপায় লেখুন।

উত্তরঃ 

দক্ষ জনশক্তিতে সমৃদ্ধ দেশ উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়। অপরদিকে দক্ষ জনশক্তির অভাবে দেশ উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে। উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন দক্ষতা, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, পরিশ্রম, দূরদর্শিতা এবং কাজের প্রতি একাগ্রতা। আর এই উন্নয়নকে যদি টেকসই করতে হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে এগিয়ে নিতে হয় তাহলে দক্ষ মানব সম্পদ অপরিহার্য।

দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার ৪ টি উপায়ঃ

১. সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে।

২. শ্রমিকদের পেশাগত দক্ষতার উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

৩. কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ খাতে বিনিয়োগ জরুরি।

৪. উপযুক্ত খাদ্য ও পুষ্টি, পরিবেশ সম্পদ আবাসন ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনসংখ্যাকে সম্পদে রূপান্তর করা যায়।

৩. ভাবসম্প্রসারণ লিখুন।

দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।

মূলভাবঃ

শিক্ষা মানুষকে আলোকিত করে। কিন্তু কোনো মানুষ যদি আচরণগত বা চরিত্রগতভাবে খারাপ হয় তবে সে শিক্ষিত হলেও সমাজের বা মানুষের উপকার করে না বরং ক্ষতি করে।

সম্প্রসারিত ভাবঃ

শিক্ষা গ্রহণের অধিকার সবার আছে তাই খারাপ লোকেরা চাইলেই শিক্ষিত হতে পারে। কিন্তু শিক্ষা গ্রহণ করেও তারা প্রকৃতপক্ষে গুণী বা ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারে না। দুর্জন তার অর্জিত বিদ্যাকে ভালো কাজে ব্যবহার না করে খারাপ কাজে ব্যবহার করে। দুর্জন ব্যক্তি যেকোনো ধরণের খারাপ কাজ করতে দ্বিধা করে না। বিদ্বানকে সবাই সমাদর করে কিন্তু শিক্ষিত ব্যক্তি যদি মানুষ হিসেবে ভালো না হয়, তবে তার সান্নিধ্য কেউ কামনা করে না। বিদ্বান হয়েও যে বিদ্যার মূল্য দিতে পারে না, সে সবদিক থেকে নিকৃষ্ট। তার কাছ থেকে দূরে থাকাই ভালো। দুর্জন বিদ্বান হলেও তার ভেতরের কু-প্রবৃত্তিগুলো তাকে খারাপ কাজের প্ররোচনা যোগায়। চারিত্রিক গুণাবলি বিদ্যার চেয়েও দামী। তাই প্রকৃত অর্থে দুর্জন বিদ্বানের চেয়ে চরিত্রবান অশিক্ষিত ব্যক্তি অনেক ভালো। সব বিষয়েরই দুটো দিক থাকে একটা ভালো অপরটি মন্দ। তেমনি বিদ্যার মাধ্যমে মানুষ সুশিক্ষা যেমন গ্রহণ করতে পারে আবার কুশিক্ষাও গ্রহণ করতে পারে। দুর্জন শিক্ষিত হয়ে তার বিদ্যাকে আরও সহজে খারাপ কাজে ব্যবহার করতে পারে। দুর্জনেরা বিদ্যাকে অসৎ উদ্দেশ্যের হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করে। দুর্জনের সাথে থেকে ভালো মানুষও খারাপ হয়ে যেতে পারে বলে দুর্জনের সঙ্গ পরিত্যাজ্য। প্রবাদ আছে- “সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।” এক ঝুড়ি আমে একটি পঁচা আম থাকলে একসময় সব আমই পঁচে পায়। তেমনি সমাজে একজন অসৎ ব্যক্তির দ্বারা অনেক ভালো মানুষ প্রভাবিত হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই তাদেরকে পরিত্যাগ করেই চলতে হয়।

উপসংহারঃ  কোনো ব্যক্তি যত শিক্ষিত বা জ্ঞানীই হোক না কেন, যদি ব্যক্তিগতভাবে অথবা চারিত্রিক দিক থেকে ভালো মানুষ না হয় তবে তার কাছ থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।

৪. রচনা লিখুন।

দুর্নীতি ও তার প্রতিকার

ভূমিকা : বাংলাদেশে যেসব সামাজিক সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে দুর্নীতি বোধ হয় সবচেয়ে মারাত্মক- কারণ এই ব্যাধি সানসিক এবং তা সারানো খুব সহজ নয়। দুর্নীতিই আজ এক শ্রেণীর মানুষের কাছে নীত হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকে, সমাজের একেবারে নিচের স্তর পর্যন্ত দুর্নীতি তার থাবা বিস্তার করেছে। এ অবস্থায় জাতীয় উন্নয়নে অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত না হয়ে পারে না।
দুর্নীতির সর্বগ্রাসী রূপ : বাংলাদেশ সীমাহীন দুর্নীতির আবর্তে নিমজ্জিত। সে দুর্নীতির অবস্থান দেখা যায় সর্বত্র। ঋণ নিয়ে বেমালুম হজম করে ফেলা, সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করা, সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ করা, বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস চুরি, আয়কর-বিক্রয়কর ও শুল্ক ফাঁকি দেওয়া, চাকরির নামে হায় হায় কোম্পানি খোলা, হীনস্বার্থে শেয়ার-বাজার কারচুপি, চোরাচালানি, কালোবাজারি, ওভার ইনভয়েস, আন্ডার ইনভয়েস- দুর্নীতি কোথায় নেই? এমনকী দুঃস্থ মায়েদের জন্যে বরাদ্ধকৃত গম নিয়ে, এতিমখানার এতিমদের জন্যে বরাদ্দকৃত বস্ত্র নিয়ে, দুর্গত মানুষের জন্যে বরাদ্দকৃত ত্রাণের টিন নিয়েও দুর্নীতি হয়েছে। পরীক্ষার হলেও দুর্নীতি আধিপত্য বিস্তার করছে। ভাবা যায় না, মেধা তালিকায় স্থান নির্ধারণেও চলে দুর্নীতি। সরকার দুর্নীতি দমন সংস্থা করেছেন দুর্নীতি সামাল দিতে। কিন্তু বিগত সরকারগুলোর আমলে দেখা যায়, দুর্নীতির ভূত সেখানেও আছর গেড়েছে। অসহায় মানুষ সেখানে ন্যায় বিচার আশা করে, সেই বিচার ব্যবস্থায় আইনের শাসনের হাত-পা ভেঙে দিয়েছে দুর্নীতি। দুর্নীতির সর্বগ্রাসী রূপের জন্য সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে বিশ্বের সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের সারিতে। ব্যাপক দুর্নীতির জন্য দেশবাসীরেক উচ্চমূল্য দিয়ে বিপুল ক্ষতি স্বীকার করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশে দুর্নীতির ভয়াবহ ছোবলে সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক জীবন জর্জরিত। রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রশাসন, বিচার বিভাগ সবকিছুকেই কলুষিত করেছে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মামলাবাজি, টোলবাজি ইত্যাদির মাধ্যমে দুর্নীতি নিয়েছে সন্ত্রাসী চরিত্র, যাকে বলা চলে সন্ত্রাসী দুর্নীতি।

 

দুর্নীতি উন্নয়নের অন্তরায় : বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির এক উজ্জ্বল দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে। মাথাপিছু বার্ষিক আয় দ্বিগুণ করা, সমৃদ্ধির হার বাড়িয়ে দারিদ্র্য বিমোচন করার অনেক সুযোগ এখন আমাদের সামনে এসেছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্নীতি। সর্বগ্রাসী দুর্নীতির ফলে প্রত্যাশিত উন্নয়ন সার্বিকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, লণ্ঠিত হচ্ছে দেশের মূল্যবান সম্পদ, ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থে সেগুলো পাচার করা হচ্ছে বিদেশে। জনগণের দুঃখ ও দারিদ্র্যের অবসান তো দূরের কথা, তা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সৃষ্টি হচ্ছে বিপুল ধনবৈষম্য। সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন দাতাদেশ ও সংস্থার পক্ষ থেকে দুর্নীতিকে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান বাধা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
দুর্নীতির মূলোৎপাটন : দুঃখের ও লজ্জার বিষয় হল, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের নির্দেশিকায় সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় প্রথম সারির নিন্দিত স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এ গ্লানি দূর করার জন্যে সমগ্র জাতির সামনে এখন অন্যতম প্রধান করণীয় হচ্ছে দুর্নীতির মূলোৎপাটন। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক রূপান্তর ছাড়া এই দুর্নীতির ঘুণ থেকে আমাদের রেহাই নেই। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে, দুর্নীতি বিরোধী গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে আগামীতে হয়ত এই সম্ভাবনার পথ খুলে যাবে।
দুর্নীতি প্রতিরোধে করণীয় : আমরা জানি, কালো টাকা, সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক গাঁটছড়া দুর্নীতিকে দিয়েছে ভয়াবহ ও অবিশ্বাস্য ব্যাপ্তি। ফলে দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা, কর্ম ও জীবনাচরণ নিয়ন্ত্রণকারী সব কিছুই বর্তমানে দুর্নীতির রাহু কবলিত। রাজনীতি, অর্থনীতি, আহার্য, আবাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা, জীবিকা সবই যদি দুর্নীতির অক্টোপাসের কবলে পড়ে তবে দেশ ও জাতি অনিবার্য পতনের দিকে না যেয়ে পারে না। এ প্রেক্ষাপটেই আমাদের করণীয় নির্ধারণ করতে হবে। উপলব্ধি করতে হবে, অনেক সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের যেহেতু দেশের উন্নয়নের প্রধান নিয়ামক তাই এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি নির্মূল ও সুনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই লাইনচ্যুত দেশকে আবার উন্নয়নের সঠিক রাস্তায় পরিচালিত করতে হবে। যেহেতু বিচার বিভাগের দুর্নীতির বিস্তার রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের পথ খুলে দিয়েছে তাই উন্নয়নের স্বার্থে এ ক্ষেত্রেও সংস্কার অনিবার্য।

দুর্নীতি প্রতিরোধে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের বেড়াজাল থেকে দেশকে মুক্ত করার জরুরি পদক্ষেপ আজ সময়ের দাবি। এটা কঠিন কাজ। কিন্তু এর কোনো বিকল্প নেই। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিস্বার্থের উর্দ্ধে উঠে দেশপ্রেমিক ত্যাগী অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বের মহিমা অর্জন করতে হবে। সব রাজনৈতিক এবং সকল রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে একযোগে নিতে হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান। এক্ষেত্রে তাই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধতা। সেই সাথে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনের সকল পর্যায়ে নিশ্চিত করতে হবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।

দুর্নীতি বিরোধী সামাজিক আন্দোলন : সম্প্রতি রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, কর্মকর্তা ইত্যাদি পর্যায়ে লাগামহীন দুর্নীতি বিস্তারের ঘটনা ধরা পড়ায় দেশবাসী স্তম্ভিত। বনরক্ষকের দুর্নীতির ঘটনা রূপকথার কাহিনীকেও হার মানিয়েছে। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে তা প্রতিরোধে আইন ব্যবস্থাকে আরও কঠোর করা প্রয়োজন। তবে কেবল আইন পরিবর্তন করে দুর্নীতি রোধ করা সম্ভব নয়। কারণ আইন প্রযোগকারী সংস্থার সঙ্গে জড়িত অনেক মানুষও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। দুর্নীতির অভিশাপ থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে হলে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা, জনপ্রতিনিধি, আমলা, পুলিশ, কর্মচারী ও পেশাজীবীদের চিহ্নিত, অপসারিত, ক্ষমতাচ্যুত ও সমাজ-নিন্দিত করতে হবে। দিতে হবে উপযুক্ত শাস্তি। আর সেখানে দেশপ্রেমিক, কল্যাণব্রতী নতুন মানুষকে নিয়োগ দিতে হবে।
উন্নত কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্যে গড়ে তুলতে হবে দেশব্রতী মানবদরদী নতুন সমাজ। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচণ্ড ঘৃণা জাগিয়ে নতুন সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ জন্যে রাষ্ট্রনেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে দুর্নীতি বিরোধী সামাজিক আন্দোলন। এ আন্দোলনের মূল স্লোগান হতে পারে “দুর্নীতি করে যে দেশের ক্ষতি করে সে”, “দুর্নীতি রোধ কর, উন্নয়নের হাল ধর”
উপসংহার : দুর্নীতির মূলোৎপাটনে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনকে প্রকৃত অর্থে স্বাধীন ও কার্যকর করতে হবে। নির্লোভ, সৎ ও দেশব্রতী কর্মীদের যুক্ত করতে হবে এই কাজে। একই সঙ্গে তরুণ সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষকে আজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে। গণমাধ্যম, বেসরকারি সেবা সংস্থা ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে কার্যকর অবদান রাখতে পারে এ ধরনের সংগঠনগুলো। কিন্তু মনে রাখতে হবে, মস্তিষ্ক পচন ধরলে শরীরের কোনো অঙ্গ যেমন যথাযথভাবে কাজ করতে পারে না তেমনি রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করতে না পারলে স্বচ্ছন্দ উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সমাজ সক্রিয় ও ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করতে পারে না। দুর্নীতি প্রতিরোধ ও প্রত্যাশিত উন্নয়নের জন্য তাই সুশাসনের বিকল্প নেই।

৫. Write Parts of speech form from below.

a) Noun form of ‘Long’ Ans: longness

b) Verb form of ‘Peace’ Ans:pacify

c) Adjective form of –

d) Verb form of Strength. Ans: Strengthen

e) Verb form of ‘Real’. Ans: realize

৬. Write easy about your mother.

Do you have someone who is great, spends time with you, cares for you, and is an important person? Well, I do, and she has black hair, brown eyes, and a caring touch. That’s my mom. My mother is the best mom in the world. Her name is Amanda. She is only 25 years old.

My mother is a kind lady. She is very good at her behaviour. Everybody in the family likes her. She has many qualities of head and heart. She is highly educated and intelligent. She is very hard-working, kind, caring and loving. Her love for us has no limits

She is a housewife and ever busy. She gets up earlier than others and goes to bed last of all. She cooks food, washes our clothes, looks after our every need and comfort. She enjoys serving us. Sometimes, I feel sorry for her and help her in her work in my own humble way.

Her love and care are a great source of inspiration. They help me in keeping good health and being cheerful. It is because of her that I am so good at studies. If I am ill she would leave no stone unturned to look after me till I get well and healthy.

She prepares many delicious dishes for us. We can never forget her services and sacrifices. She is really great, wonderful, loving and kind. Nothing is so great as my mother. It has been rightly said that God could not be everywhere and therefore, he made mothers.

I pray to God for her good health.

 

৭. Write an Application to the Chairman for repairing a bridge.

Try yourself……….

৮. Translation: Try yourself………. 

 

৯. একটি দ্রব্য ৩০৬ টাকায় বিক্রি করায় ১৫% ক্ষতি হয়। কত টাকা বিক্রি করলে ১০% লাভ হবে?

সমাধানঃ 

১৫% ক্ষতিতে,

বিক্রয়মূল্য ৮৫ টাকা হলে ক্রয়মূল্য ১০০ টাকা

,,      ১ ,, ……………..  ১০০/৮৫

……৩০৬ টাকা …………..১০০*৩০৬/৮৫

=৩৬০ টাকা

১০% লাভে,

ক্রয়মূল্য ১০০ টাকা হলে বিক্রয়মূল্য ১১০ টাকা

…….১…………………….১১০/১০০ …..

………..৩৬০………………..১১০*৩৬০/১০০

= ৩৯৬ টাকা

উত্তরঃ ৩৯৬ টাকা

১০. রহিম করিমের চেয়ে দ্বিগুণ গুণ দক্ষ। রহিমের একটি কাজ করতে করিমের চেয়ে ৩০ দিন কম লাগে। তাহলে দুজন একত্রে কাজটি করলে কতদিন লাগবে?

সমাধানঃ

করিম কাজটি করে ২ক দিনে

রহিম করে ক দিনে

প্রশ্নমতে,

২ক – ক= ৩০

ক = ৩০

করিমের কাজটি করতে লাগবে = ২*৩০ = ৬০ দিন

রহিমের লাগবে= ৩০ দিন

রহিম ও করিম একত্রে ১ দিনে করে = ১/৬০ +১/৩০ = ১/২০ অংশ

তাহলে সম্পূর্ণ অংশ করে ২০ দিনে।

উত্তরঃ ২০ দিনে

১১. একটি আয়তাকার ক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য প্রস্থ অপেক্ষা ৩০ মিটার বড়। পরীসীম ১৪০ হলে আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল কত?

সমাধানঃ

ধরি, প্রস্থ = ক মিটার

দৈর্ঘ্য =  ক + ৩০

প্রশ্নমতে,

২ ( ক + ক +৩০) = ১৪০

ক = ২০

তাহলে প্রস্থ= ২০ মিটার

দৈর্ঘ্য =  ক + ৩০= ২০ +৩০ = ৫০ মিটার

তাহলে ক্ষেত্রফল = ৫০ * ২০ = ১০০০ বর্গমিটার

উত্তরঃ ১০০০ বর্গমিটার

১২. উৎপাদক করুন
4x^4 -25x^2+36

সমাধানঃ

= (2×2)^2 – 2*2×2*6 + (6)^2 -x2

= (2x – 6)^2 – (x)^2

= (2×2 -6 +x) (2×2 -6 -x)

= {2×2 +4x -3x -6} {2×2 -4x +3x -6} 

= {2x(x+2) -3 (x + 2)} {2x(x-2)+3 (x – 2)} 

= (2x -3) (x+2)(2x +3) (x-2) Ans: 

Post: Junior Field Officer

১. পুর্ণরূপ লিখুন…

FAO= Food and Agriculture Organization

JRC= Joint River Commission

BBC= British Broadcasting Corporation

PLO= Palestine Liberation Organization

২. সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দিনঃ

ক) উৎপত্তিস্থলে মেঘনার নাম কি? উঃ বরাক নদী।

খ) আওয়ামী লীগের প্রথম সভাপতি কে ছিলেন? উত্তরঃ মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী

গ) ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কতটি আসন পেয়েছিল? উত্তরঃ ১৬৭ টি

৩. নিচের বাগধারাগুলোর অর্থসহ বাক্য রচনা করুন..

আকাশ পাতাল= বিশাল ব্যবধান ( ধনী গরিবের মাঝে আকাশ পাতাল বিভেদ আছে)

উত্তম মধ্যমঃ প্রহার করা ( চোরটিকে সবাই উত্তম মধ্যম দিয়ে ছেড়ে দিল)

আকাশ কুসুমঃ অবাস্তব কল্পনা ( কাজ না করে আকাশ কুসুম চিন্তা করলে কোন লাভ হবে না)

ভরাডুবিঃ সর্বনাশ হওয়া ( নির্বাচনে তার প্রচুর ভরাডুবি হয়েছে)

অর্ধচন্দ্র = গলাধাক্কা দেওয়া ( সে তাকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বের করে দিল)

৪. ভাব সম্প্রসারণ লিখুনঃ ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ

মূলভাব : ভোগ বিলাসিতায় প্রকৃত সুখ পাওয়া যায় না। প্রকৃত সুখ আসে আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে।
সম্প্রসারিত ভাব : ভোগ ও ত্যাগ মানবের আত্মবনতি ও আত্মমুক্তির রক্তাক্ত দলিল। ভোগাকাঙ্ক্ষা মানবের সীমাহীন দুঃখের কারণ। ত্যাগ মানুষকে রিক্ত করে না, পূর্ণতাই এনে দেয়। দুনিয়ার মঙ্গলের জন্য যিনি নিজের জীবন বিলিয়ে দেন, মৃত্যুর পরে তিনি আরো বড় হয়ে বেঁচে উঠেন। কবির কথায়, ‘নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তাঁর ক্ষয় নাই।’ আমরা যখন ভোগের জীবন যাপন করি তখন শুধু নিজের জন্য বাঁচি। এ বাঁচা মৃত্যুর সাথে সাথেই শেষ হয়ে যায়। যখন ত্যাগের জীবন যাপন করি তখন পরের জন্যও বাঁচি। জীবনে ত্যাগ থাকলে জীবন অর্থবহ হয়। তাই ত্যাগ আমাদের চরিত্রের সর্বোচ্চ আদর্শ হওয়া উচিত। ত্যাগের মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ অমরত্ব লাভ করতে পারে। ত্যাগ মহাশক্তি। অপরদিকে ভোগ হচ্ছে লক্ষ ফণা সাপ। তাকে পদদলিত করা আমাদের কর্তব্য। ভোগাকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা সার্থক মানুষ হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পাবো না। যে ত্যাগ করতে জানে ভোগের অধিকার তারই জন্য। অতএব সপ্রমাণ হয় যে, “ভোগ নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।”
মন্তব্য : নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে অপরের জন্য জীবন বিলিয়ে দেওয়ার মাঝেই জীবনে আসে চরম সার্থকতা। তাই ভোগকে পরিহার করে ত্যাগকে স্বাগত জানানো উচিত।

৫. এনএসআই এ কেন চাকুরী করতে চান?

নিজের মত করে লিখুন….

৬. Write the meaning of the below word and make sentence in English.

Honesty: সততা ( Honesty is the best policy)

Agree to: রাজি হওয়া ( I am agree to your proposal)

Lives on: বেঁচে থাকা ( Cow lives on grass)

 

৭. Read the passage and answer the below Question.

নিজের মত করে লিখুন….

৮. Write a letter to your friend describing your hobby.

নিজের মত করে লিখুন….

গণিত অংশ সমাধানঃ

৯. উৎপাদকে বিশ্লেষণ করুন..

xa^8 – x^9

Ans: x (a^4 + x^4) (a2 + x2) (a+x) (a-x)

১০. a^4 + a2b2 + b^4

Ans: (a2+ab+b2) (a2-ab+b2)  

১১. পিতার বয়স পুত্রের বয়সের চেয়ে ২১ বছর বেশী। পাঁচ বছর আগে পিতার বয়স পুত্রের বয়সের তিনগুন ছিল। বর্তমানে কার বয়স কত?

উত্তরঃ পিতার বয়স ৩৬.৫ বছর আর পুত্রের বয়স ১৫.৫ বছর

১২. ১২০ টি ২৫ পয়সার ও ১০ পয়সার মুদ্রা একত্রে ২৭ টাকা হলে। ২৫ পয়সা ও ১০ পয়সার মুদ্রার সংখ্যা কত?

উত্তরঃ ২৫ পয়সার মুদ্রা ১০০ টি  আর ১০ পয়সার মুদ্রা ২০ টি

Post: Watcher Constable

Exam: 22 November 2019

Exam Time: 10.00 AM to 12.00 PM

সাধারণ জ্ঞান অংশ সমাধানঃ

১. মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কয়টি। ৩ জন সেক্টর কমান্ডারের নাম লিখুন?

উত্তরঃ মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ১১ টি।

৩ জন সেক্টর কমান্ডারের নামঃ

ক) মেজর মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম- ১ নং সেক্টর

খ) মেজর খালেদ মোশাররফ- ২ নং সেক্টর

গ) মেজর কে.এম. শফিউল্লাহ- ৩ নং সেক্টর

২. বাংলাপিডিয়া কার উদ্যোগে গঠিত হয়েছে?

উত্তরঃ এশিয়াটিক সোসাইটি উদ্যোগে গঠিত হয়েছে বাংলাপিডিয়া

৩. ধানসিঁড়ি কোন জেলায় অবস্থিত?

উত্তরঃ ঝালকাঠিতে অবস্থিত

৪. স্থানীয় সরকার সর্বনিম্ন স্তর কোনটি?

উত্তরঃ ইউনিয়ন পরিষদ

৫. ৮.৩০ মিনিটে ঘন্টার কাটা ও মিনিটের কাটার পার্থক্য কত ডিগ্রী?

উত্তরঃ ৭৫ ডিগ্রি

৬. NSI এর পূর্ণরূপ লিখুন?

উত্তরঃ National Security Intelligence

বাংলা অংশ সমাধানঃ

১. বাংলা সাধু ও চলিত ভাষার ৫ টি পার্থক্য লিখুন। 

ক) যে ভাষায় সাধারণত সাহিত্য রচিত হয় এবং যা মার্জিত ও সর্বজনস্বীকৃত, তাই সাধু ভাষা। অন্যদিকে শিক্ষিত লোক সাধারণ কথাবার্তায় যে ভাষা ব্যবহার করে থাকে, তা-ই চলিত ভাষা।

খ) সাধু ভাষা ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট ও সুনির্ধারিত নিয়মের অনুসারী। আর  চলিত ভাষার সুনির্ধারিত ব্যাকরণ আজও তৈরি হয়নি।

গ)  সাধু ভাষা গুরুগম্ভীর ও আভিজাত্যের অধিকারী। অপরদিকে  চলিত ভাষা সহজ ও স্বাভাবিক। এ ভাষা মানুষের মনোভাব প্রকাশে উপযোগী।

ঘ)  সাধু ভাষার কাঠামো সাধারণত অপরিবর্তনীয়। কিন্তু চলিত ভাষা পরিবর্তনশীল।

ঙ) সাধু ভাষা নাটকের সংলাপ, আলাপ-আলোচনা ও বক্তৃতায় তেমন উপযোগী নয়। আর  চলিত ভাষা নাটকের সংলাপ, আলাপ-আলোচনা ও বক্তৃতায় বেশ উপযোগী।

 

২। ভাব সম্প্রসারণ “পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না।

মূল ভাবঃ ফুল প্রকৃতির পবিত্রতম সৃষ্টি।সৌরভে-সৌন্দর্যে জগৎকে আমোদিত করাই তার কাজ।তাই ফুলের মর্যাদা সর্বত্র স্বীকৃত।

সম্প্রসারিত ভাবঃ

প্রিয়জনের আসর থেকে দেবতার প্রাঙ্গণ সর্বত্রই ফুলের সমাদর।ফুল ছাড়া আমাদের কোন পূজা,কোন মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান হয় না।ফুল কবির কবিতার বিষয়বস্তু,নারীর সৌন্দর্য বিধায়ক,ফুল মিলন উৎসবের অঙ্গ,ফুল জনমে ও মরণেও সমান উপযোগী।মানুষের জীবনব্যাপি নানা অনুষ্ঠানে ফুলের সংযোগ।এভাবেই ফুল অপরকে আনন্দদানের মাধ্যমে নিজেকে সার্থক করে চলেছে।

ফুলের মতন মানুষের জীবনও পরার্থে উৎসর্গকৃত হওয়া উচিৎ।এতেই জীবনের সার্থকতা।মানুষ সামাজিক জীব ,সকলকে নিয়ে তাকে বাঁচতে হয়।মানুষে-মানুষে মিলনের ব্রতকে সম্পূর্ণ করতে হয় মানুষকে।যে মানুষের মধ্যে কল্যাণ আদর্শ নেই,সে মানুষ ক্ষুদ্র,খন্ড।জগতের কোন কল্যাণ সাধনই তার পক্ষে সম্ভব নয়।মানুষ সুন্দর,মানুষ মনুষ্যত্বের সৌরভ বহন করে।ঠিক ফুলের মতই মানুষ নিজের নয়,বিশ্ব-নিখিলের।ফুল যেমন নিজেকে বিলিয়ে সার্থক হয়,মানুষেরও উচিত মানব সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে সার্থক হওয়া,—হৃদয় কুসুমকে মনুষ্যত্বের গৌরবে গৌরবান্বিত করা।

৩। মশার উপদ্রব নিধনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য সংবাদপত্রে একটি পত্র লিখুন।

তারিখ ২২/১১/২০১৯

বরাবর,

সম্পাদক
দৈনিক প্রথম আলো
কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।

বিষয়ঃ সংযুক্ত পত্রটি প্রকাশের জন্য আবেদন।

নিবেদক মোঃ আবু জাফর, মিরপুর ১, ঢাকা।

মশার উপদ্রব নিধনে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত, ‘দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় জনগুরুত্বপূর্ণ পত্রটি প্রকাশ করলে বিশেষভাবে বাধিত হবো।

রাজধানী ঢাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা মিরপুর ১। অসংখ্য শিল্পকারখানা, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এই এলাকায় অবস্থিত। এখানে প্রায় ৩১ লক্ষ মানুষের বসবাস। কিন্তু সম্প্রতি এই এলাকায় মশা মারাত্মক পরিস্থিতিতে উপনীত হয়েছে। এই ভোগান্তি থেকে রেহাই পাচ্ছেনা অত্র এলাকার মানুষ । এছাড়া নানান দুর্যোগ দুর্বিপাকে, মশা বৃদ্ধির কারণে এলাকাবাসী প্রকৃত নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না। জনজীবনে যাবতীয় সমস্যার মধ্যে এটিও এখন একটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মশা নিধনের জন্য প্রতি বছর সিটি কর্পোরেশনের বিরাট অঙ্কের টাকা বরাদ্দ থাকে।

কর্পোরেশনের অধীনে মশা নিধনের জন্য বেতনভুক্ত কর্মচারীও রয়েছে অনেক। এরপরও যদি মানুষ মশার অত্যাচার থেকে রক্ষা না পায়। তবে তা উদ্বেগের বিষয় বৈকি। উন্নত বিশ্বে এমনটি ভাবাই যায় না। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য মানুষ দীর্ঘদিন ভুগেছে। বর্তমানে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গুজ্বর।তাই মাসে একবার হলেও নিজেদের বাসাবাড়ি এবং ভবনের আশপাশ পরিষ্কার করা মশক নিধনের দ্রব্য দেয়া জরুরি।
তাই মশার ক্ষেত্র যেমন ধ্বংস করতে হবে, তেমনি মশা যেন আর না জন্মাতে পারে সে ব্যাপারেও দায়িত্বশীল ভূমিকা কাম্য।মশার উপদ্রব্য ছিটিয়ে আমাদেরকে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া সহ বিভিন্ন অসুখ হতে রক্ষা করতে সাহায্য করবেন বলে আশা করি।

এপরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে।
মালিবাগ এলাকার বাসিন্দারা গত ৬ মাস যাবৎ উপর্যুক্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যর্থও হয়েছেন। কারণ তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি।
এমতাবস্থায় উল্লিখিত সমস্যার সমাধানকল্পে এলাকাবাসী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

বিনীত এলাকাবাসীর পক্ষে
আবু জাফর

ইংরেজি অংশ সমাধানঃ

1. Transformation of sentence.

2. Paragraph writing:

Winter Morning

Winter is the coldest season of the year. A morning in winter is misty and cold. There is dense fog in everywhere. Things even at a little distance can hardly be seen. Everything looks hazy. This causes disruption to the communication system. Dew drops fall at night. Sometimes cold waves blow. It causes much sufferings to the children and old people. They suffer from cold and other diseases. Village people gather straw and dry leaves to make fire to warm themselves. The old and children bask in the sun. Usually, people get up late. In a winter morning, people in Bangladesh enjoy different kinds of cake. Delicious sweetmeats are also prepared with date juice. But a winter morning is a curse for the poor. They suffer much for want of warm clothes. They are seen shivering in cold. Sometimes the news of death from the bitter cold is seen in the newspaper. But the rich enjoy a winter morning to a great extent. They have a variety of warm clothes. Besides, they enjoy delicious foods in a winter morning. However, the scene of a winter morning disappears as the day advances. A winter morning is pleasant for someone’s and unpleasant for the other.

গণিত অংশ সমাধানঃ

১। একটি স্কুলে ড্রিল করার সময় ৮,১০ বা ১২ টি লাইন করা যায়। ঔ স্কুলে অন্তত পক্ষে কত জন ছাত্রছাত্রী ছিল?

সমাধানঃ 

৮,১০,১২ এর ল. সা. গু =১২০
৩৬০০,১২০ দ্বারা বিভাজ্য ও পূর্ণ বর্গ। কিন্তু ২৪০০,১২০০,৩০০০,১২০ দ্বারা বিভাজ্য কিন্তু পূর্ণ বর্গ নয়।

উত্তর ১২০

২। একটি বাঁশের ২/৫ অংশ লাল, ১/৪অংশ কাল, ১/৩ অংশ সবুজে আবৃত এবং অবশিষ্ট অংশ ২ মিটার লাল হলে বাশটির দৈর্ঘ্য কত?

সমাধানঃ 

বাঁশের দৈর্ঘ্য=(৫*৪*৩) x
= ৬০x
মোট অংশ=(২/৫+১/৪+১/৩)*৬০x
=৫৯ x
অবশিষ্ট, ৬০ x-৫৯x = ২
বা, x = ২
বা, ৬০x = ১২০মিটার।
উত্তরঃ ১২০

৩। ১০০০ টাকা ক ও খ ১:৪ অনুপাতে ভাগ করে নেয়। খ-এর অংশ সে এবং তার মা ও মেয়ের মধ্যে ২:১:১ অনুপাতে ভাগ করে। মেয়ে কত টাকা পাবে?

সমাধানঃ 

ক ও খ এর অনুপাতদ্বয়ের যোগফল = ১+৪=৫ এই ৫ অংশ = ১০০০; তাহলে, খ এর ৪ অংশ = ৪×২০০= ৮০০ ক এর ১ অংশ = ১×২০০= ২০০ এখন, খ তার অংশের ৮০০ টাকা সে নিজে এবং মা এবং মেয়ের মাঝে ভাগ করে দেয় ২ঃ১ঃ১ অনুপাতে। আবার, অনুপাতগুলোর যোগফল = ২+১+১ = ৪ খ নিজেই নেয় = ২/৪×৮০০ = ৪০০ খ’র মা পায় = ১/৪×৮০০ = ২০০ খ’র মেয়ে পায় = ১/৪×৮০০ = ২০০

উত্তর ২০০

৪. x+1/x=√3 হলে x^3+1/x^3=কত?

=(x+1/x)3 -3*x*1/x*(x+1/x)

=(√3)3-3√3

=3√3-3√3

=0

Ans. 0

 

Post: Assistant Director

বাংলা অংশ সমাধানঃ 

১। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে ঢাবিতে পড়া ছোট ভাইকে পত্র লিখুন।

নিজের মত করে উত্তর  লেখাই ভাল।

২। ভাব সম্প্রসারণঃ
“জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।”

মূলভাব : জ্ঞান না থাকলে বুদ্ধি আসে না আর বুদ্ধি ছাড়া মুক্তি আসতে পারে না।
সম্প্রসারিত-ভাব : মানুষের জ্ঞান তার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। মানুষের এ সম্পদের কোন বিনাশ নেই। এ সম্পদ মানুষকে বুদ্ধির গভীরে প্রবেশের পথ খুলে দেয় এবং তখন মানুষ অতি সহজেই তার মুক্তির পথ খুঁজে নিতে পারে। বলা হয় , জ্ঞানহীন মানুষ পশুর সমান । পশুর সাথে মানুষের পার্থক্য হল মানুষের বুদ্ধি ও বিবেক আছে আর পশুর বুদ্ধি ও বিবেক নেই। জ্ঞানহীন মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিগুলো সঠিকভাবে বিকশিত হয় না। আর হয় না বলেই সে আপনার ভালোমন্দ, ন্যায় অন্যায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে পারে না। জ্ঞান আর বুদ্ধির এ সীমাবদ্ধতাহেতু তাকে প্রতিনিয়ত প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, জ্ঞানবান ব্যক্তি তার যুক্তির নিরিখে অনেক কঠিন বিষয়কেও নিজের জন্য এবং অপরের জন্য সহজতর করে ধরে তুলতে পারেন। এ কথাটি ব্যক্তির জীবনে যেমন সত্য, তেমনি জাতির জীবনেও সত্য। কোন জাতির লোকেরা যদি জ্ঞানের চর্চা না করে তাহলে সে জাতি কোন দিন উন্নতি করতে পারে না। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশি উন্নত। জাতীয় জীবনে জ্ঞানচর্চার উপযুক্ত পরিবেশ না পেলে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশ ঘটানোর সুযোগ সীমিত হয়ে আসে। তখন অনেক মেধার অপচয় হয়। কোন জাতি যখন মেধার এ অপচয় রোধ করে জ্ঞান ও মেধার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে, তখন সে জাতির মুক্তি ও উন্নতি নিশ্চিত। অন্যথায় তাদের পিছিয়ে পড়া ছাড়া কোন পথ নেই। তাছাড়া পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালেও আমরা এর সত্যতা দেখতে পাই।
তাই জাতীয় মুক্তি ও অগ্রগতির পূর্বশর্ত জনগণের বুদ্ধিবৃত্তিকে বিকাশ। এর জন্য চাই জ্ঞানের চর্চা ও গুণীর কদর। এটা যত ব্যাপক হবে জাতীয় মুক্তি ও অগ্রগতিও ততই ত্বরান্বিত হবে।

অথবা
‘শৈবাল দীঘিরে কহে উচ্চ করি শির; লিখে রেখ, একবিন্দু দিলেম শিশির’

মূলভাব: এ জগতে এমন কিছু লোক আছে যারা উপকারীর উপকার স্বীকার করে না। বরং তারা সমান্য উপকার করতে পারলেই উপকৃত ব্যক্তির কাছে তার উপকারের কথাটি প্রচার করে বেড়ায়।
সম্প্রসারিত ভাব: এ জগতে সকলের সামর্থ্য সমান নয়। শক্তি ও কর্মদক্ষতায় মানুষে মানুষে বিরাট পার্থক্য। কেউ কেউ বিরাট শক্তির অধীশ্বর; ব্যাপক অবদানের মাধ্যমে এ পৃতিবীবাসীর অশেষ কল্যাণ সাধন করেন। কেউ কেউ আবার সীমিত শক্তি নিয়েও জন্মগ্রহন করেন। যাঁরা মহৎ তাঁরা জীব ও জগতের কল্যাণ সাধনে ব্রতী হন। দিঘির জলেই শৈবালের জন্ম। অথচ দিঘির অগাধ জলে এক ফোঁটা শিশির বিন্দু ঢেলে শৈবাল দিঘিকে বলে, সে যেন তার দানের কথা স্মরণ রাখে-ভুলে না যায়।যার জলে শৈবালের জন্ম সামাণ্য উপকার শেষে তারই এমন দম্ভাযে মানুষ পরের উপকার করে শৈবালের মতোই তা সদম্ভে প্রচার করতে গর্ববোধ করে, উপবৃতকে অনুক্ষণ স্মরণ করিয়ে দিতে সংকোচ করে না, বুঝতে হবে তার হৃদয়ে মহত্ত্বের স্পর্শ নেই। তারা প্রশংসার কাঙ্গালম নিজেদের ক্ষুদ্রতা ঢেকে রাখতে তারা নিজেদের ঢাক নিজেরাই বাজিয়ে বেড়ান। কিন্তু যাঁরা প্রকৃত উদার,মহৎ ও পরের সেবাব্রত বেছে নিয়েছেন; তারা জলেভরা দিঘির মতোই পরিপূর্ণতার আকার, যা তৃষিতের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য আবিরত। তারা তৃষিতে তৃষ্ণা মোচন করে আপনাকে অকাতরে বিলিয়ে দিয়েও শৈবালের মতো সেই দানের হিসেব লিখে রাখতে বলেন না। এখানেই ক্ষুদ্র ও মহৎ প্রানের পার্থক্য।
মন্তব্য: মহৎ ও উদার প্রাণের মানুষেরা পরোপকার কখনো গর্ববোধ করেন না। পরোপকারের মাঝেই তারা আত্মতৃপ্তি লাভ করেন।

৩। বাগধারা লিখুন (যে কোন ৫ টি):

সমাধানঃ

আক্কেল সেলামী-নির্বুদ্ধিতার শাস্তি/ বোকামীর দণ্ড 

তালপাতার সেপাই-ক্ষীণজীবী

তাসের ঘর-ক্ষণস্থায়ী

অনুরোধে ঢেঁকি গেলা-অনুরোধে অনিচ্ছা সত্ত্বেও কিছু বলা বা করা

একাদশে বৃহস্পতি-সৌভাগ্যের বিষয়

অক্কা পাওয়া-মৃত্যুবরণ করা

গোড়ায় গলদ-শুরুতে ভুল

সাধারণ জ্ঞান অংশ সমাধানঃ 

১। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা লিখুন।

উত্তরঃ সূচনা:

“তোমরা সৎপথে থেকো।মাতৃভূমিকে ভালোবেসো।তোমরা শুধু সামরিক বাহিনীকে নও,এটা আমাদের জনগণের বাহিনী।”- বঙ্গবন্ধু।

বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালে বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনে সেনা,নৌ,বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে।সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রক্ত বেসামরিক জনগণের রক্তের সাথে ২৯৭১ সালে এক নদীর এক স্রোতে মিশে গেছে।কেউ কোনোদিন আর পৃথক করতে পারবে না।তাদের আত্মত্যাগ অজর, অমর,অক্ষয়,অব্যয় হয়ে থাকবে মহাপ্রলয়ের শেষ রজনী পর্যন্ত।

বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনী:

“জনগন শান্তিতে ও নিশ্চিন্তে নিদ্রা যাপন করে,কারণ তারা জানে দেশের সশস্ত্র বাহিনী তাদের পক্ষে লড়তে সদা প্রস্তুত।” জর্জ অরওয়েল।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী আমাদের গর্ব ও জাতীয়ঐক্যের প্রতীক।দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন,মুক্তিযুদ্ধোত্তর দেশ গঠন,প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা এবং জাতিসংঘ মিশনে সততা ও দক্ষতার সাথে সশস্ত্র বাহিনীর দায়িত্ব পালনের কারণে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল।মূলত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীকে নিয়েই সশস্ত্র বাহিনী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাঁদের আত্মত্যাগের ফলে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি।অবশ্য বেসামরিক মানুষেরও অবদান কম নয়।সশস্ত্র বাহিনী দেশের প্রয়োজনে ও সকল সময় জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও যে কোন সংকটে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্যও সদা প্রস্তুত।

মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর ভূমিকা:

“আল্লাহর পথে সীমান্ত পাহারা দেয়া দুনিয়া ও দুনিয়ার উপর যা কিছু আছে তার চাইতে উত্তম।” (সহিহ বুখারি ও মুসলিম।)
বিমান বাহিনী আমাদের আকাশের সীমান্ত পাহারা দেয় এবং মুক্তিযুদ্ধে বিমান বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠিত হয়।ভারত সরকার বাংলাদেশকে মর্টার এয়ারক্রাফট, একটা ডাকোটা, ও দুটো হেলিকপ্টার প্রদান করে।এর ভিত্তিতে ১৯৭১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী পথচলা শুরু।দেরিতে পথচলা শুরু হলেও মুক্তিযুদ্ধে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল বিমান বাহিনী।মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বিমান ও হেলিকপ্টারকে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে সামরিক যুদ্ধ বিমানে রূপান্তরিত করে পাক হানাদার বাহিনীর উপর অসংখ্য সফল আক্রমণে তাদের যুদ্ধ করার ক্ষমতা বহুলাংশে হ্রাস করে।পাকিস্তান যখন বাংলাদেশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল তখন পশ্চিম পাকিস্তানে বিমান বাহিনীতে চাকরিরত অবস্থান বাংলাদেশকে বাঁচাতে বাংলাদেশের লোক এগিয়ে আসেন এবং ১১৩১ জন বীরযোদ্ধা নিয়মিতভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাহিনীকে করেছেন গর্বিত।তাঁদের মধ্যে একজন বীরশ্রেষ্ঠসহ
২২জন বীরযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধে সাহসী অবদানের জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খেতাবে ভূষিত হন।দেশমাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট ল্যাফটেনেন্ট মতিউর রহমান ১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট পাকিস্তানের মশরুর বিমান ঘাঁটি থেকে একটি টি-৩৩ বিমান ছিনতাই করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পরিকল্পনা করেন।কিন্তু বিমানটি পাকিস্তান – ভারত সীমান্তে বিধ্বস্ত হলে তিনি মতিউর রহমান শাহাদত বরণ করেন।নবগঠিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্যগণ ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে পাক-হানাদারদের উপর প্রথমে অটার বিমান এবং এ্যালুয়েট হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আক্রমণ পরিচালনা করে।১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এভাবে ৪৫টির অধিক বিমান অভিযান সাফল্যের সাথে পরিচালনা করা হয়।বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রামের ইস্টার্ণ রিফাইনারি তেল ডিপো,নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল তেল ডিপো, সিলেট,শ্রীমঙ্গল,কুমিল্লার দাউদকান্তি, নরসিংদী এবং ভৈরববাজারসহ বিভিন্ন এলাকার সফল অপারেশনের মাধ্যমে পাক হানাদার বাহিনীর বিপুল ক্ষতি সাধন করতে সক্ষম হয়।এর ফলে শত্রুর অপারেশনাল কার্যক্রমের ক্ষমতাসহ যুদ্ধ পরিচালনারর মনোবল হ্রাস পায় যা আমাদের মহান বিজয় অর্জনকে ত্বরান্বিত করে।তাদের এই সাহসী পদক্ষেপ বাংলার স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ করে নতুন মাত্রা।

মুক্তিযুদ্ধে সেনা বাহিনীর ভূমিকা :

“মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি, একটি ফুলের জন্য মোরা অস্ত্র ধরি।”

১০-১৫ জুলাই ১৯৭১ অনুষ্ঠিত সেক্টর কমান্ডার ও উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে সরকারের বৈঠক ও সম্মিলনের তৃতীয় দিন অর্থাৎ ১২জুলাই, একটি নিয়মিত বাহিনী বা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অংশগ্রহণকারী পাকিস্তান সেনাবাহিনী, ইপিআর ও পুলিশের বাঙালি সদস্যগণের সমন্বয়ে সেনাবাহিনী গঠিত হয়।সেনাবাহিনীর নিয়মিত ব্যাটালিয়নকে তিনচি ব্রিগেডে বিভক্ত করা হয়।সেনাবাহিনীর তির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জিয়াউর রহমান,মেজর সফিউল্লাহ ও মেজর খালেদ মোশাররফের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে যথাক্রমে জেড ফোর্স,এস ফোর্স এবং কে ফোর্স নিয়ে ব্রিগেড ফোর্সগুলো গঠিত হয়।তাঁরা বেসামরিক মানুৃষকে অস্ত্র চালনা শিখিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করে এবং প্রত্যক্ষভাবেও অনেকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।

মুক্তিযুদ্ধে নৌবাহিনীর ভূমিকা:

“আমাদের সুবিশাল সমুদ্র এলাকা ও সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় একটি সুপ্রশিক্ষিত ও শক্তিশালী নৌবাহিনী অত্যাবশ্যক। ” [বঙ্গবন্ধু, ১০ডিসেম্বর ১৯৭৪]
পাকিস্তান নৌবাহিনীর আট বাঙালি সদস্যের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত তাদেরকে বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় নৌবাহিনীর সহায়তায় কমান্ডো ট্রেনিং প্রদান করে।পরবর্তিতে নৌকামান্ডোর সংখ্যা হয় ৫১৫ জনে।২ আগস্ট থেকে নৌকামান্ডোর গেরিলা হামলা শুরু এবং কমান্ডো বাহিনীই ১৫ আগস্ট ‘অপারেশন জ্যাকপট’- পরিচালনা করেন।নৌকামান্ডো গঠনের মধ্য দিয়ে ‘বাংলাদেশ নৌবাহিনী’- গঠনের প্রারম্ভিক প্রক্রিয়া শুরু হয়।২১ নভেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশ বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা:

স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রতিরোধের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রথম যে বুলেটটি পাকিস্তানীদের দিকে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল তা ছিল রাজারবাগ পুলিশেরই।পাকিস্তানী হানাদার কর্তৃক রাজারবাগ ও ঢাকা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদটি প্রথম রাজারবাগের ওয়্যারলেস বেইজ থেকেই সমগ্র বাংলাদেশ প্রচার করা হয়।ফলে ঢাকা আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ জানতে পেরে বাংলাদেশের অধিকাংশ থানা ফাঁড়ির পুলিশ তাদের অস্ত্র ও গুলি সরিয়ে ফেলতে সমর্থ হয় যা পরবর্তিতে ব্যাপকহারে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহান করা হয়েছিল।যুদ্ধ চলাকালে রাজারবাগের মুক্তিকামী পুলিশ সদস্যরা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, অনেক জায়গায় সাধারণ জনগণকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়,তাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত, উদ্বুদ্ধ করে এবং নিজেরাও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে।।

সশস্ত্র বাহিনীর উপর অমানুষিক নির্যাতন :

কোন অভিযানে ধরা পড়া সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের উপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। তাদের নিষ্ঠুর ও লোমহর্ষক অত্যাচারের মধ্যে চোখ উপড়ে ফেলা, মাথায় আঘাত করে চূর্ণ-বিচূর্ণ করা,মুখ তেথলে দেওয়া,বেয়নেট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হৃৎপিন্ড উপড়ে ফেলা,আঙ্গুরে সূঁচ ফুটানো,নখ উপড়ে ফেলা,শরীরের চামড়া কেটে লবণ ও মরিচ দেওয়া ছিল খুবই সাধারণ ঘটনা,তবুও তাদের থেকে কোন তথ্য বের না হওয়ায় হত্যা করে নদী,জলাশয়ে,গর্তে ফেলে রাখত পাকিস্তানীরা।

উপসংহার:

“যুদ্ধ জয়ে ইচ্ছা ছাড়া যুদ্ধে যাওয়া ধ্বংসাত্মক। ” ডগলাস ম্যাকআর্থার
সত্যিই বাংলাদেশের সবাই স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিল বলেই আমরা এতো কম সময়ে মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করি।বাঙালিরা ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর,বাংলাদেশ স্বাধীন কর’- স্লোগানের মাধ্যমে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দিকে চূড়ান্তভাবে অগ্রসর হয় এবং সফলও হয়।আজ আমাদের দায়িত্ব এক সমুদ্র রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে সুখী সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠা করা।

২। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গুরুত্ব এবং বিরূপ প্রতিক্রিয়া কীরকম প্রভাব ফেলবে তার তুলনামূলক আলোচনা করুন।

উত্তরঃ আমাদের দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রধানত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের উপর নির্ভরশীল। দেশে নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার না হলে এবং পুরনো গ্যাস ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি না পেলে ভবিষ্যতে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভবপর হবে না। তাই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নিচের গুরুত্বসমূহ বহন করবে।

* দ্রুত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি।

* বিদ্যুৎ উৎপাদনে বহুমুখী জ্বালানির ব্যবহার।

* বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান উৎস হিসেবে কয়লাকে চিহ্নিতকরণ।

* বিদ্যুৎ উৎপাদনে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার।

* বিদ্যুৎ খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ পরিবহণ ও বিতরণ ব্যবস্থায় অপচয় রোধ।

* প্রতিবেশি দেশসমূহ হতে বিদ্যুৎ আমদানি।

*যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে নিরাপত্তার ঝুঁকিও অনেক কম।

*অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার নিত্তনৈমিত্তিক খরচ(operating cost) অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় অনেক কম।

*তৃতীয় প্রজন্মের রিয়্যাক্টর ব্যবহৃত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের আয়ুষ্কাল প্রায় ৬০ বছর যা অন্যান্য জ্বালানি নির্ভর উৎপাদন কেন্দ্রের তুলনায় অনেক বেশি।

*পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণ নেই বললেই চলে।

 

উপর্যুক্ত নীতিগুলোর মধ্যে পরমাণু শক্তি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদন অন্যতম। পারমাণবিক বিদ্যুৎ নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, মূল্য সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় বিশ্ব জ্বালানি মিশ্রণে পারমাণবিক শক্তি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়াম-২৩৫ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কার্বন, সালফার ও নাইট্রোজেন যৌগ নিঃসরণ হয় না।

তাছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা ব্যয় যে কোন জীবাশ্ম জ্বালানির প্ল্যান্টের চেয়ে অধিক সাশ্রয়ী। অধিকাংশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের আয়ুষ্কাল ৬০ বছর এবং পরবর্তীতে তা ৮০ বছর পর্যন্ত বর্ধিত করা যায়। যেখানে জীবাশ্ম জ্বালানির বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের আয়ুষ্কাল সর্বোচ্চ ২৫ বছর।

পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা পারমাণবিক বিদ্যুৎকে নবায়নযোগ্য (যেমন বায়ু বা সৌর) বিদ্যুতের সাথেই তুলনা করেন। কয়লা বা
গ্যাসভিত্তিক পদ্ধতিতে পরিবেশ দূষণের ফলে যে ক্ষতি হয়, সেটিকে যদি ঐ পদ্ধতিতে উৎপাদিত খরচের সাথে যোগ করা হয়, তাহলে পারমাণবিক বিদ্যুতের
অর্থনৈতিক সুবিধা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

বিভিন্ন বিরূপ প্রতিক্রিয়া বা ঝূঁকি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েই প্রকল্প পরিচালনার কাজ চলছে।

পরিশেষে বলতে চাই, দেশে দ্রুতবর্ধনশীল বিদ্যুতের চাহিদার কথা বিবেচনা করে সরকার যে বিকল্প পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে সেটি
প্রশংসনীয়। তবে, অতীতের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার মতো এতো বড় একটি বাজেটের প্রকল্প দূর্নীতি-গাফিলতির কারণে মুখ থুবড়ে পড়ুক সেটি এদেশের মানুষ দেখতে চায় না। দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দিককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এবং দূর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স
দেখিয়ে ঘোষিত সময়ের মধ্যে, উপযুক্ত অর্থায়নের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হোক এটিই আমাদের প্রত্যাশা।

৩। মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার সম্প্রসারণে করণীয়।

উত্তরঃ

দেশের আভ্যন্তরীণ কর্মসংস্থানে দীর্ঘস্থায়ী মন্দা চলছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থানের চাকাও শ্লথ ও নানাবিধ সঙ্কটের মুখে পড়েছে। বৈদেশিক রেমিটেন্স আয় এবং কর্মসংস্থানে অবদানের ক্ষেত্রে দেশের ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রধান সেক্টর গার্মেন্টস শিল্পের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাত। এই দুই সেক্টরের মধ্যে কোনটি বেশী গুরুত্বপূর্ণ তা নিরূপণ করাও এখন দূরূহ। এহেন বাস্তবতায় বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতের যে কোন সঙ্কট দেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা ও প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক বেশী গুরুত্ব বহন করে।

সৌদি আরব, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মত বন্ধুপ্রতিম মুসলিম দেশগুলোতে বাংলাদেশের শ্রমিকদের যে বিশেষ সুবিধার কথা বিবেচিত হয়ে আসছে তাতে এত দীর্ঘ সময় ধরে অচলাবস্থা থাকা অস্বাভাবিক ব্যাপার। যেখানে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ১০ লক্ষাধিক শ্রমিকের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থান হয়েছে, সেখানে প্রায় ২০ ভাগ প্রবৃদ্ধি ধরে ২০১৮ সালে লক্ষ্যমাত্রা ১২ লাখ নির্ধারণ সঠিক ছিল। তবে লক্ষ্য পুরণে যে সব প্রতিবন্ধকতা বিদ্যমান রয়েছে তা দূর করে সে লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় এ খাতে অভাবনীয় ধস নেমেছে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বৈদেশিক কর্মসংস্থানের এমন ধস নামার কোন সঙ্গত কারণ নেই। গত বছরের বৈদেশিক কর্মসংস্থানের চালচিত্র বিশ্লেষণ করলে এটা পরিস্কার হয়ে যায় যে, বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যে অর্জন তার প্রায় পুরোটাই বেসরকারী খাতের। সরকারী পর্যায়ে জিটুজি, জিটুজি-প্লাস ইত্যাদি পরিকল্পনায় গৃহিত উদ্যোগগুলো ব্যর্থ হওয়ার কারণেই বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতে এমন ধস সৃষ্টি হয়েছে কিনা সংশ্লিষ্টদের তা বিচার বিশ্লেষণ করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট সরকারী মিশনগুলোর ব্যর্থতা এখানে সুস্পষ্ট।
সরকারের ধারাবাহিকতায় নতুন বছরে দেশে নতুন মন্ত্রীসভা গঠিত হতে চলেছে। দেশের আভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মত অতিব গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সেক্টরের পুরনো সমস্যাগুলো দূর করতে নতুন ভাবে মূল্যায়ন ও উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। যতই দিন যাচ্ছে বৈদেশিত কর্মসংস্থানের গতি যেন শ্লথ হয়ে আসছে। প্রকাশিত রিপোর্টে জানা যায়, নভেম্বর মাসে ৭০ হাজারের বেশী শ্রমিক বিদেশে গেলেও ডিসেম্বরে এ সংখ্যা ৫০ হাজারের কম। আমাদের বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতের সম্প্রসারণ ও প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার পেছনে বেসরকারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন বা বায়রার বিশেষ ভ‚মিকা রয়েছে। এ খাতের বিদ্যমান সংকট দূরীকরণে সরকারী-বেসরকারী সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই। অতীতের ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দফতরকে আরো কার্যকর ও গতিশীল পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে নতুন মন্ত্রীসভায় একজন দক্ষ, যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মস্থান মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব দিতে হবে।

 

৪। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে করণীয়।

উত্তরঃ

আশা-নিরাশার দোলাচালে দোদুল্যমান রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। এর শেষ কোথায়, এখনও অজানা। তবুও হাল ছাড়ার সুযোগ নেই। যে করেই হোক, পোঁছাতে হবে গন্তব্যে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক জাতিগত নিধন তথা গণহত্যার কারণে ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এলে এটি বিশ্বের আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়। পরবর্তী সময়ে আরও প্রায় ৪ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে এলে বিপুলসংখ্যক ২০১৭ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ঠাঁই করে দিতে সরকারকে বেশ হিমশিম খেতে হয়।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও চীন, রাশিয়া, ভারত ও জাপানকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে কুটনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। তাই আশা করতে পারি, রোহিঙ্গা সংকটের বরফ গলবে। তবে আমাদের নীতি নির্ধারকদের যে বিষয়টি মাথায় রাখা জরুরি তা হল- ‘প্রটেক্টেট রিটার্ন টু প্রটেক্টেট হোমল্যান্ড’ নীতি বাস্তবায়ন করা। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে চাইলেই তারা যাবে না, কারণ তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পৈচাশিক নির্যাতনের শিকার হয়ে সহায়-সম্বল হারিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে- এটা ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না। রোহিঙ্গাদের মনে আস্থা তৈরির পাশাপাশি পুনর্বাসন কার্যক্রম সফল করতে চাইলে বিচক্ষণ কুটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে চীন, রাশিয়াসহ অন্যান্য ক্ষমতাধর দেশগুলোর সহায়তায় যে কাজগুলো আমাদের করতে হবে, তা হল-

১. রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনকারী সেনা ও কুশীলবদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের আওতায় আনা।

২. রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আবাসভূমি তৈরির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা জাতিসংঘের তদারকি নিশ্চিত করা।

৩. দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সমাপ্ত করা।

৪. তাদের হারানো সহায়-সম্পত্তি ফিরিয়ে দেয়া।

ইংরেজি অংশ সমাধানঃ

1. Passage: The railroad…….

2. Why do you want to join NSI? Write in 100 words.

Try yourself…

3. Write a letter to your friend living in Australia describing the winter season in Bangladesh.

Try yourself…

গণিত অংশ সমাধানঃ

১. ১ মিটার গভীর একটি খোলা বর্গাকার চৌবাচ্চায় ৪০০০ লিটার পানি ধরে। এর তলার দৈর্ঘ্য কত?

সমাধানঃ

এখানে, ৪০০০ লিটার= ৪ ঘনমিটার

ধরি, চৌবাচ্চার দৈর্ঘ্য=প্রস্থ=x ( যেহেতু চৌবাচ্চা বর্গাকার তাই দৈর্ঘ্য=প্রস্থ হবে)

প্রশ্নমতে,

x*x*1 = 4

বা, x2 = 4

x =2

উত্তরঃ ২ মিটার

সমাধানঃ

২। উৎপাদকে বিশ্লেষণ:
(ক) 8x^2-4x-1

সমাধানঃ

8x^2-4x-1

=1/2( 16×2- 8x-2)
= 1/2 ( 16×2- 8x+1 -3)
= 1/2 ( (4x-1)^2-(√3)^2)
= 1/2 ( 4x-1+√3) (4x-1-√3) Ans:

(খ) ax^2+(a^2+1) x+a

=ax2 + a2x + x +a

=ax (x +a) + 1 (x +a)

= (ax+1) (x+a) Ans:

 

NSI এর ওয়ারলেস অপারেটর পদের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নের সমাধানঃ ২০১৯

পরীক্ষাঃ ৮ নভেম্বর ২০১৯

পূর্ণমান -৭০

বাংলা অংশ অংশ সমাধানঃ

১. বাগধারা লিখুনঃ

গোড়ায় গলদ -শুরুতে ভুল

অকাল কুষ্মাণ্ড –অপদার্থ

কেতা দুরস্ত-পরিপাটি

কলমির ঝাড়- বংশে বহু লোক

অমবস্যার চাঁদদুর্লভ বস্তু

২. বিপরীত শব্দ লিখুনঃ 

প্রাকৃতিক-কৃত্রিম 

উঁচু-নিচু

আকুঞ্চন- প্রসারণ

অসার- সার

৩. ভাব সম্প্রসারণ : একতাই বল

মূলভাব : দশজনে মিলেমিশে কাজ করার আনন্দ ও শক্তি দুই-ই আলাদা। তাতে হার ও জিতের কোন ভয় নেই। লাজ-লজ্জা পাওয়ারও কিছুই নেই।
সম্প্রসারিত-ভাব : কথায় বলে ‘একতাই বল’। শুধু কথায় নয়, কাজেও তাই প্রমাণ পাওয়া যায়। আমরা যে কাজটি একা করতে লজ্জা বা ভয় পাই, সেটি যদি কয়েকজন মিলে মিশে করি, তবে আর সেখানে কোন লাজ লজ্জা, ভয় ডর থাকে না। কারণ সেখানে হারলে সবাই হারবে জিতলে সবাই জিতবে। এককভাবে যেমন কেউ লজ্জার ভাগী হবে না, তেমনি এককভাবে কেউ আনন্দও ভোগ করবে না। যে পরিণতি হবে তা সবার ওপরেই বর্তাবে। সুতরাং সেখানে হার, জিত নিয়ে কোন চিন্তা থাকে না। তা ছাড়া একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করলে যেমন আনন্দ পাওয়া যায় তেমনি শক্তিও বেশি পাওয়া যায়। ফলে অল্প আয়েশে কাজটি সুসম্পন্ন করা সম্ভব হয়। একা একা কাজ করা যায় বটে। কিন্তু তাতে নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকে, হার-জিতের প্রশ্ন আসে। দশজনে মিলে কোন কাজ করলে আর সে প্রশ্নটি আসে না। আর তাছাড়া সব কাজ একার পক্ষে সব সময় সম্ভবও হয় না। যেমন সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় বৃহত্তর কার্যসমূহ সম্পাদনের জন্য ঐক্যবদ্ধ শক্তি অপরিহার্য। ঐক্যবদ্ধ শক্তি ছাড়া বৃহৎ কোন কাজ সম্পন্ন করা যায় না। কাজেই সেসব কাজ সূসম্পন্ন করার জন্য দশজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টার কোন বিকল্প নেই। কিন্তু তাতে যদি পরাজয় আসে তাও অগৌরবের কিছু নেই। যেমন শুধু কোন রাষ্ট্রনায়কের একক প্রচেষ্টার দ্বারা জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষা করা যায় না। সে জন্য প্রয়োজন বৃহত্তর শক্তি। এক কথায় নাগরিকদের সম্মিলিত শক্তি ও প্রাণপণ প্রচেষ্টা। কিন্তু যদি শত্রুপক্ষ মহাপরাক্রমশালী হয় এবং তাদের কাছে নেটিভরা হেরেই যায়। তাতেও তাদের অগৌরবের কিছু নেই বা পরাজিত হওয়ার গ্লানি নেই। কারণ, তারা সম্মিলিতভাবে বীরের মত লড়াই করে হেরেছে। বরং এতে তাদের গৌরবই দীপ্ত হয়ে উঠবে।
সম্মিলিত প্রচেষ্টা সাধারণত সর্বত্রই বিজয়ী হয়। কদাচিৎ পরাজিত হলেও বিজয়ী হয়। কদাচিৎ পরাজিত হলেও তাতে লাজ লজ্জার প্রশ্ন আসে না।

৪. মেট্রোরেল সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করুন।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে নির্মিতব্য ভূ-উপরিস্থ রেল ব্যবস্থার নাম ঢাকা মেট্রো। ঢাকা মেট্রো রেল ব্যবস্থাকে ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানযিট সংক্ষেপে এমআরটি (MRT) হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। ২০০০ সাল থেকে অতি জনবহুল ঢাকা মহানগরীর ক্রমঃবর্ধমান যানবাহন সমস্যা ও পথের দু:সহ যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে এই ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানযিট ব্যবস্থা স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই উদ্দেশ্যে একটি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয় যার নাম ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট। ২০১৬ থেকে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২২ হাজার কোটি টাকা যার মধ্যে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)’র প্রকল্প ঋণ ৭৫ শতাংশ এবং বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ২৫ শতাংশ। ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা। বাকি পাঁচ হাজার ৩৯০ কোটি টাকার জোগান দিচ্ছে সরকার। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এই অগ্রাধিকার প্রাপ্ত প্রকল্পটির নয়টি টেস্ট পাইলের কাজ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যে। শুরু করা হয়েছে মূল পাইলের কাজ। একই সঙ্গে কারওয়ান বাজার-ফার্মগেট এলাকায় সার্ভিস লাইন সরানোর কাজও চলমান। একই প্রকল্পের মিরপুর-শেওড়াপাড়া-আগারগাঁও অংশে ডিভাইডার দিয়ে মূল লাইন স্থাপনের জন্য জায়গা সংরক্ষণ করা হয়েছে। রাস্তার আইল্যান্ড বরাবর এবং এর দুই পাশ থেকে জায়গা সংরক্ষণ করে মূল পাইলের কাজ শুরু হয়েছে এ অংশে। মেট্রোরেলের যাত্রী পারাপারের জন্য রেলকোচ তৈরির কাজ ইতিমধ্যে জাপানে শুরু হয়েছে। মেট্রোরেল প্রকল্পের লাইন-৬ এর পুরো কাজ আটটি প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্যাকেজ ৩ ও ৪-এর আওতায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার উড়ালপথ ও নয়টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। পরে এই উড়ালপথের ওপরই ট্রেনের জন্য লাইন বসানো হবে |

 

সাধারণ জ্ঞান অংশ সমাধানঃ

১.২০১৯ সালে শান্তিতে নোবেল কে পায়? উত্তরঃ আবি আহমেদ আলী

২.বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য কত? উত্তরঃ ৪.৮ কি.মি

৩. UNICEF এর পূর্ণ রুপ লিখ? উত্তরঃ The United Nations Children’s Fund

৪. মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কতটি ছিল? উত্তরঃ ১১ টি

৫. বর্তমানে ফিফার সভাপতি কে? উত্তরঃ জিয়ান্নি ইনফান্তিনো

৬. ২০২০ সালে অলিম্পিকস কোথায় হবে? উত্তরঃ টোকিও (জাপান)

৭. দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানীর নাম কি? উত্তরঃ প্রিটোরিয়া (প্রশাসনিক)

৮. মানুষের শরীরে রক্তের পরিমাণ কত লিটার?  উত্তরঃ গড়ে মানবদেহে ৫-৬ লিটার রক্ত থাকে

গণিত অংশ সমাধানঃ

১. x+y=4 হলে x3+ y3+12xy এর মান কত? উত্তরঃ

২. x-1/x=4 হলে x4-1/x4 এর মান কত? উত্তরঃ

৩. একটি বর্গাকার বাগানের চারদিকে ৩ ফিট চওড়া রাস্তা আছে। যদি রাস্তার ক্ষেত্রফল ৩ একর হয় তবে রাস্তা বাদে বাগানের চারদিকে বেড়া দিতে প্রতি গজ ৩.৫৪ টাকা খরচ হলে মোট ব্যয় কত হবে? উত্তরঃ

ইংরেজি অংশ সমাধানঃ

Bangla to English:

১.সূর্য পূর্ব দিকে উদিত হয়- Ans: The sun rises in the East.

২.আমি ক্রিকেট খেলা পছন্দ করি- Ans: I like Cricket.

৩. আপনার নাম কি? Ans: What is your name?

৪. ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী-Ans: Dhaka is the capital of Bangladesh.

৫. আমি যশোরে বসবাস করি-Ans: I live in Jessore.

English to Bangla:

1.  I know his name- উত্তরঃ আমি তাকে চিনি।

2. I am proud of my country-উত্তরঃ আমি আমার দেশ নিয়ে গর্বিত।

3. Everyone loves flowers- উত্তরঃ সবাই ফুল ভালবাসে।

4. Bangladesh was independent 1971- উত্তরঃ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল।

5. I eat rice- উত্তরঃ আমি ভাত খাই।

 

 

কারো  কাছে অন্যান্য পদের প্রশ্ন থাকলে আমাদের [email protected] এ মেইল করুন..

 

See/Download NSI Written Exam Question Solution 2019 From PDF & Images Below:

 

ফেসবুকের মাধ্যমে এই নিউজ ও আপনার কাঙ্খিত সকল তথ্য সবার আগে মোবাইলে Notification পেতে আমাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে লাইক দিন ও অফিশিয়াল ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত থাকুন। ধন্যবাদ

Courtesy: To all authorities from where documents are collected

N.B: Generally we try to update any news. For any Change, reform and  republished of any news we are not responsible.

For more update stay on our website jobstestbd.com

NSI Written Exam Question Solution 2019:

National Security Intelligence (NSI) Written Exam Question Solution 2019 has been published. Prime Minister’s Office (PMO) Job Question Solution 2019 has published by the authority. Prime Minister’s Office (PMO) has published job circular on various categorizes the post. Prime Minister’s Office (PMO) is one of the largest Government organization in Bangladesh. Prime Minister’s Office (PMO) has published a huge job circular by the Authority. All information regarding the appointment of Prime Minister’s Office (PMO) is given on our website jobstestbd.com. We  Publish all Jobs Circular Every day, Such as Government Jobs in Bangladesh, Bank Jobs in Bangladesh, Private Jobs in Bangladesh, International NGO in Bangladesh, Private Company in Bangladesh, Private University Jobs in Bangladesh. Bank Jobs Results, Government Jobs Results, Government University Jobs result in Bangladesh and all Part time Jobs in Bangladesh and other educational support are available here in our website. We provide different types of job information with also provide some effective information or resource and job tips which helps to get job easily. We trust that our distributing data helps the activity searchers who are finding a superior employment. We likewise share slanting assets for learner uniquely who is re expanding their insight. Our principle target turns into a trusty occupations round site in Bangladesh by distributing a genuine refresh that enables the joblessness to individuals. All the jobs of this website is not for the unemployed people but also employed people too. All type of suggestions, question solutions of different competitive exam are available here. We provide all type of educational support in our website jobstestbd.com. So everyday tune with our website for all kinds of educational support. Please like our facebook page jobstestbd.com.

 

 

 

Contact Us:

If you want to give advertisement in our website for any product of your organization  please contact with us by following Address.

 

 

Inbox to Facebook: jobstestbd.com
Email at : [email protected]
Contact No.: 01720403750

 

Mirpur 1, Dhaka, Bangladesh.

About Abd Mamin

I am a passionate blogger and at present working in a Government organization. I have completed my MBA from Rajshahi University. Educational content writing is my dearest passion. I hope all my educational content will help you in several extent. Thank you for visiting our website.
View all posts by Abd Mamin →