4th Week Assignment Answer 2021

4th Week Assignment Answer 2021 is available below. School 4th Week Assignment Question Solution, 4th Week Assignment Question Solved, 4 Assignment Answer, Assignment Answer of 4th Week, Fourth Week Assignment Ans, 4th Week Assignment For Class 6 7 8 9, Cotuttho Week Assignment All Classes and Subject Bangla, English, Science, Math, Physics, Biology, Chemistry, Mathematics, Islam & Moral Education, Accounting, Geography, ICT, History of Bangladesh, Physical education Subject. Secondary education 4th Week Assignment Question Answer is the search option to get all information of 4th Week Assignment Answer 2021.  

Looking For School 4th Week Assignment Answer 2021 and Question for sophistication 6,7,8,9? Then Read Next to urge it. Many students find it challenging to answer all of the questions within the assignment on their own. Therefore, we’ve tried to assist them by solving every week’s assignments. DSHE www.dshe.gov.bd 4th Week Assignment Will Published on 23 May 2021. on This Assignment Task, you’ll get Every Subject Question and Answer Through This Post.

The directorate of secondary and higher education has already released the assignment syllabus. You Must Submit Your Assignment Your School. See High School Fourth Week Assignment Question and Answer 2021.   

 

 

4th Week Assignment Answer 2021 for Class 6,7,8,9:   

Assignment Type: School /College Assignment 

4th Week Assignment Publish Date: 23 May 2021  

Assignment Class: Six to Nine 

Subject: All Subject 

Board: All Education Board  

Note: নিচে ৪র্থ সপ্তাহের ষষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীর এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ দেওয়া আছে। 

See/download School 4th Week Assignment Question All Subject in below PDF: 

School 4th Week Assignment Question 2021 PDF

4th Week Assignment Answer 2021 for Class 6:

Subject Name: Science (বিজ্ঞান)

Question:

তােমার পড়ার টেবিলের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা একটি স্কেলের সাহায্যে পরিমাপ করে খাতায় লিখ।
১. পড়ার টেবিলের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল নির্ণয়।
২. এটি ঘরের কতটুকু জায়গা (আয়তন) দখল করেছে তা বের কর।
৩. পড়ার টেবিল যে আয়তনের জায়গা দখল করে সে আয়তনের একটি পাত্রে কত লিটার পানি ধরবে তা যৌক্তিক কারণসহ ব্যাখ্যা কর।

Answer:

১ নং প্রশ্নের উত্তরঃ 

নিম্নে আমি আমার পড়ার টেবিলের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতার পরিমাপ একটি সেন্টিমিটার স্কেলের সাহায্যে মেপে উপস্থাপন করলাম।

আমার পড়ার টেবিলের দৈর্ঘ্য = ১৮০ সেন্টিমিটার

আমার পড়ার টেবিলের প্রস্থ = ১০০ সেন্টিমিটার

এবং আমার পড়ার টেবিলের উচ্চতা = ৯০ সেন্টিমিটার

আমার পড়ার টেবিলের পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল হবে (১৮০x১০০) বর্গ সেন্টিমিটার = ১৮০০০ বর্গ সেন্টিমিটার। [ ক্ষেত্রফল = (দৈর্ঘ্যxপ্রস্থ) বর্গ একক]

 

২ নং প্রশ্নের উত্তরঃ

আমার পড়ার টেবিল ঘরের ভেতরের যেটুকু জায়গা দখল করবে সেটাই হবে তার আয়তন।

আমার পড়ার টেবিলের আয়তন= (১৮০x১০০x৯০) = ১৬২০০০০ ঘন সেন্টিমিটার। [ আয়তন = (দৈর্ঘ্যxপ্রস্থ×উচ্চতা) ঘন একক]

 

৩ নং প্রশ্নের উত্তরঃ

আমার পড়ার টেবিলটি ঘরের ১৬২০০০০ ঘন সেন্টিমিটার জায়গা দখল করেছে।

প্রশ্নমতে, সমআয়তন পাত্রের আয়তন ১৬২০০০০ ঘন সেন্টিমিটার। তাহলে ওই পাত্রে যেটুকু পানি ধরবে তা ওই পাত্রের আয়তনের সমান হবে।

আমরা জানি যে, ১০০০ ঘন সেন্টিমিটার পানির আয়তন ১ লিটার ।

সুতরাং, ১৬২০০০০ ঘন সেন্টিমিটার পানির আয়তন =(১৬২০০০০ ÷ ১০০০) লিটার।

=১৬২০ লিটার।

উত্তর: পড়ার টেবিল যে আয়তনের জায়গা দখল করে সেই আয়তনের একটি পাত্রে ১৬২০ লিটার পানি ধরবে।

 

Subject Name: Arts and Crafts (চারু ও কারুকলা)

Question: 

আদিম মানুষের ছবি আকা ও বর্তমান সময়ের ছবি আকার তুলনামূলক বর্ণনা দাও।

Answer:

নিম্নে আদিম মানুষের ছবি আকা ও বর্তমান সময়ের ছবি আকার তুলনামূলক বর্ণনা দেওয়া হলোঃ 

মানুষের পদচিহ্ন ও স্মৃতির ছাপচিত্র রেখে যাওয়ার অভ্যাস চলে এসেছে সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে। তখন তো আর এমন ডায়েরি-ক্যামেরা ছিল না, গুহার দেয়ালে এঁকে রাখতো মনের ভাব।

প্রাচীন লোকের আঁকার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ছিল। কখনও কখনও তারা একে অপরের উপরে স্তরযুক্ত। প্রায়শই, শিল্পীরা প্রচুর পরিমাণে প্রাণীর চিত্রিত করেছিলেন।এই ক্ষেত্রে, অগ্রভাগের চিত্রগুলি সাবধানে চিত্রিত করা হয়েছিল, এবং বাকিগুলি – পরিকল্পনা অনুসারে। আদিম লোকেরা তাদের অঙ্কনের সিংহভাগ অঙ্কনে রচনাগুলি তৈরি করেনি।

প্যালিওলিথিক সময়কালে, প্রথম চিত্রকলার সরঞ্জাম ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছিল। এগুলি ছিল প্রাণীর পশম থেকে তৈরি লাঠি এবং আদিম ব্রাশ। প্রাচীন শিল্পীরা তাদের “ক্যানভাসগুলি” আলোকিত করার যত্নও নিয়েছিলেন। ল্যাম্পগুলি পাওয়া গেল যা পাথরের বাটি আকারে তৈরি হয়েছিল।

অঙ্কন তৈরি করতে, আদিম শিল্পীরা একটি বিশেষ কৌশল ব্যবহার করেছিলেন। প্রথমে তারা একটি ছানির সাহায্যে একটি পাথর বা পাথরের পৃষ্ঠে কোনও প্রাণীর চিত্র আঁচড়ালো এবং তারপরে এটি রং প্রয়োগ করেছিল। এটি প্রাকৃতিক উপকরণ থেকে তৈরি হয়েছিল – বিভিন্ন রঙের কালো রঙ এবং কালো রঙ্গক, যা কাঠকয়লা থেকে খনন করা হয়েছিল। পেইন্ট ঠিক করতে, প্রাণীর জৈবিক (রক্ত, চর্বি, মস্তিষ্কের পদার্থ) এবং জল ব্যবহার করা হত। প্রাচীন শিল্পীদের নিষ্পত্তি করার জন্য কয়েকটি রঙ ছিল: হলুদ, লাল, কালো, বাদামী।

বর্তমানে সবার হাতে রয়েছে নানা ধরনের স্মার্টফোন। তবে, বেশি দেখা যায়, যে স্মার্টফোনে সেলফি ভালো হয়। আর মোবাইলে সেলফি তোলার এই যুগে হাতে আঁকা ছবি তোলার চল একেবারেই কমে এসেছে। তবে অনেকেই আছেন যারা শিল্পীর রঙ-তুলি-পেনসিলের আঁকা ছবি এখনো পছন্দ করেন।

বর্তমানে ছবি আঁকার জন্য অ্যাক্রেলিক রং নামে এক ধরনের রঙে খুব তাড়াতাড়ি ছবি আঁকা যায়। এই রং পানি ও তেল মিশিয়ে দুরকমভাবেই করা যায়। বাংলাদেশের শিল্পীদের কাছে অ্যাক্রেলিক রং এখন বেশ । প্রিয়। এই অ্যাক্রেলিক রঙে ছােটরাও ছবি আঁকতে পারে। তবে যথেষ্ট তাড়াতাড়ি আঁকতে হয় বলে ছােটদের। জন্য একটু কঠিন। ছােটদের জন্য জলরং, পােস্টার রং, মােম প্যাস্টেল- এসব রঙই ভালাে।

এখন ছবি আঁকার জন্য নানা ধরনের কাগজ তৈরি হচ্ছে, ক্যানভাস তৈরি হচ্ছে, ধাতব প্লেট বা জমিন তৈরি করা হচ্ছে। মাটির ফলক এখন অনেক উন্নত হয়েছে। অনেকদিন থেকে কাচের ওপর রং দিয়ে যেমন আঁকা হচ্ছে, অন্যদিকে ধারালাে ছুরি বা সুচালাে পাথর দিয়ে আঁচড় কেটে ছবি ফুটিয়ে তােলা হচ্ছে। কাগজে, ক্যানভাসে, মাটিতে, পাথরে, ধাতুর পাতে ও কাচের ওপর ছবি ফুটিয়ে তােলার জন্য রয়েছে নানারকম উপায়, পদ্ধতি। ছবি আঁকার জন্য এখন অনেক রকম রং ব্যবহার করা হয়। পানিতে মিশিয়ে যে রং তৈরি করা হয় তার নাম জলরং। মােম মেশানাে এক রকম রঙের কাঠি তৈরি হয়েছে, তার নাম প্যাস্টেল রং। রঙের সাথে তেল ও তারপিন মিশিয়ে বড় বড় শিল্পীরা ক্যানভাসে বা কাঠের পাটাতনে যে ছবি আঁকেন, তার নাম তৈলরং।

 

এক নজরে আদিম মানুষের ছবি আকা ও বর্তমান সময়ের ছবি আকার তুলনামূলক পার্থক্য নিম্নরুপঃ 

 

১. আদিম যুগের মানুষেরা ছবি আঁকার জন্য যে  উপকরণগুলো  ব্যবহার করত সেগুলো প্রায় সবই ছিলো প্রাণীর হাঁড়, পশম, পাথরের টুকরো ইত্যাদি । অন্যদিকে বর্তমানে সময়ের ছবি আঁকা হয় সব আধুনিক  উপকরণ ব্যবহার করে।

২। আদিম যুগের মানুষ ছবি আঁকত কিন্তু তাদের আঁকা ছবিগুলো শুধু আটকে ছিল পশু প্রাণীর মধ্যে।  কারণ তাদের ছিল না বাড়ি ঘর, ছিল না খুব বেশি অবসর সময় কাটানোর সুযোগ। কিন্তু বর্তমান সময়ের আঁকা ছবির মধ্যে নেই কোন সীমাবদ্ধতা মুক্ত পাখির  মত যা ইচ্ছা আঁকা যায়।

৩। আদিম যুগের আঁকা ছবিগুলো প্রায় সবই ছিল গুহায় মধ্যে পাথরে আঁকা কিন্তু বর্তমানে কাগজ, দেয়াল, রাস্তা সবখানেই মানুষের আঁকা ছবির বিচরণ।

৪।  আদিম মানুষের আঁকা ছবিগুলোতে ছিল না কোন ব্যাপকতা পক্ষান্তরে বর্তমানে আঁকা ছবির ব্যাপকতার শেষ নাই।

৫। আদিম যুগে যারা ছবি আঁকত তারা কেউই ছিল না তেমন দক্ষ ফলে ছবিগুলো খুব সুন্দর লাগত না কিন্তু বর্তমানে যারা ছবি আঁকে তারা খুব দক্ষ এবং ছবি আঁকেন অনেক  নিপুণভাবে।

৬। আদিম মানুষ ছবি আঁকত অন্ধ বিশ্বাসে যে শিকারের ছবি আঁকলে সফল হওয়া যাবে । কিন্তু এখন মানুষ ছবি আঁকে মনের খোরাক নিবারণের জন্য সাথে অর্থনৈতিকভাবে  লাভবান হওয়ার জন্য ।

 

4th Week Assignment Answer 2021 for Class 7:

Subject Name: Science (বিজ্ঞান)

Question:

১। তােমার বাড়ীর দেওয়ালে অথবা আশে পাশের দেওয়ালে যে সাদা ও সবুজ রং কী কারনে হয় বলে তুমি মনে কর।

২। তােমার শরীরে হালকা জ্বর ও ডাইরিয়া কী কারনে হয় বলে তুমি মনে কর।

৩। স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও নিরাপদ পানি তােমার জীবনে কতটুকু গুরুত্ব বহন করে – যৌক্তিকতা নিরুপন করে ব্যাখ্যা কর।

 

Answer:

১ নং প্রশ্নের উত্তরঃ 

বাড়ির দেওয়ালে অথবা আশপাশের দেওয়ালে যে সাদা ও সবুজ রং দেখা যায়, তার কারণ হলাে যথাক্রমে ছত্রাক ও শৈবাল। প্রধানত ক্লোরােফিলযুক্ত ও স্বভােজী উদ্ভিদরাই শৈবাল। এরা আলােকিত স্থান পছন্দ করে। এরা মাটি, পানি, ঘরের দেওয়াল ও অন্য গাছের উপর জন্মাতে । পারে। এদের দেহ এককোষী বা বহুকোষী হতে পারে। এদের দেহে কোন পরিবহন কলা থাকে না। এর সবুজ, লাল, বাদামী ইত্যাদি নানা রঙের হতে পারে ।

ছত্রাক এক প্রকার সমাঙ্গ দেহী ক্লোরােফিল বিহীন অসবুজ উদ্ভিদ। এরা সালােকসংশ্লেষণ করতে পারে না ছায়াযুক্ত স্থানে। | এবং ভেজা স্থানে জন্মায়। বাড়ির দেয়ালে এবং জৈব পদার্থ পূর্ণ মাটিতে ছত্রাক জন্মায়। ছত্রাক সাধারণত সাদা রঙের হয়ে থাকে।

অতএব, বাড়ির দেওয়ালে অথবা আশপাশের দেওয়ালে যে সাদা ও সবুজ রং হয় তা এসব অণুজীবের কারণে হয়ে থাকে।

 

২ নং প্রশ্নের উত্তরঃ 

আমার শরীরে হালকা জ্বর ও ডায়রিয়া যথাক্রমে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে স্বলে আমি মনে করি। ভাইরাসের কারণে জ্বর হয় । ভাইরাস হচ্ছে সরলতম জীব । এদের দেহে কোষপ্রাচীর, প্লাজমালেমা, সুসংগঠিত | নিউক্লিয়াস, সাইটোপ্লাজম ইত্যাদি কিছুই নেই । ভাইরাস জীবিত দেহ ছাড়া বা জীব দেহের বাইরে জীবনের কোনো  লক্ষণ দেখা দেয় না।

এ কারণে ভাইরাস প্রকৃত পরজীবী। ভাইরাস গোলাকার, দন্ডাকার, ব্যাঙাচির ন্যায় ও পাউরুটির হতে পারে। আর ভাইরাসের ফলে মানব দেহে বসন্ত, হাম, সর্দি, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগ হয়। বসন্ত হাম সর্দি ইত্যাদি বায়ুবাহিত রোগ। যার ফলে আমাদের শরীরে জ্বর অনুভব হয় ।

ব্যাকটেরিয়ার কারণে ডায়রিয়া হয়ে থাকে । ব্যাকটেরিয়া হচ্ছে একপ্রকার আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত অসবুজ এককোষী অণুবীক্ষণিক জীব। ব্যাকটেরিয়া প্রধানত চার প্রকার হতে পারে । যথা : কক্কাস, ব্যাসিলাস, কমা, স্পাইরিলাম। ব্যাকটেরিয়ার ফলেই নিউমোনিয়া, ধনুষ্টংকার, রক্তামাশয়, ডায়রিয়া, কলেরা ইত্যাদি রোগের সৃষ্টি হয়।

হাত মেলানাের মাধ্যমেও ব্যাকটেরিয়া একজন থেকে অন্যজনে অতি সহজে স্থানান্তরিত হতে পারে । পঁচা-বাসি খাবারের মাধ্যমে জীবাণু সহজেই ছড়ায় । ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও এন্টামিবা মানুষের শরীরের বিভিন্ন রােগ ছড়ায় ।

৩ নং প্রশ্নের উত্তরঃ  

”স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও নিরাপদ পানি আমার জীবনে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে ।” নিচে এই উক্তিটির যৌক্তিকতা নিরূপণ হলোঃ

ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও এন্টামিবার যেসব রোগ সৃষ্টি করে তা প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতে হলে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও নিরাপদ পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ । যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগের কারণে স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা সৃষ্টি হয়। এসব মলমূত্রে যে জীবাণু থাকে তা ভক্ষণকারী অন্য জীব এগুলােকে ছড়িয়ে দেয়। আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো  কিছু ব্যবহার করলে ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি জনিত রোগ এবং বর্তমানে করোনা ভাইরাসসহ ইত্যাদি রোগ ছড়াতে পারে। আবার আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে, ময়লা,  পানিতে গোসল করলে এবং ময়লা পানি ব্যবহার করলে  মানবদেহে চর্ম রোগসহ অন্যান্য রোগের সৃষ্টি হতে পারে ।

ব্যাকটেরিয়া জীবাণু সহজেই দেহের অভ্যন্তরে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করতে পারে। নিরাপদ পানির অভাবে ও যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগের কারণে এ সকল রোগ সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। যেসব স্থানে স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নেই এবং  যে সকল স্থানে মানুষ মাঠ বা কাঁচা পায়খানা ব্যবহার করে সেখানে এন্টামিবা আক্রান্ত ব্যক্তির মল মাঠের মাটিতে মিশে যায় । যার ফলে এ মাটি হাতে লাগলে বা এ মাটিতে যে সবজি চাষ করা হয় তাতে এসকল জীবণু লেগে যায়। এই সবজি পরবর্তীতে খাবারের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করে আর এভাবে আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হই । আবার কলেরা টাইফয়েড ইত্যাদি সৃষ্ট রোগ থেকে বাঁচতে নিরাপদ পানি পান করা খুবই জরুরী। তাই পরিশেষে বলা যায় যে, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ও নিরাপদ পানি আমাদের। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

খাবার-পানি নিরাপদ হওয়া খুবই জরুরী। কলেরা, টাইফয়েড ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়া সৃষ্ট রােগ থেকে বাঁচতে অবশ্যই নিরাপদ পানি ব্যবহার করতে হবে। পান করা, গােসল ও কাপড় কাচা, বাসন ধােওয়া ইত্যাদির জন্য নিরাপদ পানি ব্যবহার করা উচিত আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েলের পানি নিরাপদ। পুকুর ও নদীর পানি ব্যবহারের পূর্বে ভালােভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। অন্যথায়, আর্সেনিক আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হতে পারে ।

 

Subject Name: Arts and Crafts (চারু ও কারুকলা)

Question: 

চারু ও কারুকলা জীবন যাপনকে সুন্দর ও রুচিশীল করে এবং সমাজকে সুন্দরভাবে গড়তে সাহায্য করে- ব্যাখ্যা কর।

Answer:

চারুকলা বা ললিতকলা (ইংরেজি: Fine Arts) বলতে শিল্পকলার বেশ কিছু ধারার একটি দলকে বোঝায়, যার মধ্যে অঙ্কন, ভাস্কর্য, স্থাপত্য, সঙ্গীত, কাব্য, মঞ্চনাটক, নৃত্য, আবৃত্তি ও অভিনয় অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে, ললিতকলায় সাধারণভাবে চলচ্চিত্র, ফটোগ্রাফি, ধারণাগত শিল্প, ও প্রিন্টমেকিং যুক্ত হয়। অন্যদিকে যে কলা বা শিল্প প্রধানত দৈহিক ও ব্যবহারিক চাহিদা মেটানাের সঙ্গে আনন্দ দান করে, তাকে কারুকলা বলা হবে। এই দুইয়ের উদ্দেশ্য হলাে শিশুর দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, আধ্যাত্মিক, নৈতিক, মানবিক ও নান্দনিক বিকাশ ঘটানাে এবং তাদের দেশাত্মবােধ, বিজ্ঞানসম্মত সৃজনশীলতা ও উন্নত জীবনের স্বপ্ন দর্শনে উদ্বুদ্ধ করা।

 

জীবন যাপনকে সুন্দর ও রুচিশীল করতে এবং সমাজকে সুন্দরভাবে গড়তে চারু ও কারুকলার গুরুত্ব নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ  

দেশের কাজে, জনগণের প্রয়ােজনে ও কল্যাণে সমাজে চিত্রশিল্পীদের প্রয়ােজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিল্পী তৈরি করার জন্য একটি কলেজ বা প্রতিষ্ঠান যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরকারিভাবেই শুরু করতে হবে। সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে হবে এবং তাদেরকে বিভিন্ন রােগ থেকে নিরাময় পেতে হলে ছবি এঁকে পােস্টার তৈরি করে খুব সহজেই বােঝানাে যায়। যা বইপুস্তকে লেখালেখি করে বােঝানাে সহজ নয়। কারণ দেশে লেখাপড়া জানা মানুষের সংখ্যা খুব কম। সহজে চাষ করা, সেচ দেওয়া, পােকামাকড় থেকে সাবধান থাকা থেকে শুরু করে কীভাবে কৃষি ফলন বাড়ানাে যায় তা ছবি এঁকে সাধারণ কৃষককে বােঝানাে যায়। সরকারের বিভিন্ন বিষয়ের প্রচার কাজে রাস্তায় হাঁটাচলা, বাস-ট্রাক চলাচলের নিয়ম-কানুন ইত্যাদির জন্য পােস্টার ও প্রচারপত্রের জন্য শিল্পীর প্রয়ােজন হবে। সদ্য নতুন দেশে শিল্প কারখানা ধীরে ধীরে গড়ে উঠবে। এসব কারখানার উৎপাদনের পর বাজারে ও বিদেশে রপ্তানি করতে গেলে নানারকম রঙে মােড়ক তৈরি করতে হবে। নকশা ও ছবি আঁকতে হবে। ছবি এঁকে বিজ্ঞাপন করতে হবে। মানচিত্র আঁকা, স্কুল-কলেজের পুস্তকের জন্য ছবি আঁকা, চিকিৎসাবিদ্যা ও কারিগরিবিদ্যার বই পুস্তকের জন্য শিল্পীর প্রয়ােজন জরুরি।

 

4th Week Assignment Answer 2021 for Class 8:

Subject Name: Science (বিজ্ঞান)

Question:

চিংড়ি, মৌমাছি, ফিতা কৃমি, সাপ, কাক, তারা মাছ, ঝিনুক, রুই মাছ, বিড়াল, হাহড্রা – প্রাণীগুলো থেকে যে কোনো ৮টির পর্ব, বৈশিষ্ট্য ও বাসস্থান উল্লেখ করে একটি ছক তৈরি কর। এগুলোর মধ্যে থেকে তোমার পরিচিত প্রাণীগুলোর কিরুপ প্রভাব তোমার জীবনে রয়েছে তা উল্লেখ কর।

সংকেতঃ প্রভাব নিরুপনে উপকারী ও অপকারী উভয় দিক বিবেচনা করা। 

Answer:

ক)  চিংড়ি
পর্বঃ Arthropoda (আথ্রোপােডা)  
 
বৈশিষ্ট্য: এদের মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে। দেহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত ও সন্ধিযুক্ত উপঙ্গ বিদ্যমান। নরম দেহ কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত। দেহের রক্তপূর্ণ গহবর হিমােসিল নামে পরিচিত।
বাসস্থান: এরা পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র সকল পরিবেশে বসবাস ঝরে। এদের বহু প্রাণী জ্বলে, স্বাদু পানিতে ও সমুদ্রে বাস করে।
উপকারিতা: চিংড়ি মাছ আমাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করে থাকে।
অপকারিতা: চিংড়ি মাছ খেলে এলার্জি জনিত সমস্যা হতে পারে।
খ) মৌমাছি 
পর্ব: আথ্রোপােডা (Arthropoda) 
বৈশিষ্ট্য: মাথায় একজোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা থাকে। দেহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত ও সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান। নরম দেহ কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত। দেহের তনয় রক্তপূর্ণ গহবর হিমােমিল নামে পরিচিত।
বাসস্থান: এরা পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র সকল পরিবেশে বসবাস করে। এদের বহু প্রাণী স্থলে , স্বাদু পানিতে ও সমুদ্রে বসি করে।
উপকারিতা: মৌমাছির সাহায্যে উৎপাদিত মধু আমাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করে থাকে। হতে পারে।
 
অপকারিতা: মৌমাছির কামড়ে বিষাক্ত জনিত ব্যথা হয়।
গ) ফিতা কৃমি 
পর্ব: প্লাটিহেলমিনথেস (Platyhelminthes)
বৈশিষ্ট্য: দেহ চ্যাপ্টা , উভলিঙ্গ। এরা বহিঃপরজীবী ও অন্তঃপরজীবী। পুরাে কিউটিকল দ্বারা আবৃত থাকে দেহে চোষক ও আংটা থাকে। দেহে শিখা অঙ্গ নামে বিশেষ অঙ্গ থাকে। এগুলাে রেচন অঙ্গ হিসাবে কাজ করে। পৌষ্টিকতন্ত্র অসম্পূর্ন বা অনুপস্থিত।
বাসস্থান: এই পর্বের বহু প্রজাতির বহিঃপরজীবী , অন্তঃপরজীবী হিসেবে অনজীব দেহের বাইরে বা ভিতরে বসবাস করে। এ পর্বের কিছু প্রজাতি মুক্তজীবী হিসেবে স্বাদু পানিতে আবার কিছু প্রজাতি লবণাক্ত পানিতে বাস করে। তবে এ পর্বের কোনাে কোনো প্রাণী ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে মাটিতে বাস করে।
উপকারিতা: ফিতাকৃমির কোন উপকারিতা নেই।
অপকারিতা: ফিতাকৃমি দেহে বমি বমি ভাব , পেট ব্যথা ইত্যাদি সৃষ্টি করতে পারে।
ঘ) সাপ  
পর্ব: কর্ডাটা (Chordata) এরা সরীসৃপ (Reptile)
বৈশিষ্ট্য: বুকে ভর করে চলে। ত্বক শুষ্ক ও আঁশযুক্ত। চারপায়েই পাঁচটি করে নখর যুক্ত আঙ্গুল আছে।
বাসস্থান: এরা বৃক্ষবাসী, মরুবাসী, মেরুবাসী, গুহাবাসী, খেচর ইত্যাদি হয়ে থাকে।
উপকারিতা: ধান ক্ষেতের ইদুর এবং ক্ষতিকর পােকা দমনে সাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
উপকারিতা: সাপের কামড়ের ফলে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।
ঙ) কাক 
 
পর্ব: কর্ডাটা (Chordata) এরা পক্ষীকুল (Aves) 
 
বৈশিষ্ট্য: দেহ পালকে আবৃত। দুটি ডানা , দুটি পা ও একটি চঞ্চ আছে। ফুসফুসের সাথে বায়ুথলি থাকায় সহজে উড়তে পারে । এরা উষ্ণ রক্তের প্রাণী। হাড় শক্ত , হালকা ও ফাপা।
বাসস্থান: এরা বৃক্ষবাসী।
 
 উপকারিতা: কাক পরিবেশের ময়লা আবর্জনা খেয়ে পরিবেশকে দূষণমুক্ত করে।
 
 অপকারিতা: কাক মানুষের উৎপাদিত বিভিন্ন ফল গাছ থেকে খেয়ে নষ্ট করে ফেলে।
চ) ঝিনুক 
 
পর্ব: মলাস্কা (Mollusca)
বৈশিষ্ট্য: দেহনরম । নরম দেহটি সাধারণত শক্ত খােলস দ্বারা আবৃত থাকে। পেশীবহুল পা দিয়ে এরা চলাচল করে। ফুসফুস বা ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
বাসস্থান: এদের প্রায় সবাই সামুদ্রিক এবং সাগরের বিভিন্ন স্তরে বাস কয়ে। তবে কিছু কিছু প্রজাতির পাহাড়ি অঞ্চলে বন – জঙ্গলে ও স্বাদু পানিতে বাস করে।
উপকারিতা: সবুজ ঝিনুক পেশি, টিস্যু ও কোশকে চাঙ্গা করে তােলে , যা স্নায়ুর বিকাশে সহায়ক। অ্যাস্থমা রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
ঝিনুকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় এটি বাতের ব্যথা ও শরীরের স্টিফনেস সারাতে সায়ক। দেহের প্রতিরােধ ক্ষমতা বাড়িতে তুলতে ঝিনুক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অপকারিতা: পাচনতন্ত্র এবং প্লীহা রােগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ঝিনুক মারাত্মক ধরনের সমস্যা হওয়ার ভয় থাকে।
ছ ) রুই মাছ 
 
পর্ব: কর্ডাটা (Chordata)
 
বৈশিষ্ট্য: অধিকাংশই স্বাদু পানির মছি। মাথার দুই পাশে ৪ জোড়া ফুলকা থাকে। ফুলকা গুলাে কানকো দিয়ে ঢাকা থাকে। ফুলকার সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়।
 
বাসস্থান: স্বাদু পানি, সমুদ্র ইত্যাদি।
উপকারিতা: রুই মছি আমাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য করে। প্রতিরোধ কম্বেস্তিয়ৱীৱজরাবা ব্যাকটেরিয়ায়
অপকারিতা: অতিরিক্ত মাছ খেলে রােগ কমে গিয়ে শরীর ভাইরাস বা আক্রান্ত হতে পারে, হতে পারে রোগ সংক্রমণ।
জ) বিড়াল 
 
পর্ব : স্তন্যপায়ী (Mammalia)
বৈশিষ্ট্য: দেহ লােমে আবৃত থাকে। উষ্ণ রক্তের প্রাণী। চোয়ালে বিভিন্ন ধরনের দাঁত থাকে। হৃদপিণ্ড চার প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট।
বাসস্থান: এরা স্থলে বসবাস করে।
 
উপকারিতা: বিড়াল ঘরের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাহায্য করে।
অপকারিতা: বিড়ালের আঁচড়ে কামড়ে বিভিন্ন রকমের রােগের সৃষ্টি হতে পারে।
ঝ) হাইড্রা
পর্ব: Cnidaria (নিডারিয়া) 
বৈশিষ্ট্য: এরা পুনরুৎপত্তি ক্ষমতার জন্য বিখ্যাত। হাইড্রা মুক্তজীবী। এরা মিঠাপানিতে নিমজ্জিত কঠিন বস্তু এবং জলজ উদ্ভিদের পাতার নিচের তলে সংলগ্ন থেকে নিম্নমুখী হয়ে ঝুলে থাকে। এরা মাংসাশী। কর্ষিকার সাহায্যে খাদ্য গ্রহণ করে।
বাসস্থান: এরা জলে বসবাস করে।
উপকারিতা: হাইড্রার কোন উপকারিতা নেই। তবে গবেষণার বিভিন্ন কাজে এটি ব্যবহার করা হয়।
অপকারিতা: হাইড্রা বিভিন্ন ধরনের জলজ অমেরুদন্ডী প্রাণী খেয়ে ফেলে।

Subject Name: Arts and Crafts (চারু ও কারুকলা)

Question: 

গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে কারুশিল্পের ব্যবহার এবং তার নান্দনিক দিকগুলি মূল্যায়ন কর।

সংকেত:

০১। কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে কারুশিল্পের ব্যবহার করা হয় তা চিহ্নিত কর। (যেমন: কুলা, ডালা)
০২। কী কী উপকরণ ও কীভাবে নান্দনিক রূপ দেয়া হয় তা’ উল্লেখ কর।

নির্দেশনা: তােমার দেখা কোন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতার আলােকে লিখ।

Answer:

গায়ে হলুদ বিবাহ অনুষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। বিবাহের মূল অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আনুষঙ্গিক নানা ধরনের আচার-অনুষ্ঠান সম্পাদিত হয়।  গায়ে হলুদ বাঙালি জাতির বহুল প্রচলিত উৎসবের মধ্যে একটি। এই উৎসব বহু কাল বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। আর গায়ে হলুদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো হলুদ  যা ছাড়া গায়ে হলুদ কল্পনা করা যায় না। এছাড়াও বিভিন্ন জিনিসপত্রে করা হয় কারুশিল্পের ব্যবহার এবং নান্দনিকভাবে জিনিসগুলোকে ফুটিয়ে তোলা হয়। আমার দেখা গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যে সব উপকরণ ব্যবহৃত হয়েছিল সেগুলো হলো:

ক) কুলা

খ) ডালা

গ) বাটি

ঘ) ফলমূল

ঙ) বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি

চ) গায়ে হলুদের পোশাক

ছ) গায়ে হলুদ নেমপ্লেট

 

আমার দেখা কোন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতার আলােকে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে কারুশিল্পের ব্যবহার এবং তার নান্দনিক দিকগুলি মূল্যায়ন করা হলোঃ  

আমার দেখা গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান ডালা দিয়েই শুরু হয় প্রথম পর্ব। আর সেখানে ছিল বর-কনেকে দেয়া উপহার সামগ্রী সহ আরো অনেক কিছু। প্রথমদিকে শুধু বেতের ঢালাই প্রচলন ছিল। এখন সুদৃশ্য পলি অথবা কাপড় দিয়ে মোড়া বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর ডালা পাওয়া যায়। সঙ্গে লেইস ফিতা জড়িয়ে ডালায় আনা হয়েছিল নতুনত্ব। মাছের ও পোশাকের ডালা রঙিন সেলোফেন পেপার এবং নানা রঙের নেটের কাপড় পেচিয়ে চারপাশে সোনালী রঙের ফিতা দিয়ে বেঁধে সাজানো হয়েছিল। ফলে এটি সুন্দর দেখাচ্ছিল। এই বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে কুলায়  ছিল নতুনত্ব। যেখানে কুলা ছিল বিভিন্নভাবে নকশাময়। কুলার চারদিক বিভিন্ন রংয়ের কাপড় দিয়ে মোড়ানো ছিল এবং ভিতরে বিভিন্ন পাতা, ফুল ইত্যাদি নকশা করা ছিল যা দেখতে অনেক সুন্দর। আমাদের দেশের গায়ে হলুদের  প্রচলিত পোশাকের মধ্যে রয়েছে হলুদ পাঞ্জাবি এবং হলুদ রংয়ের শাড়ি। আমার দেখা অনুষ্ঠানে এসব সবই ছিল। আত্মীয়-স্বজনরা কমবেশি সবাই হলুদ পাঞ্জাবী পড়েছিল যাতে লতাপাতা ইত্যাদির কিছু কারুকাজ ছিল এবং শাড়ির ক্ষেত্রে মেয়েগুলোর সাথে কনেও হলুদ শাড়ি পড়েছিল। হলুদের শাড়ির পাড় ছিল লাল যাতে কিছু কাজও করা ছিল। তবে বরের হলুদে সে গেঞ্জি এবং লুঙ্গি পড়েছিল। বর ও কনে উভয় পক্ষের গায়ে হলুদে বর বা কনের নাম অনুসারে নেমপ্লেট টাঙ্গানো হয়েছিল। যা বিভিন্নভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, সেখানে ছিল গায়ে হলুদের সাজ এবং গায়ে হলুদ লেখায় বৈচিত্রতা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরণের মিষ্টান্ন ও ফলমূল সাজানো ছিল। যেমন লাড্ডু, গোল্লা, সন্দেশ, কলা, আপেল, আঙ্গুর ইত্যাদি। এসব ফল নানাভাবে কেটে রাখা হয়েছিল যা নতুন রূপ ধারণ করেছিল যা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছিল।

 

 

4th Week Assignment Answer 2021 for Class 9:

Subject Name: Bangla (বাংলা) 

Question:

‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে মানবিক সমাজ গঠনে যে প্রতিবন্ধকতাসমূহ রয়েছে তা কীভাবে দূর করা যেতে পারে বলে তুমি মনে কর? যৌক্তিক মত উপস্থাপন কর।

Answer:

মানবিকতার মূলমন্ত্র হলাে মানুষের কল্যাণ, জাতির কল্যাণ সমাজের কল্যাণ। মােটকথা মানুষের ভলাে, মানুষের জন্য ভালাে কিছু করা, মানুষের উন্নতি সাধন করাই মানবিকতা।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে মানবিক সমাজ গঠনে যে প্রতিবন্ধকতাসমূহ তুলে ধরা হয়েছে তা নিম্নে বর্ণনা করা হলোঃ

‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে সামন্তবাদের নির্মম রূপ ও নীচ শ্রেণীর হতদরিদ্র মানুষের দুঃখ-কষ্ট ও যন্ত্রণার ছবি ফুটে উঠেছে। অভাগীর মৃত্যুর পর পুত্র কাঙালী মায়ের সৎকারের প্রয়োজনীয় কাঠের জন্য সমাজের উঁচু শ্রেণীর লোকের নিকট যায়। কিন্তু তারা কাঙালীকে কাঠতো দেয়ইনি, উপরন্তু ভর্ৎসনা, তিরস্কার, অবজ্ঞা, অবহেলা, গলা ধাক্কা প্রভৃতি তাকে সহ্য করতে হয়েছে। সমাজে সর্বদাই উঁচু শ্রেণীর মানুষ কর্তৃক নীচু শ্রেণীর মানুষেরা শোষণ-বঞ্চনার শিকার হয়। সমাজের এই শ্রেণি বৈষম্য, শােষকের শােষণ, সামাজিক মর্যাদার মতভেদ লেখক তাঁর দরদি ভাষায় ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পে উপস্থাপন করেছেন।

 

প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করার উপায়সমূহঃ 

 ১। শ্রেণি বৈষম্য দূরীকরণঃ

সমাজের সবাই সমান। সমাজে কোন উঁচুনিচু বা শ্রেণি বৈষম্য থাকবেনা।  যে বুদ্ধি আমরা অর্জন  বিভিন্ন ধরনের জ্ঞানের মাধ্যমে তা এই শ্রেণি বৈষম্য  দূরীকরণে কাজে লাগাতে হবে। ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ শক্তিশালী করার মাধ্যমে আমরা শ্রেণি বৈষম্য দূর করতে পারি। হিন্দুস্থানি দারােয়ান অশ্রাব্য গালি দিলেও গায়ে হাত দিনা অশৌচের ভয়ে। এতেই প্রতীয়মান হয় যে তৎকালীন হিন্দুসমাজে জাত-পাত ও বর্ণপ্রথা প্রচলিত ছিল। এই ধরণের বৈষম্য অবশ্যই দূর করতে হবে যদি আমরা একটি মানবিক সমাজ গঠন করতে চাই।

২। যথােপযুক্ত শাসনব্যবস্থাঃ

বর্তমান যুগে সঠিক শাসন ব্যবস্থা শোষকের শোষণ থেকে রক্ষা করতে বিশাল ভূমিকা পালন করে। একটি সুন্দর মানবিক সমাজ গঠনে আইনের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে কার্যকরী শাসনব্যবস্থা চালু থাকলে শুধু সমাজ নয় বরং সারা পৃথিবীকে মানবিক করে তােলা সম্ভব।

৩। শাসন ব্যবস্থার স্বচ্ছতাঃ

সমাজে যারা শাসক গােষ্ঠী রয়েছে অর্থাৎ যারা সমাজে নীতি নির্ধারক তারা যদি সমাজের মানুষের উপকারে তাদের শাসন করে তবে সে সমাজ মানবিক হতে বাধ্য। শাসনের নামে শােষণ  হলে শােষিত মানুষের মাঝে সবসময় ক্ষোভ বিরাজ করে।

৪। সুষম বিচার ব্যবস্থাঃ

যে সমাজে বিচার ব্যবস্থা সুষম অর্থাৎ ন্যয়বিচার রয়েছে সে সমাজ কে আমরা মানবিক বলতে পারি। একটা সমাজে যদি অন্যায় অপরাধের সঠিক বিচার হয়, বিচার ব্যবস্থা যদি পক্ষপাতদুষ্ট না হয় তখনই সমাজের বসবাসরত মানুষ নিজেদেরকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত ভাবতে পারবে। আর এতেই মানবিক সমাজ গঠনের পথটা সুগম হয়ে যাবে।

৫। ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ শক্তিশালীকরণঃ

একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সমাজে যেন সবাই নিজের মত করে বাঁচতে পারে।  নিজস্ব ধর্মীয় আচার আচরণ পালন করতে পারে। নিজের মতামত স্পষ্ট করে প্রকাশ করতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। একটা মানুষ যখন মনে করে যে এই সমাজে সে তার নিজস্বতা আছে তখন সে স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারে। সামাজিক মূল্যবােধ চর্চা করতে হবে। সমাজের প্রতিটি মানুষের মাঝে সামাজিক মূল্যবােধ কে জাগিয়ে তুলতে হবে।

 

 

Subject Name: Chemistry (রসায়ন) 

Question: 

“প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক”। এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন লিখতে হবে। প্রতিবেদনে অবশ্যই পাঁচ ধরনের রাসায়নিক পদার্থের ঝুঁকির মাত্রা ও সংশ্লিষ্ট সতর্কতামূলক সাংকেতিক চিহ্ন উল্লেখ করে তা থেকে নিরাপদ থাকার উপায় উদাহরণ হিসেবে লিখতে হবে।

Answer:

‘প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক’

প্রতিবেদকের নামঃ সুমন আলী সরকার

প্রতিবেদকের শিরােনামঃ ‘প্রত্যেক শিক্ষার্থীর রসায়ন পরীক্ষাগারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক’

প্রতিবেদনের তারিখঃ ২৮/০৫/২০২১

প্রতিবেদকের ঠিকানাঃ মিরপুর-১, ঢাকা।

 

সাধারনত যেখানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে পরিক্ষা নিরীক্ষা এবং গবেষণা করা হয় তাকে পরীক্ষাগার বা রসায়ন গবেষণাগার (Chemistry Laboratory) বলে। রসায়ন গবেষণাগারে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য থাকে । প্রায় প্রত্যেকটি রাসায়নিক দ্রব্যই আমাদের জন্য অথবা পরিবেশের জন্য কম-বেশি ক্ষতিকর। কোনাে রাসায়নিক দ্রব্য বিস্ফোরক জাতীয়,কোনাে রাসায়নিক দ্রব্য দাহ্য (সহজেই যাতে আগুন ধরে যায়) কোনােটি আমাদের শরীরে সরাসরি ক্ষতি করে আবার কোনােটি পরিবেশ ক্ষতি করে রসায়ন পরীক্ষাগারে যে যন্ত্রপাতি বা পাত্র ব্যাবহার করা হয় তার বেশির ভাগই কাচের তৈরি। তাই এ রসায়ন পরীক্ষাগারে ঢােকা থেকে শুরু করে বের হওয়া প্রতিটি পদক্ষেপে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। অসতর্ক হলেই যেকোনাে ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যেমনঃ-এসিড গায়ে পড়লে শরীর ক্ষত সৃষ্টি হবে।পােশাকে পড়লে পােশাকটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়া রসায়ন গবেষণাগারে অগ্নিকান্ড বিস্ফোরণসহ নানা ধরনের ছােট বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তাই শরীরকে রক্ষা করতে পরতে হবে নিরাপদ পােশাক বা অ্যাপ্রােন। রসায়ন গবেষণাগারে ব্যবহৃত অ্যাপ্রােনের হাতা হবে হাতের কবজি পর্যন্ত আর লম্বায় হাটুর পর্যন্ত। এটি হাতকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় গ্লাভস যা চোখকে রক্ষা করার জন্য সেফটি গগলস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। যেকোনাে ধরনের রাসয়নিক দ্রব্য ব্যবহারের আগেই আমাদের জেনে নিতে হবে সে রাসায়নিক দ্রব্যটি কোন প্রকৃতির। সেটি কি বিস্ফোরক অথবা দাহ্য নাকি তেজস্ক্রিয়াসেটি বােঝানাের জন্য রাসায়নিক পদার্থের বােতল বা কৌটার লেবেলে এক ধরনের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়।

 

বিস্ফোরক পদার্থ (Explosive Substance) : -এ চিহ্নবিশিষ্ট পদার্থ থেকে খুব সাবধানে থাকতে হবে।এসব পদার্থ ব্যবহারের সময় মনে রাখতে হবে এসব পদার্থে আঘাত লাগলে বা আগুন। লাগলে প্রচন্ড বিস্ফোরণ হতে পারে, যার জন্য শরীরের এবং গবেষণাগারের মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে।তাই এ দ্রব্যগুলাে খুব সাবধানে নাড়াচাড়া করতে হবে।TNT,জৈব পার-অক্সাইড,নাইট্রোগ্লিসারিন ইত্যাদি এ ধরনের বিস্ফোরক পদার্থ।

দাহ্য পদার্থ ( Flammable Substance) :- অ্যালকোহল, ইথার ইত্যাদি দাহ্য। পদার্থ।এসব পদার্থে দ্রুত আগুন ধরে যেতে পারে।তাই এদের আগুন বা তাপ থেকে সব সময় দূরে হবে। ক্ষত সৃষ্টিকারীঃ- এ চিহ্নধারী পদার্থ শরীরে লাগলে শরীরে ক্ষত সৃষ্টি করে।শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে গ্রহন করলে তা শরীরের ভেতরের অঙ্গেরও ক্ষতিসাধন করতে পারোহাইড্রোক্লোরিক এসিড,সালফিউরিক এসিড,সােডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের ঘন দ্রবন এ জাতীয় পদার্থের উদাহরণ।

পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ( Dangerous for the environment ) :- এ চিহ্নধারী পদার্থগুলাে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।অর্থাৎ উদ্ভিদ ও প্রানী উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক।এ ধরনের পদার্থের উদাহারণ হলাে লে মার্কারি ইত্যাদি।তাই এগুলাকে ব্যবহারের সময় যথেষ্ট সং হওয়া প্রয়ােজন।আবার,ব্যবহারের পরে যেখানে সেখানে । ফেলে তা একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে।এসব পদার্থকে যথাসম্ভব পুনরুদ্ধার করে আবার ব্যবহার করার চেষ্টা করে হবে।তাহলে এগুলাে সহজে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না।

স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থ (Health Risk Substance) :- এ ধরনের পদার্থ ত্বকে লাগলে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে শরীরের ভেতরে গেলে শরীরের স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিসাধন করে।এগুলাে শরীরের মধ্যে গেলে ক্যানসারের মতাে কঠিন রােগ হতে পারে কিংবা শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতিসাধন করতে পারে।এ ধরনের পদার্থের উদাহারণ হলাে বেনজিন,টুলইন,জাইলিন ইত্যাদি।তাই এগুলােকে সতর্কভাবে রাখতে হবে এবং ব্যবহারের সময় অ্যাপ্রােন,হ্যান্ড গ্লাভস,সেফটি গগলস এগুলাে পরে নিতে হবে।

বিষাক্ত পদার্থ (Toxic Substance)- এ চিহ্নধারী পদার্থ বিষাক্ত প্রকৃতির।তাই শরীরে লাগলে যা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের নানা ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।বেনজিন,ক্লোরােবেনজিন,মিথানল এ। ধরনের পদার্থ।এ ধরনের পদার্থ ব্যবহারের সময় অ্যাপ্রােন,হ্যান্ড গ্লাভস,সেফটি গগলস ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।

 

Subject Name: Business Entrepreneurship (ব্যবসায় উদ্যোগ

Question: 

ক) সাভারের হেমায়েতপুর-এ চামড়ার জুতা তৈরির কারখানা।
খ) পােলট্রি ফার্মে মুরগির ডিম ও বাচ্চা উৎপাদন করা ।
গ) পদ্মা সেতু তৈরি করা।
ঘ) বাখরাবাদ গ্যাসফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলন।
ঙ) কক্সবাজারে মেরিনড্রাইভ সড়ক তৈরি।
চ) সুন্দরবন থেকে মধু আহরণ করা।
ছ) জয়পুরহাট সুগারমিলে আখ থেকে চিনি তৈরি।
জ) বৈদেশিক বাণিজ্যে সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করা।
ঝ) গাছের চারা উৎপাদন।
ঞ) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া।

উপরে বর্ণিত কাজগুলাে কোন শিল্পের (প্রজনন, নিষ্কাশন, নির্মাণ, উৎপাদন, সেবা) আওতাভুক্ত তার তালিকা তৈরি করে আওতাভুক্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।

Answer:

ক) সাভারের হেমায়েতপুর-এ চামড়ার জুতা তৈরির কারখানা = উৎপাদন শিল্প = উৎপাদন শিল্পে শ্রম ও যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে কাঁচামালকে প্রক্রিয়াজাত করে চূড়ান্ত পণ্যে রুপান্তর করা হয়।

খ) পােলট্রি ফার্মে মুরগির ডিম ও বাচ্চা উৎপাদন করা = প্রজনন শিল্প = উৎপাদিত সামগ্রী পুনরায় সৃষ্টি বা উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয়।

গ) পদ্মা সেতু তৈরি করা =নির্মাণ শিল্প = এই শিল্পের মাধ্যমে রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়।

ঘ) বাখরাবাদ গ্যাসফিল্ড থেকে গ্যাস উত্তোলন =নিষ্কাশন শিল্প = এই শিল্পের মাধ্যমে ভূগর্ভ, পানি বা বায়ূ হতে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করা হয়।

ঙ) কক্সবাজারে মেরিনড্রাইভ সড়ক তৈরি = নির্মাণ শিল্প = এই শিল্পের মাধ্যমে রাস্তাঘাট, সেতু, কালভার্ট ইত্যাদি নির্মাণ করা হয়।

চ) সুন্দরবন থেকে মধু আহরণ করা = নিষ্কাশন শিল্প =এই শিল্পের মাধ্যমে ভূগর্ভ, পানি বা বায়ূ হতে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ করা হয়।

ছ) জয়পুরহাট সুগারমিলে আখ থেকে চিনি তৈরি = উৎপাদন শিল্প = উৎপাদন শিল্পে শ্রম ও যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে কাঁচামালকে প্রক্রিয়াজাত করে চূড়ান্ত পণ্যে রুপান্তর করা হয়।

জ) বৈদেশিক বাণিজ্যে সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করা = সেবামূলক শিল্প =বিভিন্ন প্রকার সেবা প্রদানের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ ও আরামদায়ক করে।

ঝ) গাছের চারা উৎপাদন =প্রজনন শিল্প = উৎপাদিত সামগ্রী পুনরায় সৃষ্টি বা উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয়।

ঞ) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া = সেবামূলক শিল্প =সেবামূলক শিল্প =বিভিন্ন প্রকার সেবা প্রদানের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ ও আরামদায়ক করে।

Subject Name: Geography and Environment (ভূগোল ও পরিবেশ 

Question: 

“পরিবেশ বাঁচলে বাঁচবে পৃথিবী”- অনধিক ৩০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রতিবেদন লিখ ।

সংকেত:

১। সূচনা

২। পরিবেশের উপাদান

৩। ভূগােলের শাখা

৪। ভূগােল ও পরিবেশের আন্ত:সম্পর্ক

৫। পরিবেশ সংরক্ষণে আমাদের ভূমিকা

৬। উপসংহার

Answer: 

পরিবেশ হলো এমন একটি জিনিস যা আমাদের পারিপাশ্বিকত তৈরি করে এবং পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য আমাদেরকে ক্ষমতা প্রদান করে। যদি এক কথায় বলি তাহলে, আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তা সব মিলিয়েই তৈরি হয়ে আমাদের পরিবেশ। অর্থাৎ আমাদের চারপাশের গাছপালা, পশুপাখি, জীবজন্তু, মাটি, পানি, বায়ু, সূর্যের আলো, বন্ধুবান্ধব এসব কিছু মিলিয়েই তৈরি হয় পরিবেশ। আমাদের পরিবেশের প্রধান তিনটি উপাদন হচ্ছে —মাটি, পানি ও বায়ু। আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে হবে। ভূগোলের শাখা মূলত ২ টি যথা প্রাকৃতিক ভূগোল ও মানবিক ভূগোল।

পৃথিবী আমাদের আবাসভূমি। মানুষের আবাসভূমি হিসেবে পৃথিবীর বর্ণনা হলাে ভূগােল। প্রকৃতি, পরিবেশ ও সমাজের সাথে রয়েছে ভূগােলের নিবিড় সম্পর্ক। পৃথিবীপৃষ্ঠের পরিবর্তনশীল বৈশিষ্ট্যের যথাযথ যুক্তিসংগত ও সুবিন্যস্ত বিবরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয় হলাে ভূগােল। পৃথিবীর পরিবেশের সীমার মধ্যে থেকে মানুষের বেঁচে থাকার যে সংগ্রাম চলছে সে সম্পর্কে যুক্তিপূর্ণ আলােচনা ভূগােলের মাধ্যমেই করা হয়।

মানুষ যেখানেই বাস করুক তাকে ঘিরে একটি পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিরাজমান। প্রকৃতির সকল দান মিলেমিশে তৈরি হয় পরিবেশ। নদী-নালা, সাগর, মহাসাগর, পাহাড়, পর্বত, বন, জঙ্গল, ঘর, বাড়ি, রাস্তাঘাট, উদ্ভিদ, প্রাণী, পানি, মাটি ও বায়ু নিয়ে গড়ে ওঠে পরিবেশ। এই পরিবেশে বসবাস করতে গিয়ে আমরা নানান সমস্যার মুখােমুখি হই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ুর পরিবর্তন, পাহাড়, নদী, সাগর, প্রাকৃতিক পরিবর্তন, সমভূমি, মরুভূমি ইত্যাদি প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে আমাদের উপর প্রভাব ফেলে। এইসব নানাবিধ সমস্যা ও পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারার পদ্ধতিগত আলােচনা ও সমাধান আমরা ভূগােলের মাধ্যমে পেয়ে থাকি। তাই ভূগােল ও পরিবেশের সাথে আন্ত:সম্পর্ক রয়েছে।

সুস্থ, সুন্দর, নিরাপদ পরিবেশ সবার জন্য অপরিহার্য। মানুষের জন্যতাে বটেই, সৃষ্টিকূলের জন্যও নিরাপদ পরিবেশ জরুরি। যেমন মাছের জন্য নিরাপদ জলাশয়, পাখির জন্য সবুজ বৃক্ষরাজি। বন্য প্রাণীর জন্য গভীর অরণ্য। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য লেখা-পড়ার পরিবেশ এবং নির্মল প্রকৃতি। বন্ধুদের সাথে দরকার সমঝােতা। কর্মক্ষেত্রে দরকার অনুকূল পরিবেশ। এমনকি সমুদ্রের তলদেশের জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্যও প্রয়ােজন নিরাপদ ও সুস্থ পরিবেশ। পৃথিবীর সকল প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য দরকার অনুকূল পরিবেশ। যেমনজীবনের প্রয়ােজনে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহন করতে হয় যার মূলে রয়েছে অক্সিজেন। এই অক্সিজেন আমরা পেয়ে থাকি প্রকৃতি ও পরিবেশ থেকে। পরিবেশের এমন অসংখ্য উপাদান রয়েছে যা প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে আমাদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। কিন্তু মানুষ নিজের প্রয়ােজনে স্বেচ্ছাচারিতায় নির্বিচারে পরিবেশ বিনাশ করে আজ ধ্বংসের মুখােমুখি দাড়িয়েছে। এখন মানুষেকেই সুস্থ সুন্দর নিরাপদভাবে বাঁচার তাগিদে পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

পরিবেশ সংরক্ষণে আমাদের ভূমিকা নিম্নরূপঃ

১। পরিবেশ সংরক্ষণের মূল উপাদান বৃক্ষ এবং বাঁচতে হলে বেশি বেশি বৃক্ষ রােপণ করতে হবে।

২। বায়ু দূষণ রােধ করতে হবে।

৩। পানি দূষণ বন্ধ করতে হবে।

৪। তেজস্ক্রিয় দূষণ বন্ধ করতে হবে।

৫। খাদ্য দূষণ বন্ধ করতে হবে।

৬।  শব্দ দূষণ থামাতে হবে।

৭। নদ-নদীর পানি প্রবাহ সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

৮। সমাজের যার যার অবস্থান থেকে পরিবেশ রক্ষায় প্রত্যেককে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে ইত্যাদি।

পরিবেশ আমাদের বাঁচার একটি বিশেষ উপাদান। আমাদের নিজেদের প্রয়ােজনেই পরিবেশ সংরক্ষণ করতে হবে। তাহলেই আমরা সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবন-যাপন করতে পারবাে। পরিবেশ বাঁচলে আমরা বাঁচবাে আর তাহলেই বাঁচবে পৃথিবী।

See/download School 4th Week Assignment Question All Subject in below PDF: 

School 4th Week Assignment Question 2021 PDF

Official Notice Link: Click Here to see the Official Notice

See/download School 4th Week Assignment Question All Subject in below images:    

এ্যাসাইনমেন্ট গ্রিড অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের সকল শ্রেনীর এ্যাসাইনমেন্ট 

4th Week Assignment Answer for Class 6:  

Class 6 Assignment Syllabus Science 4th Week

Class 6 Assignment Syllabus Arts and Craft 4th Week

 

4th Week Assignment Answer for Class 7:  

Class 7 Assignment Syllabus Science 4th Week

Class 7 Assignment Syllabus Arts and Craft 4th Week

 

4th Week Assignment Answer for Class 8:  

Class 8 Assignment Syllabus Science 4th Week

Class 8 Assignment Syllabus Arts and Craft 4th Week   

 

4th Week Assignment Answer for Class 9:  

Class 9 Assignment Syllabus Bangla 4th Week

Class 9 Assignment Syllabus Business Entrepreneurship 4th Week

Class 9 Assignment Syllabus Chemistry 4th Week

Class 9 Assignment Syllabus Geography and Environments 4th Week 

 

Courtesy: To all authorities from where documents are collected

N.B: Generally we try to update any news. For any Change, reform, and republished of any news we are not responsible.

For more update stay with our website jobstestbd.com

 

Hope You Find The Answer For the 4th Week All Class Assignment All Subject. Ask me Anything Related to Education by the comment below. 

 

Contact Us:

If you want to give advertisement in our website for any product of your organization please contact with us by following Address.

Inbox to Facebook: jobstestbd.com
Email at: [email protected]
Contact No.: 01720403750

Mirpur 1, Dhaka, Bangladesh.