1st Week Assignment Answer 2021

1st Week Assignment Answer 2021 for Class 6,7,8,9 is available below. School 1st Week Assignment Question Solution, 1st Week Assignment Question Solved, 1 Assignment Answer, Assignment Answer of 1st Week, One Week Assignment Ans, 1st Week Assignment For Class 6 7 8 9, Prothom Week Assignment All Classes and Subject Bangla, English, Science, Math, Physics, Biology, Chemistry, Mathematics, Islam & Moral Education, Hindu dharma, Boddho Dhormo, Christian Dhormo, Accounting, Geography, ICT, History of Bangladesh, Physical education Subject. Secondary education 1st Week Assignment Question Answer is the search option to get all information of 1st Week Assignment Answer 2021. 

 

The directorate of secondary and higher education has already released the assignment syllabus. You Must Submit Your Assignment Your School. See High School 1st Week Assignment Question and Answer 2021.   

 

 

 

1st Week Assignment Answer 2021 for Class 6,7,8,9:

Assignment Type: School / College Assignment 

1st Week Assignment Publish Date: 16 March 2021 

Assignment Class: Six to Nine 

Subject: All Subject

Board: All Education Board 

 

৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান (১ম সপ্তাহের জন্য) দেখুন নিচে… 

Class 6 Assignment Bangla Part Solution:  

সাধু ভাষার রূপঃ  

তারপর স্বর্গীয় দূত পূর্বে যে টাকওয়ালা ছিল, তাহার কাছে গেলেন। সেখানে গিয়া আগের মতো একটি গাভি
চাহিলেন। সেও ধবল রোগীর মতো তাহাকে কিছুই দিলনা। তখন স্বর্গীয় দূত বলিলেন, আচ্ছা, যদি তুমি মিথ্যা বলিয়া থাক, তবে যেমন ছিলে আল্লাহ তোমাকে আবার তেমনি করিবেন।

তারপর স্বর্গীয় দূত পূর্বে যে অন্ধছিল, তাহার কাছে গিয়া বলিলেন, আমি এক বিদেশি। বিদেশে আমার সম্বল ফুরাইয়া গিয়াছে। এখন আল্লাহর দয়া ছাড়া আমার দেশে পৌঁছিবার আর কোনো উপায় নাই। যিনি তোমার চক্ষু ভালো করিয়া দিয়াছেন, আমি তোমাকে সেই আল্লাহর দোহাই দিয়া একটি ছাগল চাহিতেছি; যেন আমি সেই ছাগল-বেচা টাকা দিয়া দেশে ফিরিয়া যাইতে পারি।

সমাধানঃ  চলিত ভাষার রূপঃ   

তারপর স্বর্গীয় দূত আগে যে টাকাওয়ালা ছিল, তার কাছে গেলেন। সেখানে গিয়ে আগের মতো একটি গাভি চাইলেন। সেও ধবল রোগীর মতো তাকে কিছুই দিলনা। তখন স্বর্গীয় দূত বললেন, আচ্ছা, যদি তুমি মিথ্যা বলে থাক, তবে যেমন ছিলে আল্লাহ তোমাকে আবার তেমনি করবেন।

তারপর স্বর্গীয় দূত আগে যে অন্ধ ছিল, তার কাছে গিয়ে বললেন, আমি এক বিদেশি। বিদেশে আমার সম্বল ফুরে গেছে। এখন আল্লাহর দয়া ছাড়া আমার দেশে পৌঁছার আর কোন উপায় নেই। যিনি তোমার চোখ ভালো করে দিয়েছেন, আমি তোমাকে সেই আল্লাহর দোহাই দিয়ে একটি ছাগল চাচ্ছি; যেন আমি সেই ছাগল-বেচা টাকা দিয়ে দেশে ফিরে যেতে পারি।

 

পড়ে রাখুনঃ 

সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্যঃ 

১: সাধু ভাষায় সমাপিকা ও অসমাপিকা, এই দুই প্রকার ক্রিয়াপদের‌ই পূর্ণ রূপ ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া অনেকগুলি সর্বনাম পদের‌ও পূর্ণ রূপ ব্যবহৃত হয়। যেমন: আসিতেছে, করিয়াছিলাম, দেখিয়াছি, বলিয়া থাকিব, শুনিতাম, ইহা, উহা, তাহারা, যাহার ইত্যাদি।

২: সাধু ভাষায় তৎসম শব্দের আধিক্য দেখা যায়। যেমন: গৃহ, ভবন, গগন, বাটী, তৃণ, ঘৃত, মৃগয়া, বৎস, হস্ত, পদ, বৃক্ষ, কুজ্ঝটিকা, মৃত্তিকা ইত্যাদি।

৩: সাধু ভাষায় অনুসর্গগুলির পূর্ণ রূপ দেখা যায় এবং কিছু তৎসম অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়। যেমন: হ‌ইতে, চাহিয়া, থাকিয়া, কর্তৃক ইত্যাদি।

৪: সাধু ভাষা অনেকটা সংস্কৃত ভাষার অনুসরণে গঠিত হ‌ওয়ার কারণে এই ভাষার ধ্বনিঝংকার অপেক্ষাকৃত বেশি।

৫: সন্ধিবদ্ধ ও সমাসবদ্ধ শব্দের ব্যবহার সাধু ভাষায় তুলনামূলক ভাবে বেশি দেখা যায়।

৬: সাধু ভাষায় সংস্কৃত সংখ্যাবাচক শব্দের কিছু কিছু ব্যবহার দেখা যায়। যেমন: দ্বাদশ, চতুর্দশ, পঞ্চদশ ইত্যাদি।

৭: সাধু ভাষা মানুষের মুখে প্রচলিত ভাষার উপর নির্ভর করে গঠিত হয়নি, তাই এই ভাষা অপেক্ষাকৃত দুর্বোধ্য

চলিত ভাষার বৈশিষ্ট্যঃ 

১: চলিত ভাষায় ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের সংক্ষিপ্ত, কথ্য রূপটি ব্যবহার করা হয়। যেমন: করেছি, গেছলাম, দেখবো, আসছে, করেছে, ও, এ, তার, ওর ইত্যাদি।

২: চলিত ভাষায় দেশি ও তদ্ভব শব্দের ব্যবহার তৎসম শব্দের চেয়ে বেশি। বিদেশি শব্দ‌ও যথেষ্ট পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। যেমন: গাছ, ঘর, ঘাস, হাত, পা, বাড়ি, ঘি ইত্যাদি।

৩: চলিত ভাষায় তদ্ভব ও বিদেশি অনুসর্গ ব্যবহৃত হয়। অনুসর্গের পূর্ণ রূপ ব্যবহৃত হয় না। যেমন: হতে, চেয়ে, থেকে, দিয়ে ইত্যাদি।

৪: চলিত ভাষা সাধারণ মানুষের মুখের ভাষার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে বলে এর ধ্বনিঝংকার সাধু বাংলার মতো নয়।

৫: চলিত ভাষায় সন্ধিবদ্ধ ও সমাসবদ্ধ শব্দের ব্যবহার তুলনামূলক ভাবে কম। তবে এ কথা ঠিক যে চলিত গদ্যেও সমাসবদ্ধ ও সন্ধিবদ্ধ শব্দের যথেষ্ট ব্যবহার হয়ে থাকে।

৬: চলিত ভাষায় সংস্কৃত সংখ্যাবাচক শব্দের ব্যবহার সাধারণত হয় না।

৭: চলিত ভাষার ভিত্তি হল মানুষের মুখের ভাষা। তাই এই ভাষা অপেক্ষাকৃত সহজবোধ্য

 

Class 6 Assignment Islam and Moral Education Part Solution:  

তােমার চারপাশের নানা নিদর্শন উল্লেখসহ কালিমা তায়্যিবা ও কালিমা শাহাদাতের আলােকে আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদের উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।

সমাধানঃ 

আল্লাহ তায়ালার একত্ববাদ

তাওহীদ (توحيد ) শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল ‘অদ্বিতীয় বলে স্বীকার করা’ বা একত্ববাদ। দর্শন, কালাম, আখ্‌লাক ও ইরফান বিশেষজ্ঞগণের ভাষায় “তাওহীদ” শব্দটি একাধিক অর্থে ব্যবহৃত হয়। তবে এ অর্থগুলোতে খোদার একত্ববাদকে বিশেষ দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।  আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয়।

মহানবী (সা.) যেদিন মানবতার মুক্তির মহামূল্য বাণী ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ ধ্বনি উচ্চারণ করলেন সেদিন তাঁর বিরুদ্ধে সর্বাগ্রে যারা রুখে দাঁড়াল। তবুও তিনি আল্লাহ্‌র একত্ববাদ থেকে পিছু পা হননি।

 

আমরা আমাদের চারপাশে নানা রকম জিনিস দেখতে পাই । সুন্দর সুন্দর ফুলফল গাছপালা তরুলতা পশুপাখি ইত্যাদি। এছাড়া রয়েছে নদী-নালা পাহাড়পর্বত বন-জঙ্গল সাগর-মহাসাগর। আরাে আছে বিশাল আকাশ চন্দ্র, সূর্য গ্রহ নক্ষত্র ইত্যাদি। আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না এমন অনেক বস্তু এবং প্রাণীও রয়েছে। এ সবকিছুই সৃষ্টিজগতের অন্তর্গত। এসব কিছুই নিপুণতার সাথে একজন সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি হলেন মহান আল্লাহ। তিনি হও (কুন) বলার সাথে সাথে সব কিছু সৃষ্টি হয়ে যায়। এসব কিছুকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করার নামই তাওহীদ।

সৃষ্টির আদিকাল থেকে সত্য ও বাস্তব দু’টি নাম। তাওহীদ ও রেসালত একটি অন্যটির পরিপূরক। একজন মুসলিমের জন্য যেভাবে আল্লাহর একত্ববাদের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা ফরয সেভাবে তাঁর প্রিয় রাসূল হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার প্রতি ঈমান আনা, শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও আনুগত্য সমভাবে আবশ্যক।
কালিমা তাইয়্যিবাঃ “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ”  
অর্থাৎ পৃথিবীতে ইলাহ বা ইবাদতের ‘যােগ্য একমাত্র আল্লাহ তায়ালা। তিনি ব্যতিত আর কেউ উপাস্য হতে পারে না। আরবি লা ইলাহা শব্দের অর্থ কোন ইলাহ নেই, আর ইল্লাল্লাহ অর্থ আল্লাহ ছাড়া। কালিমার এ অংশটি না-বােধক শব্দ দ্বারা শুরু হয়েছে। লা ইলাহা দ্বারা অন্তর থেকে সব রকমের ভুলভ্রান্তি দূর করতে হয় এবং ইল্লাল্লাহু দ্বারা আল্লাহ তায়ালার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা হয়।

 

কালিমা শাহাদাতঃ “আশহাদু আল্-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্’দাহু লা শারিকা-লাহু ওয়াআশহাদু আন্না মুহা’ম্মাদান আ’বদুহু ওয়া রাসুলুহু”।

অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি একক তার কোন শরীক নেই। আমি আরাে সাক্ষ্য দেই যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মদ (স.) তার বান্দা ও রাসূল ।

 

তাওহীদের সর্বপ্রথম প্রসিদ্ধ পরিভাষাটি হল, খোদার একত্বে বিশ্বাস ও বহুত্বের অস্বীকৃতি। “তাওহীদ” প্রকাশ্য অংশীবাদের বিরুদ্ধে বা বিপরীতে অবস্থান নিয়ে থাকে। দুই বা ততোধিক স্বাধীন খোদার প্রতি বিশ্বাস এরূপে যে, তাদের একের প্রতি অপরের কোন নির্ভরশীলতা নেই এ অংশীবাদী বিশ্বাসকেও তাওহীদ অস্বীকার করে।

যে কেউ যা কিছুরই অধিকারী হোক না কেন, তা তাঁরই নিকট থেকে এবং তাঁরই ক্ষমতার অধীন। তাঁরই রাজত্বের পরিমণ্ডলে, তাঁরই সুনির্ধারিত ও প্রকৃত মালিকানাধীন। অন্য সবার ক্ষমতা ও মালিকানা তাঁর ক্ষমতা ও মালিকানার উলম্বে ও নিম্নস্তরে অবস্থান করে এবং তারা খোদার ক্ষমতার পথে কোন প্রকার ক্লেশ সৃষ্টি করে না। যেমনঃ বান্দা উপার্জিত সম্পদের উপর যে বৈধ মালিকানা লাভ করে তা প্রভুর বৈধ মালিকানার উলম্বে অবস্থান করে।

 

Class 6 Assignment Hinduism and Moral Education Part Solution: 

জীবে প্রেম করার মধ্য দিয়ে কিভাবে ঈশ্বরের সেবা করা যায় তা তােমার অথবা তােমার পারিবারিক জীবনের জীব সেবার কোনাে অভিজ্ঞতা বর্ণনার মাধ্যমে উপস্থাপন কর।

সমাধানঃ   

ঈশ্বর সর্বশক্তিমান ও অসীম শক্তির অধিকারী। তিনি শাশ্বত, পরম ও অবিনশ্বর। তিনি বিশ্বের সকল জীবের মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করেন। তাই জীবের সেবা করলেই ঈশ্বরের সেবা করা হয় এবং ঈশ্বরকে পাওয়া হয়।

জীবসেবায় আমি ও আমার পরিবারের অভিজ্ঞতাঃ 

জীবের সেবা করলে ঈশ্বর সন্তুষ্ট হােন। ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জন করা একজন ভক্ত হিসেবে আমাদের প্রধান কর্তব্য। সেদিক দিয়ে আমার ছোট ভাইয়ের জীবসেবার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তার মধ্যে একটি অভিজ্ঞতা সত্যিই আমাকে গর্বিত করেছে। ভােরে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস রয়েছে তার। সেদিনও বরাবরের মতাে সে হাঁটতে বেরিয়েছে। হঠাৎ রাস্তার পাশের বনের ঝােপে কিছু একটার নড়াচড়ার আওয়াজ পেলা। কৌতুহল বশত কাছে গেল দেখার জন্য। দেখতে পেল দুটো বিড়াল ছানা ও পাশেই তাদের মা বিড়াল মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। মা বিড়ালটার শরীরে মাংস প্রায় নাই বললেই চলে একদম চিকন দেহের অধিকারী। হয়তাে অনেকদিন কিছু খায় নি তাই বাচ্চাদের রেখেই না ফেরার দেশে চলে যেতে হয়েছে। ঘাড়ের মধ্যে একটা আঘাতের গভীর চিহ্নও দেখতে পেল। কেউ খুব জোরে লাটি দিয়ে পিঠে আঘাত করেছে এটা স্পষ্ট।

যেই এই কাজটা করেছে মােটেও ভালাে করে নি। অন্যায় কাজ করেছে। কোনাে জীবকেই এভাবে আঘাত করা উচিত নয় কারণ জীবের মধ্যেই ঈশ্বরের বসবাস।

মা ছাড়া ওদেরও এই প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। ওরা যখন পৃথিবীর আলাে দেখেছে তাহলে সেই আলােতে বেঁচে থাকারও ওদের সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। তাই আমার ছোট ভাই মনােবল দৃঢ় করে সিদ্ধান্তটা নিয়েই নিল। সে বিড়াল ছানা দুটিকে তার সাথে করে বাড়িতে নিয়ে এল। আর ওদের মা কে ওই ঝােপের পাশেই মাটিতে গর্ত করে ঈশ্বরের নামে  সমাহিত করে রাখল।

বাড়িতে আনার পর ছানা দুটোকে তার ঘরেই রাখল। ওদের পূর্ণাঙ্গ যত্ন নিল সাথে আমিও ওদের প্রতি মায়া করতে লাগলাম। যতটা সম্ভব পারা যায় ওদেরকে আমিও সময় দিলাম। ওদেরকে নিজের হাতে খাইয়েও দিতে লাগলাম। প্রতিমাসের টিকার কোর্স সম্পন্ন করলাম। ধীরে ধীরে ওরা বড় হতে লাগলাে। দৌড়াদৌড়ি, লাফালাফি এবং ডাকাডাকি করতে লাগলাে  দিনের বেশিরভাগ সময়ই ওদের সাথে কেটে যেত আমার ও আমার ছোট ভাইয়ের। আমি কানু-মানু বলে ডাকলেই ওরা দৌড়ে চলে আসতাে যেন আমিই ওদের মা-বাবা আর ওরা আমারই বাচ্চা।

এভাবে দিন যেতে লাগলাে। ওরাও আমার ও আমার পরিবারের ছত্রছায়ায় বড় হতে লাগলাে। এখন ওরা সম্পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক দুটো বিড়াল। একদম যেন দুই জমজ ভাই। আমাদের বাড়ি পাহারার দায়িত্ব ওরা নিজে থেকেই নিয়ে নিয়েছে। আমাকে দেখলেই কার আগে কে আমার কোলে এসে উঠবে সেটা নিয়ে দুজনেই বেশ ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

আমি আর আমার ছোট ভাই ওদেরকে বাঁচাতে পেরে খুব খুশি। সেদিন যদি আমি ওদের নিয়ে না আসত এবং পরিপূর্ণ যত্ন না করত তাহলে হয়তাে ওরা অবহেলায় মারাই যেত। কিন্তু ওদেরকে আমরা বাঁচাতে পেরেছি এবং একইসাথে ওদের একটা আনন্দঘন পরিবেশও দিতে পেরেছি। সেজন্য আমি ও আমার ছোট ভাই ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।

 

 

Class 6 Assignment Christian and Moral Education Part Solution: 

ঈশ্বর আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে মানুষের প্রতি তাঁর যে ভালােবাসা প্রকাশ করেছেন সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর। সংকেত :

ক) পরিবেশ সৃষ্টি

খ) মানুষ সৃষ্টি

গ) ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে পারস্পরিক ভালােবাসা

ঘ) সৃষ্টির প্রতি দায়িত্বশীলতা

সমাধানঃ   

 

Class 6 Assignment Buddhism and Moral Education Part Solution: 

তােমার দুই বন্ধু সকাল ৯টায় স্কুলে। যাওয়ার পথে দেখলাে একজন বৃদ্ধ লােক হঠাৎ মাথা ঘুরিয়ে রাস্তায় পড়ে গেল। অন্য দুইজন পথচারী তাকে উঠিয়ে সেবা করতে লাগলাে। এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে জীবপ্রেম বিষয়ক একটি প্রবন্ধ তৈরি করাে। (২০০ শব্দ)

সমাধানঃ   

 

 

Class 7 Assignment Bangla Part Solution:  

যৌক্তিকতা নিরুপণ:

নিচে উল্লিখিত অংশটি সাধুরীতিতে রচিত। উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে তার যৌক্তিকতা তুলে ধর।

‘সংবাদ পাইলাম, কাবুলিওয়ালার সহিত মিনির এই যে দ্বিতীয় সাক্ষাৎ তাহা নহে, ইতােমধ্যে সে প্রায় প্রত্যহ আসিয়া পেস্তা বাদাম ঘুষ দিয়া মিনির ক্ষুদ্র হৃদয়টুকু অনেকটা অধিকার করিয়া লইয়াছে’।

সমাধানঃ     

উপরের উদ্দীপকের অনুচ্ছেদটি সাধু ভাষায় রচিত । অনুচ্ছেদটিতে ব্যবহৃত সর্বনাম, ক্রিয়াপদ, অবয় ও তৎসম শব্দগুলাে নিম্নরূপ:

সর্বনাম শব্দঃ তাহা

ক্রিয়াপদঃ পাইলাম, আসিয়া, দিয়া, করিয়া, লইয়াছে।

অব্যয় পদঃ সহিত, ইতােমধ্যে

তৎসম/সংস্কৃত শব্দঃ সাক্ষাৎ, ক্ষুদ্র, হৃদয়

সাধু ভাষার যােক্তিকতা নিরূপণঃ 

আমরা জানি সাধু ভাষায় সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণাঙ্গ/দীর্ঘ রূপ ব্যবহার করা হয়। দেখুন অনুচ্ছেদটিতেও সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের পূর্ণাঙ্গ রূপ ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন: পাইলাম, সহিত, তাহা, আসিয়া, করিয়া ইত্যাদি। সাধু ভাষায় অব্যয় বা অনুসর্গের পূর্ণাঙ্গ রূপ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অনুচ্ছেদটিতে দিয়া অনুসর্গটি ব্যবহৃত হয়েছে। এছাড়াও এই অনুচ্ছেদে কিছু তৎসম শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। তাই উপর্যুক্ত বিষয়সমূহ দেখে আমরা বুঝতে পারি অনুচ্ছেদটি সাধু ভাষায় লেখা হয়েছে। সুতরাং উপর্যুক্ত যুক্তিতে যােক্তিতা নিরূপণ করা হলাে।

 

Class 7 Assignment Islam and Moral Education Part Solution:  

আমাদের চারপাশে সৃষ্টিজগতের মাঝে মহান আল্লাহর একত্ববাদের অসংখ্য নমুনা বিদ্যমান। বাস্তব উদাহরণসহ এককত্ববাদের প্রমাণ উল্লেখ করে একটি পােস্টার তৈরি কর।

সমাধানঃ     

আল্লাহ তা’আলা এক ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোন অংশীদার নেই। তিনি সকল ক্ষেত্রে পূর্ণতার অধিকারী এবং তার মধ্যে কোন অপূর্ণতার লেশমাত্র নেই। এই নিখিল বিশ্ব পরিচালনার ক্ষেত্রে তার কোন অংশীদার বা সমকক্ষ নেই এবং তিনিই একমাত্র ইলাহ বা উপাস্য অন্য কেউ তার মর্যাদায় আসীন হতে পারে না। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদের অনেক প্রমাণ রয়েছে। উদাহরণসহ এককত্ববাদের প্রমাণ উল্লেখ করা হল:

 

বাস্তব উদাহরণসহ এককত্ববাদের প্রমাণ উল্লেখ করে একটি পােস্টারঃ 

আকাইদঃ 

আকাইদ আকিদা শব্দের বহুবচন। এর অর্থ বিশ্বাসমালা। ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসকেই আকাঈদ বলা হয়।ইসলাম আল্লাহ তায়ালার মনোনীত একমাত্র দ্বীন বা জীবনব্যবস্থা।এর দুটি দিক রয়েছে। যথা -বিশ্বাসগত দিক ও আচরণগত বা প্রায়োগিক দিক।ইসলামের বিশ্বাসগত দিকের নামই হল আকাঈদ।আল্লাহ তায়ালা, নবি-রাসূল, ফেরেশতা, আসমানি কিতাব, পরকাল, জান্নাত -জাহান্নাম ইত্যাদি আকাইদের অন্তর্ভুক্ত।

তাওহীদঃ 

তাওহীদ শব্দের আভিধানিক অর্থঃ কোনো কিছুকে এক করা, একক ও অদ্বিতীয় সাব্যস্ত করা, একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা। শরীয়তের পরিভাষায়ঃ তাওহীদ শব্দের অর্থ হচ্ছেঃ আল্লাহ সুবহা’নাহু তাআ’লাকে তাঁর সুমহান জাত (সত্ত্বা), আসমা বা সর্বসুন্দর নাম ও সিফাতে (গুণরাজি ও বৈশিষ্ট্যে), এবং তাঁর অধিকার, কর্ম ও কর্তৃত্বে এক, একক ও অদ্বিতীয় ষোষণা ও সাব্যস্ত করা, এবং এসব ক্ষেত্রে নিজের কথা, কাজ ও বিশ্বাসের দ্বারা আল্লাহর একত্বকে অক্ষুন্ন রাখা।

রুবুবিয়্যাহ বা প্রভুত্বের ক্ষেত্রে তাওহীদ, আর তা হলোঃ বান্দার তার নিজের কথা, কাজ ও বিশ্বাসের দ্বারা আল্লাহ্ তাআ’লাকে তাঁর যাবতীয় কর্ম ও কর্তৃত্বে এক ও অদ্বিতীয় তথা লা-শরীক (অংশীদারহীন) সাব্যস্ত করা। তাওহীদের এই পর্যায়ের মূলত যে কাজগুলো রব্ব বা বিশ্বজাহানের প্রতিপালক হিসেবে একমাত্র আল্লাহ তাআ’লাই করে থাকেন, সেই কাজগুলোতে এক আল্লাহকেই কর্তা হিসেবে বিশ্বাস করাকে বোঝায়। এর উদাহরণ হলো, রিযিকদাতা, সন্তানদাতা, ভাগ্যের ভালো-মন্দের মালিক, বিপদে উদ্ধার করার মালিক, পৃথিবীর নিয়ন্ত্রনকারী, অসুস্থতার সময় শিফা দানকারী, এইরকম যেই কাজগুলো রব্ব হিসেবে একমাত্র আল্লাহ তাআ’লাই করে থাকেন, সেইগুলোতে আল্লাহকে এক ও একক সত্ত্বা হিসেবে বিশ্বাস করা, এবং তাঁর সাথে অন্য কাউকে শরীক না করা।
সহজ করে বলা যেতে পারে, “তাওহীদুর রুবুবিয়্যাহ” হচ্ছে আল্লাহর কাজের ক্ষেত্রে (আরবীতে যাকে রুবুবিয়্যাহ বলা হয়) – সেইগুলোতে এক আল্লাহকেই বিশ্বাস করা, এবং এই কাজ অন্য কেউ করে বা তাঁর সাথে অন্য কেউ শরীক (অংশীদার) বা সাহায্যকারী আছে এই ধারণ বা বিশ্বাস অন্তরে না রাখা।
তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ ইবাদতের ক্ষেত্রে তাওহীদ অর্থাৎ, বান্দার ইবাদতে আল্লাহ তাআ’লার তাওহীদকে অক্ষুন্ন রাখা। অন্য কথায়, ইবাদতে আল্লাহর একত্ব প্রতিষ্ঠা করা।
যেমন নামায রোযা, হজ্জ, যাকাত শুধু মাত্র এক আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করা, পিতামাতা, পীরের বা অন্য যেকারো সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য না করা অথবা শুধুমাত্র দুনিয়াবি কোনো কিছু পাওয়ার জন্য (যেমন কেউ কুরআন শিক্ষা দিলো শুধু বেতন পাওয়ার লোভে, আল্লাহকে সন্তুষ্টির জন্যে নয়) বা অন্য কাউকে সন্তুষ্ট করতে না চাওয়া। যেমন অনেকে বেনামাযি শ্বশুর বাড়িতে গেলে লোক দেখানো নামায পড়ে, নির্বাচন আসলে মন্ত্রী এমপিরা ভোট পাওয়ার জন্য বা সুনাম কুড়ানোর জন্য হজ্জ উমরা করে, টুপি পাঞ্জাবী বা হেজাব পর্দা করে ধার্মিক সাজার চেষ্টা করে। এই সবগুলো কাজ তাওহীদে উলুহিয়্যাহর দিক থেকে শিরকের পর্যায়ে পড়ে। কারণ সে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নয়, বরং অন্য কাউকে সন্তুষ্ট করার জন্য ইবাদত করছে।
সহজ করে বলা যেতে পারে, “তাওহীদুল উলুহিয়্যাহ” হচ্ছে বান্দার যেই কাজগুলো শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত (আরবীতে যাকে ইবাদত বলা হয়, যার জন্য ইবাদত করা হয় তাকে “ইলাহ” বলা হয়), সেইগুলো এক আল্লাহর জন্যই করা, এর বিনিময়ে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিই কামনা করা এবং এই কাজগুলোর উদ্দেশ্যের মাঝে অন্য কারো সন্তুষ্টিকে শরীক না করা।
(৩) তাওহীদুল আসমা ওয়াস-সিফাত অর্থাৎ, আল্লাহ তাআ’লাকে তাঁর আসমা (সুন্দরতম নাম সমূহ) ও সিফাত (গুণাবলীতে) এক ও অদ্বিতীয় সাব্যস্ত করা, এই আসমা ও সিফাতগুলোতে কাউকে শরীক না করা। অন্য কথায়, আল্লাহর সুমহান নাম ও গুণাবলীতে আল্লাহ্ তাআ’লার একত্ব অক্ষুন্ন রাখা।
“সাব্যস্ত করার’’ অর্থ হলোঃ নিজের আক্বীদাহ-বিশ্বাসে, কথা-বার্তায় ও কাজে-কর্মে আল্লাহর একত্ববাদ প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত করা। যেমন, আল্লাহ তাআ’আলার একটা সিফাত হচ্ছে তিনি “আ’লেমুল গায়েব”, সুতরাং অন্য কেউ গায়েব জানে, এই আকীদা না রাখা।

 

Class 7 Assignment Hinduism and Moral Education Part Solution: 

ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় এবং নিরাকার। তবে সব সাকার রূপ একই ঈশ্বরের বিভিন্ন। প্রকাশ”- যুক্তি বিশ্লেষণ পূর্বক ব্যাখ্যা কর।
সংকেত:

১। ঈশ্বরের স্বরূপ

২। ঈশ্বরের একত্ব

 

সমাধানঃ     

ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় এবং নিরাকার। তবে সব সাকার রূপ একই ঈশ্বরের বিভিন্ন প্রকাশ।”- নিচে উক্তিটির যর্থাথতা বিশ্লেষণ করা হলাে :-

ঈশ্বর অর্থ প্রভু। তিনি সর্বশক্তিমান ও সর্বশ্রেষ্ঠ। তিনি সব কিছুর নিয়ন্তা। জীব ও জগতের ওপর তিনি প্রভুত্ব করেন বলে তাকে ঈশ্বর বলা হয়। তিনিই সকল শক্তি ও গুণের আধার। তাঁর আদি নেই, তাই তিনি অনাদি। তাঁর অন্ত নেই, তাই তিনি অনন্ত। তাঁর বিনাশ নেই, তাই তিনি অবিনশ্বর। তিনি নিজেকে নিজেই সৃষ্টি করেছেন, তাই তাকে স্বয়ম্ভ বলা হয়। ঈশ্বরকে পরমেশ্বর নামেও ডাকা হয়। তিনি জগতের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা এবং ধ্বংসকর্তা। তিনিই জীবের মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করেন। ঈশ্বরের অনন্ত গুণ, অনন্ত রূপ, অনন্ত ভাব এবং বিচিত্র তার লীলা। জ্ঞানীর কাছে তিনি ব্রহ্ম, যােগীর কাছে তিনি পরমাত্মা এবং ভক্তের কাছে ভগবান। হিন্দু ধর্মে একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলাে ঈশ্বরতত্ত্ব। এই বৈশিষ্ট্য দ্বারা  বােঝানাে হয়েছে ঈশ্বর নিরাকার। তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। তবে তিনি প্রয়ােজনে সাকার রূপ ধারণ করতে পারেন। সাকার রূপ ধরে তিনি পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন। তখন তাঁকে অবতার বলা হয়। যখনই ধর্মের গ্লানি উপস্থিত হয় অথ্যা অন্যায় অবিচারে বিপর্যস্ত হয় মানবজীবন এবং অধর্মের অভ্যুত্থান ঘটে তখন। ঈশ্বর কোনাে না কোনাে রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন। যেমন- দ্বাপর যুগে ঈশ্বর বা ভগবান স্বয়ং কৃষ্ণরূপে পৃথিবীতে এসেছিলেন।

অন্যান্য অবতারও ঈশ্বরেরই অংশ। আর শ্রীকৃষ্ণ ঈশ্বরের পূর্ণ অবতার। আর তাইতাে বলা হয়েছে

‘কৃষ্ণস্তু ভগবান্ স্বয়ম্’- অথ্যাৎ শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং ভগবান।

বিভিন্ন দেব-দেবী এক ঈশ্বরেরই ভিন্ন ভিন্ন গুণ বা ক্ষমতার প্রকাশ মাত্র। এই এক ঈশ্বরকেই আমরা বিভিন্ন নামে অভিহিত করি। অথ্যাৎ দেব-দেবীরা ঈশ্বরের এক বিশেষ গুণ বা শক্তির সাকার রূপ। যেমন- ব্রহ্মা সৃষ্টির দেবতা, বিষ্ণুরূপে ঈশ্বর জীবজগৎকে রক্ষা ও প্রতিপালন করেন, শিবরূপে তিনি ধ্বংস করে পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করেন। অপরদিকে দুর্গা শক্তির দেবী, সরস্বতী বিদ্যার দেবী, লক্ষী ধন-সম্পদের দেবী ইত্যাদি।

আবার, ঈশ্বর যখন জীবের মধ্যে আত্মারূপে অবস্থান করেন তখন তাকে জীবাত্মা। বলে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবের মধ্যে ঈশ্বরের অবস্থান সম্পর্কে বলেছেন –

“সীমার মাঝে অসীম তুমি বাজাও আপন সুর ”

আমার মধ্যে তােমার প্রকাশ তাই এত মধুর।

অথ্যাৎ দেহের সীমায় জীবাত্মারূপে পরমাত্মা বা ঈশ্বর বিদ্যমান থাকেন। সুতরাং বলা যায়- ঈশ্বর নিরাকার; তিনি সাকার রূপ ধারণ করতে পারেন। সব সাকার রূপই ঈশ্বরের বিভিন্ন প্রকাশ মাত্র। ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় এবং নিরাকার ।

Class 7 Assignment Christian and Moral Education Part Solution: 

যীশুর দুইটি স্বভাব: মানবীয় ও ঐশ্বরিক। | তিনি পূর্ণ ঈশ্বর ও পূর্ণ মানব”- উল্লেখিত বিষয়ের আলােকে একটি প্রবন্ধ লেখ। (সর্বোচ্চ ৩০০ শব্দ)

সংকেত :

ক) যীশুর জন্মের ঘটনা

খ) যীশুর ঐশ্বরিক গুণাবলি

গ) যীশুর মানবীয় গুণাবলি

ঘ) যীশুর প্রতিকৃতি অংকন

সমাধানঃ     

খ্রীষ্টীয় মতবাদের অন্তর্ভুক্ত বক্তব্যগুলি হল পবিত্র আত্মার প্রভাবে গর্ভধারণ করে মরিয়ম নাম্নী কুমারীর গর্ভে যীশুর জন্ম হয়, তিনি বিভিন্ন অলৌকিক কার্য সাধন করেন, খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী প্রতিষ্ঠা করেন।

যীশুর জন্মসন হল আনুমানিক খ্রীষ্টপূর্ব ৭ বা ৬ অব্দ। কার্ল রাহনার উল্লেখ করেছেন, আনুমানিক খ্রীষ্টপূর্ব ৪ অব্দটিকে যীশুর জন্মসন হিসাবে ধরার বিষয়ে গবেষকেরা একমত। ই. পি. স্যান্ডার্সও সাধারণ ঐক্যমতের কথা উল্লেখ করে আনুমানিক খ্রীষ্টপূর্ব ৪ অব্দটিকেই যীশুর জন্মসন হিসাবে ধরার পক্ষে মত দিয়েছেন।  জ্যাক ফিনেগান আদি খ্রিস্টীয় মতবাদ-সংক্রান্ত গবেষণাগুলিকে ব্যবহার করে আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩ বা ২ অব্দকে যীশুর জন্মসন হিসাবে ধরার পক্ষে মত দেন।

২৫ শে ডিসেম্বর বড়দিন। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন। বড়দিন একটি পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এই দিনটিতে খ্রিস্টানরা যীশুখ্রিষ্টের জন্মবার্ষিকী উদযাপন পালন করে। যদিও বাইবেলে যীশুর জন্মের কোন দিন ক্ষণ পাওয়া যায়নি। খ্রিস্টানদের বিশ্বাস মতে ২৫ শে ডিসেম্বর যীশুর জন্ম তারিখ ধরা হয়। উপহার একচেঞ্জ করা, ক্রিসমাস ট্রি সাজানাে, মিষ্টি বিতরণ করা আর অব্যশই সান্তা ক্লজের অপেক্ষা করা। যিশু ছিলেন একজন ইহুদি ধর্মপ্রচারক। যিনি খ্রিস্টধর্মের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য হন। তিনি নাসরতের যিশু নামেও অভিহিত হন। যিশুকে প্রদত্ত উপাধি খ্রিস্ট থেকে খ্রিস্টধর্মের নামকরণ করা হয়েছে।

 

যীশুর প্রকাশ্য প্রচার জীবনে অনেকে নিরাময় লাভ করে তাঁকে প্রভু বলে সম্বােধন করেছে। যীশুকে প্রভু বলার মধ্য দিয়ে তাঁর প্রতি তাদের শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। যীশুর পুনরুত্থানের পর মানুষের বিশ্বাস আরও গভীর হয়ে ওঠে। প্রেরিতশিষ্যেরা যীশুকে ‘প্রভু আমার, ঈশ্বর আমার বলে স্বীকার করেন এবং উনিই প্রভু বলে প্রচার করেন।

আমরাও যীশুকে প্রভু বলে ডাকি। তাঁর নামে পিতার কাছে আমাদের প্রয়ােজনের জন্য অনুনয় করি। কোনাে কোনাে প্রার্থনার শুরুতে তাঁকে ‘হে প্রভু যীশু’ বলে সম্বােধন করি। আবার সব প্রার্থনার শেষে প্রভু যীশুর নামে’ বলে শেষ করি। কারণ তিনি মৃত্যুকে জয় করেছেন, তিনি পুনরুত্থিত হয়েছেন এবং পিতা তাঁকে সর্বময় ক্ষমতা দিয়েছেন। আমরা যীশুর ওপর পরিপূর্ণ আস্থা রাখতে পারি। তিনি মানবজাতিকে পরিত্রাণ এনে দিয়েছেন। তার ক্ষমতা, সম্মান ও গৌরব মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে।

যীশু ঈশ্বর থেকে মানুষ হয়েছেন। তিনি প্রকৃত ঈশ্বর ও প্রকৃত মানুষ। একজন মানুষের থাকে দেহ, মন ও আত্মা। দেহমন-আত্মার প্রকৃতি নিয়ে মানুষ জন্ম নেয় এবং পূর্ণাঙ্গ মানবীয় স্বভাবে বেড়ে উঠে। মানুষকে ঈশ্বর সৃষ্টির অন্যান্য সবকিছু থেকে আলাদা করে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে দিয়েছেন বুদ্ধি ও ঈচ্ছাশক্তি, যেটি অন্য কোনাে সৃষ্ট বস্তু বা প্রাণীর নেই। তাই মানুষ অন্যসব জীবজন্তু আলাদা।

নারীগর্ভে জন্ম নিয়ে যীশু দেহ-মন আত্মার প্রকৃতি পেয়েছেন। তিনি পূর্ণাঙ্গ মানবীয় স্বভাবে বড় হয়েছেন। মানুষের হাসিকান্না দুঃখবেদনা কিংবা আনন্দের সাথে তিনি একাত্ম হয়েছেন। তিনি আকারে-প্রকারে ও স্বভাবে সম্পূর্ণ মানুষ যীশুর মানবীয় স্বভাব নিয়ে বিভিন্ন ভ্রান্ত মতবাদ ছিল। মণ্ডলীর পরিচালকগণ এবং পণ্ডিতগণ এই সত্য প্রকাশ করেছেন যে যীশু ঈশ্বর থেকে আগত মানুষ।

যীশুর দুইটি স্বভাব:  মানবীয় ও ঐশ্বরিক। তিনি পূর্ণ ঈশ্বর ও পূর্ণ মানুষ। মানবীয় দেহ, বুদ্ধি, ইচ্ছাশক্তি এবং তাঁর সকল কার্যাবলির জন্য তিনি প্রকৃত মানুষ। মানুষ হয়েও তিনি আলাদা। কারণ তিনি মানুষ ও ঈশ্বর। ঈশ্বরত্বে ও প্রভুত্বে তিনি সম্পূর্ণ ঈশ্বর।তিনি ক্রশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তারপর কবর থেকে পুনরুত্থিত হয়ে তিনি মানবজাতির পরিত্রাণ এনেছেন।

 

Christianity Resurrection of Jesus Desktop Love God, God, love, hand, arm png thumbnail

 

Class 7 Assignment Buddhism and Moral Education Part Solution:

তােমার এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে সমস্ত | মূল্যবােধ প্রতিপালন করার প্রয়ােজন হয় সে রকম ১০টি মূল্যবােধের একটি তালিকা তৈরি কর।

সমাধানঃ     

মানুষের জীবন মাত্রই সুখ-দুঃখের মিলিত রূপ। সুখের পাশাপাশি দুঃখের হাত থেকেও নিস্তার নেই কারও। জরা, রােগ, মৃত্যু- এ সবই দুঃখ। বুদ্ধের মতে মানুষের কামনা-বাসনাই দুঃখের মূল। মাঝে মাঝে যে সুখ আসে তাও দুঃখের মিশেলে এবং অস্থায়ী। অবিমিশ্র সুখ বলে কিছু নেই । গৌতম বুদ্ধ বলেন, নির্বাণ লাভ কিংবা কামনা-বাসনা থেকে মুক্তি লাভে দুঃখের অবসান ঘটে। এর মধ্য দিয়ে দূর হয় অজ্ঞানতা, মেলে পূর্ণ শান্তি। সত্যজ্ঞান, আনন্দ এবং ইতিবাচকতার জন্য আমরা তাই বুদ্ধের কাছে যাই। সুখের সন্ধানে অনুসরণ করি তাঁর বাণী।

সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যে সমস্ত মূল্যবােধ প্রতি পালন করা প্রয়ােজন সে রকম ১০ টি মূল্যবােধের একটি তালিকা নিচে তুলে ধরা হলােঃ

১। অতীতকে প্রাধান্য দিও না, ভবিষ্যত নিয়ে দিবাস্বপ্নও দেখবে না। তার চেয়ে বরং বর্তমান মুহূর্ত নিয়ে ভাবাে।

২। সবকিছুর জন্য মনই আসল। সবার আগে মনকে উপযুক্ত করাে, চিন্তাশীল হও আগে ভাবাে  তুমি কী হতে চাও।

৩। আনন্দ হলাে বিশুদ্ধ মনের সহচর। বিশুদ্ধ চিন্তাগুলাে খুঁজে খুঁজে আলাদা করতে হবে। তাহলে সুখের দিশা তুমি পাবেই।

৪। তুমিই কেবল তােমার রক্ষাকর্তা, অন্য কেউ নয়।

৫। জীবনের প্রথমেই ভুল হওয়া মানেই এই নয় এটিই সবচেয়ে বড় ভুল। এর থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যাও।

৬। অনিয়ন্ত্রিত মন মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে। মনকে প্রশিক্ষিত করতে পারলে চিন্তাগুলােও তােমার দাসত্ব মেনে নেবে।

৭। তােমাদের সবাইকে সদয়, জ্ঞানী ও সঠিক মনের অধিকারী হতে হবে। যতই বিশুদ্ধ জীবনযাপন করবে, ততােই উপভােগ করতে পারবে জীবনকে।

৮। আমরা অনেকেই একটা কিছুর সন্ধানে পুরাে জীবন কাটিয়ে দেই। কিন্তু তুমি যা চাও তা হয়তাে এরইমধ্যে পেয়েছ সুতরাং, এবার থামাে।

৯। সুখের জন্ম হয় মনের গভীরে। এটি কখনও বাইরের কোনাে উৎস থেকে আসে না।

১০। অন্যের জন্য ভালাে কিছু করতে পারাটাও তােমার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

পরিশেষে বলা যায় যে সমাজে বা রাষ্ট্রে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে গৌতম বুদ্ধের উপদেশ ও আদর্শ আমাদের সবার মেনে চলতে হবে। তবেই সমাজ থেকে অহিংসা,লােভ দূর হয়ে শান্তি ফিরে
আসবে।

 

Class 8 Assignment Bangla Part Solution:  

রিনা ও মলি স্কুলে নতুন বই আনতে গিয়েছে। বই নিয়ে বের হওয়ার সময় তারা স্কুলের মাঠে একটি দামি মােবাইল ফোন পেল। তারা তাদের সহপাঠী রনির সাথে বিষয়টি নিয়ে আলােচনা করে। তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে, ফোনের প্রকৃত মালিককে এটি ফেরত দেবে। কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা প্রকৃত মালিককে ফেরত দিতে পারে, সেই ধাপসমূহের বর্ণনা।

সমাধানঃ     

মােবাইল ফোন ফিরিয়ে দেওয়ার বিভিন্ন ধাপ বা উপায় নিম্নে তুলে ধরা হলােঃ

 প্রথম ধাপ বা উপায়: স্কুলের যদি প্রচারণার জন্য মাইক থাকে তাহলে সেই মাইকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে হবে- “একটি হারানাে বিজ্ঞপ্তি, স্কুলের মাঠে একটি মােবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। যথাযথ তথ্য সাপেক্ষে স্কুলের অফিস কক্ষ থেকে ইহার মালিককে মােবাইল ফোনটি গ্রহণ করার জন্য বলা যাচ্ছে।” আর যদি মাইক না থাকে তাহলে সবার উদ্দেশ্যে তা উচ্চকণ্ঠে বলতে হবে।

 দ্বিতীয় ধাপ বা উপায়: প্রত্যেক ক্লাস রুমে গিয়ে বলতে হবে- “আমরা একটি মােবাইল ফোন পেয়েছি। কারাে মােবাইল ফোন হারিয়ে গেলে আমাদের সাথে যােগাযােগ করবেন। যথাযথ তথ্য সাপেক্ষে ইহার মালিককে মােবাইল ফোনটি
‘ দেওয়া হবে।”

 তৃতীয় ধাপ বা উপায়: মানুষকে জানানাে যে, “আমরা একটি মােবাইল ফোন পেয়েছি। কেউ মােবাইল ফোন খুঁজলে আমাদের কথা বলবেন যে, আমরা মােবাইল ফোনটি পেয়েছি। যথাযথ তথ্য সাপেক্ষে তাকে আমরা মােবাইল ফোনটি দিয়ে দিব।

 চতুর্থ ধাপ বা উপায়: মােবাইল ফোনের নম্বর বের করে তার মােবাইল ফোনের মালিক)। নিকটতম লােকের নম্বর বের করে তাকে ফোন দিয়ে জানতে হবে যে, ‘এই ফোনটি কার তার সঠিক পরিচয় নেওয়া।

 পঞ্চম ধাপ বা উপায়: এলাকার দেওয়ালে পােস্টার মেরে মানুষকে জানিয়ে দেওয়া যে, “একটি মােবাইল ফোন পাওয়া গিয়েছে। যথাযথ তথ্য সাপেক্ষে ফোনটির মালিককে মােবাইল ফোনটি দেওয়া হবে।

 ষষ্ঠ ধাপ বা উপায়: প্রধান শিক্ষককের কাছে ফোনটি জমা দেওয়া এবং স্যারকে বলা যে, আমরা এটি কুড়িয়ে পেয়েছি। কেউ খোঁজ করলে যাচাই করে ফোনের মালিককে দয়া করে ফোনটি দিয়ে দিবেন।

 সপ্তম ধাপ বা উপায়: ফোনটি নিকটতম থানায় জমা দেওয়া। যাতে তারা আসল মালিককে সনাক্ত করে মােবাইল ফোনটি দিয়ে দিতে পারে।

 

আসল মালিক চেনার জন্য তাকে কয়েকটি প্রশ্ন করতে হবে। যথা-

১। মােবাইল ফোনটি কোন রঙের?

২। মােবাইল ফোনটি কোন মডেলের?

৩। মোবাইল ফোনটিতে কয়টি সিল তোলা আছে?

৪। মােবাইল ফোনে থাকা সিমের নম্বরটা বলেন?

 

উপর্যুক্ত প্রশ্নসমূহের সঠিক উত্তর দিতে পারলে তাকে মােবাইল ফোনটি দিয়ে দেওয়া যাবে।

 

Class 8 Assignment Islam and Moral Education Part Solution:  

মনে কর তােমার ঘনিষ্ঠ একজন সহপাঠীর আচরণে মুনাফিকের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়, তাকে প্রকৃত মুমিন বান্দা হতে সহায়তা করার জন্য তুমি কী কী উদ্যোগ নিতে পারাে- এ। সম্পর্কিত একটি কর্মপরিকলপনা তৈরি করাে।

সংকেত:

১। সহপাঠীর কোন কোন আচরণে মুনাফিকের লক্ষণ তার উল্লেখ।

২। উক্ত আচরণগুলাে কেন ক্ষতিকর তার ব্যাখ্যা।

৩। উক্ত বিষয়ের কুরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি

৪। সহপাঠীর মুনাফিকী আচরণ দূর করার উপায়।

৫। সহপাঠীকে মুমিন হওয়ার জন্য তােমার পদক্ষেপ।

 

সমাধানঃ     

আমার ঘনিষ্ঠ সহপাঠীর আচরণে কপটতা, ভন্ডামি ও দ্বিমুখী নীতি প্রভৃতি লক্ষণ প্রতিফলিত হয়েছে। যাদের মধ্যে এসব বৈশিষ্ট্য রয়েছে তারা-ই মুনাফিক।। নৈতিক ও মানবিক আদর্শের বিপরীত কাজ করাই এদের ধর্ম। মুনাফিকরা মুখে ভাল কথা বললেও তাদের অন্তর থাকে কুফরিতে পূর্ণ। এমন মানসিকতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আমার সহপাঠীর আচরণে।। আমার সহপাঠী প্রায়ই মিথ্যা কথা বলে এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। এগুলাে মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য। কারণ মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি। মিথ্যা বলা, ওয়াদা ভঙ্গ করা এবং আমানতের খিয়ানত করা। এই লক্ষণগুলাে যখন কারও মধ্যে দেখা। যায় তখন তাকে মুনাফিক বলে। সুতরাং আমার সহপাঠী আচরণে মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে। হাদিসে মুনাফিকদের চরিত্রকে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে

“মুনাফিকের নির্দশন তিনটি – যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, ওয়াদা করলে  তা ভঙ্গ করে এবং যখন তার নিকট কোনাে কিছু গচ্ছিত রাখা হয় তখন তার  খিয়ানত করে।” (সহিহ বুখারি ও সহিহ্ মুসলিম)।

 নিফাক একটি মারাত্মক পাপ। এটি নৈতিকতা ও মানবিকতার বিপরীত কাজ। নিফাকের ফলে মানুষ অন্যায় ও অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ফলে মানুষের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবােধ বিনষ্ট হয়। নিফাকের দ্বারা মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস ও সন্দের সৃষ্টি হয়। ফলে মানব সমাজে মারামারি, হানাহানি ও অশান্তির সৃষ্টি। হয় মুনাফিকরা ইসলামের চরম শত্র। তারা বন্ধুবেশে মুসলমানদের বড় ধরনের। ক্ষতি সাধন করে। এর কারণে সমাজে নানা ধরনের অন্যায় ও অনৈতিক কাজের। | প্রসার ঘটে। এজন্যই দুনিয়াতে মুনাফিকরা ঘৃণিত মনে হয় এবং আখেরাতেও। তাদের জন্য কঠোর আযাব প্রস্তুত রয়েছে। আমার সহপাঠী প্রায়ই মিথ্যা কথা বলে এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। এগুলাে । মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য। আমার ঘনিষ্ঠ সহপাঠীর আচরণে এ বিষয়টিই ফুটে উঠেছে। উপরের আলােচনা থেকে বলা যায় যে, আমার সহপাঠীর মুনাফিকির পরিনাম
অত্যন্ত ভয়াবহ।

 মুনাফিকদের অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন – “যখন তারা (মুনাফিকরা) ইমানদারদের সাথে মিলিত হয় তখন বলে। আমরা ইমান এনেছি। আর যখন তারা গােপনে তাদের শয়তানদের সাথে মিলিত হয তখন বলে, আমরা তােমাদের সাথেই আছি। আমরা শুধু তাদের সাথে ঠাট্টাতামাশা করে থাকি।” (সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৪)।

মুনাফিকির পরিণাম সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, “নিশ্চয়ই মুনাফিকদের স্থান জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে।” (সূরা আন-নিসা, আয়া-১৪৫)।

 মুনাফিকির আচরণ দূর করার উপায়:

১. কথা বলার সময় সত্য কথা বলবে, মিথ্যা কথা বলবে না।

২. কাউকে কথা দিলে তা রক্ষা করবে।

৩. আমানত রক্ষা করবে। যেমন কারাে কাছে কোনাে জিনিস ও সম্পদ আমানত রাখলে তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করবে এবং ফেরত দিবে। কারাে সাথে কথা দিলে তা রক্ষা করবে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করবে না।

 

 আমার সহপাঠীকে মুমিন করার জন্য আমার কর্মপরিকল্পনা:

১। সহপাঠীকে সত্য কথা বলার জন্য উৎসাহিত করব এবং সত্য কথা বলার। সুফল বােঝানাের চেষ্টা করব।

২। তাকে মিথ্যা বলতে নিরুৎসাহিত করব এবং মিথা বলার পরিণতি সম্পর্কে। ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

৩। কারাে সাথে ওয়াদা করলে তা রাখার গুরুত্ব বােঝাব এবং ওয়াদা না রাখার পরিণাম সম্পর্ক ধারণা দিব।

৪। আমানতের গুরুত্ব বােঝানাের চেষ্টা করব এবং আমানতের খেয়ানত করার। কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব।

 

Class 8 Assignment Hinduism and Moral Education Part Solution: 

“সকল সাধকেরই মূল উদ্দেশ্য পরম পুরুষকে পাওয়া।” উক্তিটির যৌক্তিকতা নিরুপণ কর।

সমাধানঃ      

ঈশ্বর সর্বশক্তিমান। তিনি এক ও অদ্বিতীয়।তার উপরে আর কেউ নেই। তিনিই পরম পুরুষ। ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যখন কেউ গভীর ধ্যানে মগ্ন হয় তখন তাকে সাধনা বলা হয়। সাধনার মাধ্যমে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভ করা যায়। ঈশ্বর যখন সাধনায় সন্তুষ্ট হােন তখন তিনি তার ভক্তের মনােবাঞ্চা পুরণ করেন। ঈশ্বরই হচ্ছেন পরম পিতা,তিনিই পরম পুরুষ।ঈশ্বরের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সাধনা করা হয় অর্থাৎ সাধনার উদ্দেশ্যই হচ্ছে পরম পুরুষকে পাওয়া।

আমার জানা তিনজন সাধক হচ্ছেন অমল ঠাকুর,স্বামী আচার্য চয়ন,সন্ধ্যা দেবী। অমল ঠাকুর একজন শিব ভক্ত। তিনি ঈশ্বরের আরাধনা হিসেবে ধ্যানকেই বেছে নিয়েছেন। একনিষ্ঠ মনে নিরিবিলি বসে ঈশ্বরের আরাধনা করাকেই ধ্যান বলেন ।

অমল ঠাকুরের কাছে ঈশ্বর নিরাকার এবং ধ্যানই হচ্ছে ঈশ্বর লাভের পথ তাই তিনি একজন জ্ঞানী ভক্ত।
স্বামী আচার্য রােজ সকালে উনার বাড়ির মন্দিরে ঈশ্বরের পুজা অর্চনা করেন এবং রােজ সম্পূর্ণ গীতা পাঠ করেন, নৈবেদ্য চড়ান তার কাছে ঈশ্বর সাকার। তাই ঈশ্বরের প্রতিমা বা প্রতীক সামনে রেখেই তিনি করেন তার সাধনা। তার কাছে এটাই
পরম পুরুষকে পাওয়ার পথ।

অন্যদিকে সন্ধ্যা দেবী ধ্যানও করেন আবার পুজা অর্চনাও করেন। তার কাছে ঈশ্বরকে মন দিয়ে ডাকাই হচ্ছে তাকে পাওয়ার একমাত্র পথ।তিনি ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করার জন্য সবকিছুই করতে চান। তাই তার কাছে ঈশ্বর
সাকার-নিরাকার দুটোই। তাদের সাধনার পথ পৃথক ।একজনের কাছে ঈশ্বর সাকার তাে আরেকজনের কাছে ঈশ্বর নিরাকার আবার অন্যজনের কাছে ঈশ্বর সাকার ও নিরাকার উভয়ই। তবে তারা সবাই কিন্তু একই ঈশ্বরের সাধনায় ব্রত। এক ঈশ্বরকে পাওয়ার আকাঙখা থেকেই তাদের সাধনার পথে পা বাড়ানাে।

ঈশ্বর এক ও অদ্বিতীয় তাই একাধিক ঈশ্বরের আরাধনা কখনােই সম্ভব নয়। যে যেভাবেই সাধনা করুক না কেন তাদের সবারই মূল উদ্দেশ্য পরম পুরুষকে পাওয়া। সেক্ষেত্রে আমার জানা তিনজন সাধকের সাধনার পথ পৃথক হলেও তাদের উদ্দেশ্য ওই এক পরম পুরুষেই গিয়ে মিলেছে। তাই ভক্ত যতজনই হােক আর যে যেভাবেই ভজনা করুক প্রত্যেকের জন্য ঈশ্বর হলেন একজন। এক ঈশ্বরের শিষ্য সবাই, সবারই উদ্দেশ্য ঈশ্বর তথা পরম পুরুষের সান্নিধ্য লাভ করা,তাকে
পাওয়া। তাদের মত ও পথ আমায় ভীষণভাবে প্রভাবিত করেছে। তাদের সাধনা দেখে আমি এটা বুঝতে পেরেছি যে এই জীবনে আমাদের প্রধান কাজই হচ্ছে ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভের প্রচেষ্টা। পরম পুরুষকে না পেলে কারােরই মােক্ষলাভ ঘটবে না।
আমি এটা জানতে পেরেছি যে,ঈশ্বরকে লাভের জন্য তাকে মন দিয়ে ডাকাই হচ্ছে সহজ পথ। ঈশ্বরকে যে যেভাবেই ভজনা করুক যদি সে মন দিয়ে তাকে ডাকতে পারে তাহলে ঈশ্বরও তার ডাকে সাড়া দিয়ে থাকেন। ভক্তের ডাকে ভগবান সাড়া না দিয়ে থাকতে পারেন না। এখন আমিও রােজ গীতাপাঠ করি  ।প্রতিদিন স্নান করে ধ্যান করি।পুজা অর্চনাও করি।আমার উদ্দেশ্য তাদের মতাে এতটা গভীর না হলেও আমিও ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে চাই। কারন ভগবান ছাড়া ভক্তের কোনাে মূল্য
নেই। তাই আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত ঈশ্বরের নামে নজের জীবনকে সমাপিত করা। আমাদের জীবন দা করেছেন ঈশ্বর,তাই জীবনে চলার পথে তাকেই সবার উপরে রেখে চলতে হবে।ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে পারলেই জীবন হবে মধুময়।

Class 8 Assignment Christian and Moral Education Part Solution: 

তুমি ধর্মানুরাগী, নিচের ঘটনাগুলাের ক্ষেত্রে তুমি যদি উপস্থিত থাকতে তাহলে কী করতে তা বর্ণনা কর।

১. দীক্ষাগুরু যােহনের মন পরিবর্তনের প্রচার

২. যীশুর শিষ্যদের উপর পবিত্র আত্মার অবতরণ

৩. পবিত্র আত্মার অনুপ্রেরণায় মারীয়ার জীবন যাপন

সমাধানঃ     

 

Class 8 Assignment Buddhism and Moral Education Part Solution:

পরিবার ও সমাজে জাতি, প্রথা, গােত্র, বর্ণ, পেশা নির্বিশেষে সকল শ্রেণির মানুষের মধ্যে কিছু বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়। কন্যা সন্তানরাও এখনাে সমাজে অবহেলিত ও বৈষম্যের স্বীকার। তাই বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে গৌতম বুদ্ধ সাম্যনীতির অগ্রাধিকার দেন।

উপরের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নিচের সংকেত অনুসরণ করে প্রতিবেদন আকারে লিখ।(৩০০ শব্দের মধ্যে)।

সংকেত:

ক. বুদ্ধের সাম্যনীতি

খ. তােমার দেখা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি, গােত্র ও পেশাজীবী মানুষের মধ্যে বৈষম্য।

গ. বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার আলােকে তােমার দেখা কন্যা সন্তানদের বৈষম্যের স্বীকার এরুপ একটি ঘটনা।

ঘ. বুদ্ধের সাম্যনীতির আলােকে সামাজিক বৈষম্য দূর করার উপায়গুলাের তালিকা।

সমাধানঃ     

গৌতম বুদ্ধের সাম্যনীতি আমাদের পরিবার, সমাজ ও জাতীয় জীবনে ব্যাপক গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাম্য নীতি বলতে বৈষম্যহীনতা, ন্যায় বিচার, মৌলিক অধিকার, পারস্পরিক মর্যাদাবােধ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা বােঝায়। সাম্য নীতি হল সর্বাধিক গ্রহণযােগ্য নীতি যার মাধ্যমে সর্বপ্রকার বৈষম্য দূর করে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। গৌতম বুদ্ধকে সাম্যনীতির প্রবক্তা বলা হয়। সাম্য নীতি কারণেই বৌদ্ধধর্ম ভারতবর্ষের সীমারেখা অতিক্রম করে সমগ্র বিশ্বে প্রসারিত হয়েছে। বুদ্ধের সময়কালে যেমন বিভিন্ন শ্রেণি, গােত্র ও পেশাজীবীর বৈষম্য ছিল আমাদের সমাজেও বিভিন্ন শ্রেণি, গােত্র ও পেশাজীবী মানুষের মধ্যে বৈষম্য লক্ষ্য করা যায়। তখনকার সময়েও যেমন চন্ডাল, মেথর, মুচি প্রভৃত পেশায় নিয়ােজিতদের নিম্নবর্ণ  হিসেবে অভিহিত করা হতাে বর্তমান সময়েও তাদের নিম্নবর্ণ হিসেবে দেখা হয়। যেটা আসলে মােটেও কাম্য নয়। আমাদের সমাজে এখনােও গােত্রের সমস্যা রয়ে গেছে বর্তমানে পরিলক্ষিত করা যায় এক গােত্রের লােক অন্য গােত্রের সাথে বিবাহ দিতে চায়। তাছাড়া নিম্ন শ্রেণির ছেলে-মেয়েদের সাথে উচ্চ শ্রেণির ছেলেমেয়েদের মিশতে দেয়া হয়না। যা মােটেও কাম্য নয়। ভিক্ষু আনন্দ চণ্ডাল কন্যার হাত থেকে পানি পান । করে সেই সংস্কারের মূলে কুঠারঘাত করেন। আমাদের সমাজে কন্য সন্তানদের এখনাে অবহেলিত রূপে দেখা যায়। অনেকে মনে করেন কন্যা সন্তানরা ভবিষ্যতের প্রদীপনয়। যা মােটেও সঠিক নয়। আমার দেখা একজন প্রতিবেশি হলাে অধুরা রানী যার পাঁচটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার জন্যে তার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ী সবাই তাকে অবহেলা করে কেন পুত্র সন্তান জন্ম দিতে পারে নাই। এ জন্যে এই বিষয়টা নিয়ে তাদের মাঝে প্রায়ই ঝগড়া লাগতাে। পরবর্তীতে দেখা যায় তাকে | ডিভাের্স দিয়ে তার স্বামী অন্য আরেকটি বিবাহ করে। ফলে দেখা যায় কন্যা সন্তানের ফলে ডিভাের্স পেতে হয়েছিলাে। তাই বলা যায় কন্যা  সন্তানদের এখনও অবহেলার চোখে দেখা হয়। যা মােটেও কাম্য নয়। বুদ্ধের সাম্যনীতির আলােকে সামাজিক বৈষম্য দূর করার উপায়গুলাের তালিকা নিচে দেওয়া হলােঃ

১। ধনী গরীব সকলের মধ্যে সাম্য। মানুষের মাঝে কোন ভেদাভেদ থাকবে না।

২। জাতিগত বিদ্বেষ দূর করে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

৩। নারীপুরুষ বৈষম্য দূর করে সমান সুযােগ সৃষ্টি করা যেতে পারে।

৪। পেশা ও শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।

৫। সকলের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা যেতে পারে।

৬। সাম্যনীতির মাধ্যমে পরিবার থেকে রাষ্টীয় পর্যায়ে বিরাজমান সকল বৈষম্য দূর করা যেতে পারে ।

 

 

Class 9 Assignment Bangla Part Solution:   

অনুচ্ছেদ রচনাঃস্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব”

সমাধানঃ     

সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত। আমাদের পাঠচর্চায় অনভ্যাস যে শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটির জন্য ঘটছে তা সহজেই লক্ষণীয় আর্থিক অনটনের কারণে অর্থকরী নয় এমন সবকিছুই এদেশে অনর্থক বলে বিবেচনা করা হয়। সেজন্য বই পড়ার প্রতি লোকের অনীহা দেখা যায়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে লব্ধ শিক্ষা পূর্ণাঙ্গ নয় বলে ব্যাপকভাবে বই পড়া দরকার। যথার্থ শিক্ষিত হতে হলে মনের প্রসার দরকার। তার জন্য বই পড়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। এর জন্য লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন।

বই-ই হচ্ছে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ। যার সাথে পার্থিব কোনো সম্পদের তুলনা হতে পারে না। একদিন হয়তো পার্থিব সব সম্পদ বিনষ্ট হয়ে যাবে, কিন্তু একটি ভালো বই থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান কখনো নিঃশেষ হবেনা, তা চিরকাল হৃদয় জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখবে।

 

বইয়ের ভেতরে যে জগতের বর্ণনা থাকে আমরা বই পড়ার মধ্যে দিয়ে সেই জগতটির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারি । কখনো কখনো বই আমাদের একটি ছোট্ট ভ্যাকেশনে নিয়ে যায় । কারন পড়ার মাধ্যমে আমরা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যেতে পারি। বই-এই ভিতরে থাকা নতুন জগতের নতুন চিত্র , নতুন বর্ণনা নতুন নতুন ভাবে উপলব্ধি করতে পারি । ফলে আমাদের মনন জগতের কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে । বই আমাদের মস্তিষ্কের নতুন নতুন কানেকশন তৈরি করে , ফলে আমাদের নতুন করে জানার আগ্রহ , মনে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় । দেশি বিদেশি বিভিন্ন ভাষার বই পড়লে আমাদের ঝুলিতে নতুন নতুন শব্দের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে । লেখক যখন বই লেখেন তিনি অনেক বিষয় নিয়ে গবেষণা করে থাকেন ,

 

শব্দ নিয়েও তাঁর গবেষণা কম থাকে না। আর আমরা বইপড়ার মাধ্যমে সেই শব্দগুলি সহজেই শিখে নিতে পারি । ফলে কথা বলার সময় সেই শব্দগুলি ব্যবহার করে আমরা আমাদের বাচনভঙ্গিকে স্পষ্ট , সুন্দর ও তাৎপর্যমন্ডিত করতে পারি । আর যে ব্যক্তি অনেক বই পড়ে থাকেন তিনি খুব সহজেই অন্যের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন । এতে ব্যক্তিজীবন উন্নত হয় এবং আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায় । নতুন ভাষা শিখতেও বই পড়া আবশ্যক। তাইতো, স্বশিক্ষা অর্জনে বই পড়ার গুরুত্ব অপরিসীম।

 

Class 9 Assignment Bangladesh and Global Studies Part Solution:  

১৯৫২, ১৯৬৬, ১৯৭০ সাল বাংলাদেশের ইতিহাস বিনির্মাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু সময়। এর মাঝে কোন সালের ঘটনাপ্রবাহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অধিকতর প্রেরণা যুগিয়েছিল বলে তুমি মনে কর? যুক্তিসহ তোমার মতামত তুলে ধর।

সমাধানঃ       

প্রশ্নে উল্লেখিত সালগুলাে হলাে, ১৯৫২, ১৯৬৬,১৯৭০। নিম্নে এই সালগুলাের সাথে সম্পর্কিত ঘটনাগুলি ধারাবাহিকভাবে উল্লেখ করা হলাে:

১৯৫২ সাল (ভাষা আন্দোলন)

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ছিল পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান গঠনের পর পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরাই পাকিস্তান সরকারের প্রাধান্য পায়। পাকিস্তান সরকার ঠিক করে উর্দু ভাষাকে সমগ্র পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা করা হবে, যদিও পূর্ব পাকিস্তানে উর্দু ভাষার চল ছিলাে খুবই কম। পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা ভাষাভাষী মানুষ | (যারা সংখ্যার বিচারে সমগ্র পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন) এই সিদ্ধান্তকে মােটেই  মেনে নিতে চায়নি। পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাভাষার সম-মর্যাদার দাবীতে শুরু হয়। আন্দোলন। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর খাজা নাজিমুদ্দিন জানান যে পাকিস্তান সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে। এই ঘােষণার ফলে আন্দোলন আরাে জোরদার হয়ে ওঠে। পলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে মিটিং-মিছিল। ইত্যাদি বে-আইনি ঘােষণা করে। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ সালে এই আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এর অনেক ছাত্র ও আরাে কিছু রাজনৈতিক কর্মীরা মিলে একটি  মিছিল শুরু করেন। মিছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ-এর কাছে এলে পুলিস মিছিলের উপর গুলি চালায়। গুলিতে নিহত হন আব্দুস সালাম,রফিক, বরকত, জব্বার সহ আরাে অনেকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সারা পূর্ব। পাকিস্তানে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে ও তীব্র আকার ধারন করে। অবশেষে পাকিস্তান। সরকার বাধ্য হয় বাংলা ও উর্দুভাষাকে সমমর্যাদা দিতে।

 

১৯৬৬ সাল (ছয় দফা)

১৯৬৬ সালে সংঘটিত হয় ঐতিহাসিক ৬ দফা। ঐতিহাসিক ৬ দফার প্রবক্তা জাতির | পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পূর্ব । বাংলার জনগণের প্রতি পাকিস্তান রাষ্ট্রের চরম বৈষম্যমূলক আচরণ ও অবহেলার বিরুদ্ধে আন্দোলন ও সংগ্রাম সুস্পষ্ট রূপ
লাভ করে ছয় দফার স্বায়ত্তশাসনের দাবিনামায়। ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহােরে অনুষ্ঠিত বিরােধী দলসমূহের এক। সম্মেলনে যােগদান করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান। সেখানে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে পূর্ব সেখানে তিনি সংবাদ সম্মেলন করে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। দফাগুলাে হলাে:

১ম দফা : লাহাের প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তানের জন্য সত্যিকার অর্থে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে হবে। সরকার হবে সংসদীয় পদ্ধতির । সর্বজনীন ভােটাধিকারের ভিত্তিতে সকল প্রাপ্ত বয়স্কের ভােটে জাতীয় ও প্রাদেশিক আইনসভাগুলাে গঠিত হবে ।

২য় দফা : যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের হাতে থাকবে দেশরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়। অবশিষ্ট সকল বিষয় প্রদেশের হাতে থাকবে ।

৩য় দফা : দেশের দুই অঞ্চলের জন্য দুটি পৃথক অথচ সহজ বিনিময়যােগ্য মুদ্রা চালু থাকবে অথবা দেশের দুই অঞ্চলের জন্য একই মুদ্রা থাকবে। তবে সংবিধানে এমন ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে এক অঞ্চলের মুদ্রা ও মূলধন অন্য অঞ্চলে পাচার হতে না পারে।

৪র্থ দফা : সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা ও কর ধার্য এবং আদায়ের ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকবে তবে কেন্দ্রিয় সরকারের ব্যয় নির্বাহের জন্য আদায় কৃত অর্থের একটি অংশ কেন্দ্রিয় সরকার পাবে ।

৫ম দফা ; বৈদেশিক বাণিজ্যি ও বৈদেশিক মুদ্রার উপর প্রাদেশিক সরকারের ক্ষমতা থাকবে। সকল প্রকার বৈদেশিক চুক্তি ও সহযােগিতার ব্যাপারে প্রাদেশিক সরকার দায়িত্ব পালন করবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা যুক্তিযুক্ত হারে উভয় সরকার কর্তৃক মেটানাে হবে।

৬ষ্ঠ দফা : আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য আঞ্চলিক সরকারগুলাে স্বীয় কর্তৃত্বাধীন আধা সামরিক বাহিনী (প্যারা মিলিশিয়া) গঠন ও পরিচালনা করতে পারবে।

ছয় দফা কর্মসূচির মূল আবেদন ছিল পূর্ব পাকিস্তান শুধু একটি প্রদেশ নয় বরং একটি স্বতন্ত্র স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল । সকল প্রকার শােষণ ও বঞ্চনার অবসান ঘটানােই ছিল এর লক্ষ্য।

 

১৯৭০ সালের (নির্বাচন): 

অশান্ত রাজনৈতিক পরিবেশে ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ জেনারেল ইয়াহিযা খান ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং সমগ্র পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি করেন। জাতির উদ্দেশে ̈ এক বেতার ভাষণে তিনি ১৯৭০ সালের ৫ই অক্টোবর সর্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের ভিত্তিতে পাকিস্তানের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা প্রদান করেন।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি রাজনৈতিক দলসমূহ: 

জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর। প্রাদেশিক পরিষদসমূহের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯ ডিসেম্বর। নির্বাচনে ২৪টি রাজনৈতিক দল এবং বেশ কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। দলগুলোর মধ্যে  উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগ, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পি.পি.পি) , ন্যাপ (ওয়ালী খান), মুসলিম লীগের বিভিন্ন গ্রুপ, জামায়াত-ই-ইসলামী, জমিয়তে উলামা-ই-ইসলাম, জমিয়তে উলামা-ই-পাকিস্তান, নিজামে ইসলাম, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি (পি.ডি.পি) ইত্যাদি।

ফলাফল

নির্বাচনী ফলাফলনির্বাচনী ফলাফলে দেখা যায, জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন (৭টি মহিলা আসনসহ) লাভ করে। জাতীয় পরিষদের ৩১৩টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসন পেয়ে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়।  জাতীয় পরিষদে পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দকৃত ১৪৪টি আসনের মধ্যে ৮৮টি আসন লাভ করে ভূট্টোর পিপলস পার্টি। প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৮৮টি আসন লাভ করে। প্রদত্ত ভোটের ৮৯ ভাগ পায় দলটি। আওয়ামী লীগ সংরক্ষিত ১০টি মহিলা আসন সহ নির্বাচনে ৩১০টি আসনের মধ্যে সর্বমোট ২৯৮টি আসনলাভ করে।

১৯৭০ এর নির্বাচনের গুরুত্ব: 

১৯৭০ এর নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। এর ফলে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী বিপাকে পড়ে যায়। শেখ মুজিব তথা বাঙ্গালির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর ছাড়া আর কোন পথ খোলা ছিল না। নিম্নে ১৯৭০ এর নির্বাচনের  গুরুত্ব বর্ণনা করা হল-

(১) নির্বাচনের মধ্য  ̈দিয়ে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের জয় হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগের বিজয় ছিল বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদেরই বিজয়।

(২) জনগণ ছয়দফা প্রশ্নে আওয়ামী লীগকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। নির্বাচনে জয়লাভ করেআওয়ামী লীগের ছয় দফা থেকে সরে আসার পথ খোলা ছিল না।

(৩) এই নির্বাচনের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে যায়, পাকিস্তান ভৌগোলিক কারণে কার্যত বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেননা পাকিস্তানের  কোন রাজনৈতিক দল বা নেতার পাকিস্তনের দু’অংশে গ্রহণযোগ ̈তা ছিল না।

 

Class 9 Assignment General Science Part Solution:  

প্রশ্নঃ ০১ 

১। বৃহস্পতিবার প্রমার আম্মু চাল, ডাল, উদ্ভিজ্জভোজ্য তেল, সবজি এবং মাংস মিশিয়ে খিচুড়ি রান্না করলেন। বিকেলে প্রমা পেয়ারে খেতে খেতে তার আব্বুকে বললো যে কাল তারা বাইরে বেড়াতে যাবে এবং বাইরে খাবে। কথামত শুক্রবারে তারা বাইরে গিয়ে দুপুরে ফ্রাইড রাইস, ফ্রাইড চিকেন, সফট ড্রিংক এবং বিকেলে বার্গার খেলো।

সমাধানঃ 

ক) প্রমার গৃহীত খাবারগুলোর মধ্যে কোন খাবারটি ভিটামিন E সমৃদ্ধ?
সব রকম উদ্ভিজ্জ ভােজ্য তেলে ভিটামিন E এর ভালাে উৎস। প্ৰমার গৃহীত খাবারগুলােম মধ্যে উদ্ভিজ্জ ভােজ্য তেল জাতীয় খাবারটি ভিটামিন E সমৃদ্ধ।

খ) উল্লেখিত খাবারগুলোর মধ্যে কোন খাবার উদ্ভিজ্জ উৎস ও কোন কোন খাবার প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া তা ছকের মাধ্যমে দেখাও।

উল্লিখিত খাবারগুলাের মধ্যে যে খাবার উদ্ভিজ্জ উৎস এবং যে যে খাবার প্রাণীজ উৎস থেকে পাওয়া যায় তা ছকের মাধ্যমে দেখানাে হলােঃ

 

উদ্ভিজ্জ উৎস প্রাণীজ উৎস
শ্বেতসারঃ চাল, ডাল, উদ্ভিজ্জ তেল এবং সবজি গ্লাইকোজেনঃ পশু ও পাখি জাতীয় যেমনঃ মুরগী, কবুতর প্রর্ভতি। প্রাণীর মাংসে গ্লাইকোজেন শর্করা থাকে।

গ) বৃহস্পতিবার প্রমার গৃহীত খাবারের একটি সুষম খাদ্য পিরামিড এঁকে উপস্থাপন কর?

আমরা জানি যে খাদ গুনাগুন অনুসারে থাকে এবং যে খাদ্য গ্রহণ করলে দেহে কাজকর্মের জন্য উপযুক্ত পরিমাণ ক্যালোরি পাওয়া যায় তাকে সুষম খাদ্য । বলে উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রমার গৃহীত খাবার ও সুষম খাদ্যের মধ্যে পড়ে।

সুষম খাদ্যের পিরামিড অঙ্কন করা হলঃ 

স্নেহ ও চর্বি জাতীয় খাদ্য কে সাজালো যে কাল্পনিক পিরামিড তৈরি হয় তাকে সুষম খাদ্য পিরামিড পিরামিড এর দিকে তাকালে কোন ধরনের খাদ্য উপাদান কতটুকু খেতে তার একটা ধারণা পাওয়া যায়।

 

ঘ) প্রমার স্বাস্থ্য রক্ষায় কোন দিনের খাবারটি অধিকত সহায়ক? যুক্তিসহকারে বিশ্লেষণ কর।

প্রমার স্বাস্থ্য রক্ষায় বৃহস্পতিবার রান্না করা খাবার অধিকতর সহায়ক । কারণ ঐ দিনের রান্না করা খাবারের প্রয়োজন শর্করা ও আমিষের পরিমাণ বিদ্যমান আছে । কিন্তু প্রমা পরেরদিন বাইরে বেড়াতে গিয়ে যে খাবারগুলো গ্রহণ করেছে তা ফাস্টফুড জাংক ফুড এর আওতাভুক্ত। কারণ হচ্ছে এমন এক ধরনের খাবার যা স্বাস্থ্যগত উপাদান এর পরিবর্তে মুখরোচক স্বাদের জন্য উৎপাদন করা হয়। এগুলো খেতে খুব সুস্বাদু মনে হতে পারে কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই এই খাবার শরীরের জন্য ভালো নয় সুস্বাদু করার জন্য এতে প্রায় অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে যেগুলো অস্বাস্থ্যকর।  ফাস্টফুডে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে প্রাণীর চর্বি ও চিনি থাকে।  বার্গার চিকেন পিজ্জা কেক কিংবা উচ্চমাত্রায় প্রাণীর চর্বি থাকে।  সফট ড্রিংস কোকাকোলার মত গ্যাসীয় পানিতে অতিরিক্ত চিনি থাকে।  ফাস্টফুডে আমাদের জন্য দরকারি ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের অভাব রয়েছে। ফাস্টফুড খাওয়ার কারণে উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের দেহ স্থূলকায় হয়ে পড়ে। এ ধরনের খাবারের চেয়ে প্রাকৃতিক সজীব খাবার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো।

বলা যায় যে, প্রমার স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রথম দিনের গৃহীত খাবারটি অধিকতর সহায়ক ।

প্রশ্নঃ ০২ 

২। শিক্ষার্থী হিসেবে তোমার ২৪ ঘন্টার একটি রুটিন তৈরী কর এবং সেখানে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো উপস্থাপন কর।

ক) তিনবেলার খাবার, টিফিন ও বিকালের নাস্তা

খ) বিশ্রাম (ঘুম) ও শরীর চর্চা

গ) সারাদিনের কার্যাবলী (পড়ালেখা, ঘরের কাজ, বাইরের কাজ ইত্যাদি)

ঘ) খেলাধুলা (বাড়িতে)

ঙ) প্রার্থণা

চ) অবসর

সমাধানঃ  

আমি ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তাই আমার রুটিন ধর্মের ইবাদত অনুসারে আবর্তিত হবে। আমার ২৪ ঘণ্টার রুটিন নিম্নরুপঃ

১। ভোর ৫:১০ টায় – ঘুম থেকে উঠা।

২। ৫:২০ টায় (কালভেদে এই সময় পরিবর্তন হবে) ফজরের নামায।

৩। ৬:০০ টায় হালকা নাস্তা।

৪। সকাল ৬:৩০ টায় কিছুক্ষণ শরীরচর্চা।

৫। সকাল ৭:০০ টায়  সকালের নাস্তা।

৬। সকাল ৭:০০ টায় পড়তে বসা (বাংলা, ইংরেজি)।

৭। সকাল ৯:০০ টায় স্কুলে যাওয়ার জন্য ব্যাগ, বই খাতা ও পড়ার টেবিল গুছানো।

৮। সকাল ৯:৩০ – দুপুর ১:২০ টায় – বিদ্যালয়ে অবস্থান ও ক্লাস করা।

৯। দুপুর ১.৩০ টিফিন টাইমে জোহরের নামায পড়া ও টিফিন করা।

১০। দুপুর ২.০০ টা থেকে ৪.০০ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অবস্থান ও ক্লাস করা।

১১। স্কুল ছুটি হলে বাসায় গিয়ে ৪.৩০ থেকে ৫.০০ পর্যন্ত ফ্রেশ হয়ে আসরের নামায পড়ি।

১২। বিকেল ৫.১০ থেকে মাগরিবের নামায পড়ার আগ পর্যন্ত খেলাধুলা করি ও  বিশ্রাম নিয়ে থাকি।

১৩। মাগরিবের নামায শেষে হালকা নাস্তা  করে ৭.২০  থেকে রাতের পড়াশুনা, খাবার খেয়ে রাত ১১.১০ এ ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।

১৪। রাত ১১:২০ থকে ভোর ৫:১০ টা পর্যন্ত ঘুম।

 

 

See/download School 1st Week Assignment Question Answer details Solution, Full Question, All Subject in below PDF: 

 

School 1st Week Assignment Question 2021 PDF

 

Official Notice Link: Click Here to see the Official Notice

See/download School 1st Week Assignment Question Answer details Solution, Full Question, All Subject in below images:  

এ্যাসাইনমেন্ট গ্রিড অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের সকল শ্রেনীর এ্যাসাইনমেন্ট 

School Assignment Answer for Class 6:

Class 6 Assignment Bangla 1st Week

Class 6 Assignment Islam Sikkha 1st Week

Class 6 Assignment Hindu dharma 1st Week

Class 6 Assignment Christian Dhormo 1st Week

Class 6 Assignment Boddho Dhormo 1st Week

 

School Assignment Answer for Class 7:

Class 7 Assignment Bangla 1st Week

Class 7 Assignment Islam & Moral Education 1st Week

Class 7 Assignment Hindu dharma 1st Week

Class 7 Assignment Christian Dhormo 1st Week

Class 7 Assignment Boddho Dhormo 1st Week

 

School Assignment Answer for Class 8: 

Class 8 Assignment Bangla 1st Week 

Class 8 Assignment Islam & Moral Education 1st Week

Class 8 Assignment Hindu dharma 1st Week

Class 8 Assignment Christian Dhormo 1st Week

Class 8 Assignment Boddho Dhormo 1st Week

 

School Assignment Answer for Class 9:

Class 9 Assignment Bangla 1st Week 

Class 9 Assignment Bangladesh & Global Studies BGS 1st Week

Class 9 Assignment Science 1st Week

 

Courtesy: To all authorities from where documents are collected

N.B: Generally we try to update any news. For any Change, reform, and republished of any news we are not responsible.

For more update stay with our website jobstestbd.com

 

Hope You Find The Answer For All Class Assignment All Subject. Ask me Anything Related to Education by the comment below.

 

Contact Us:

If you want to give advertisement in our website for any product of your organization please contact with us by following Address.

Inbox to Facebook: jobstestbd.com
Email at: [email protected]
Contact No.: 01720403750

Mirpur 1, Dhaka, Bangladesh.