Bangabandhu Satellite-1, Its Functions, Advantages And Information For Job Exam are given below.
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কি, সুবিধা ও চাকরির পরীক্ষায় আসার মত বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কি, কাজ, সুবিধা ও চাকরির পরীক্ষায় আসার মত বিস্তারিত তথ্যঃ
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কি ও এর সম্পর্কে তথ্যঃ
১. বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলাদেশের স্যাটেলাইট।
২. দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু ১ মহাকাশে পাঠানো হয়েছে – ১২ মে ২০১৮, শুক্রবার দিবাগত রাতে।
৩. বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মিত হয়েছে ফ্রান্সের তালিস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে।
৫. যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’ এর ফ্যালকন-৯ রকেট ফ্লোরিডার কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে নিয়ে উড়াল দেবে।
৬. নির্মাণ, পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও হস্তান্তর শেষে বিশেষ কার্গো বিমানে করে সেটি কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ সাইটে পাঠানো হয়।
৭. বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায়।
৮. বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।
৯. বিশ্ব স্যাটেলাইট অধিকারী দেশের মধ্যে ৫৭ তম সদস্য হিসেবে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ।
১০. বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি।
১১. আমেরিকার অরলান্ডো হতে ফ্যালকন-৯ রকেটের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটি আকাশপথে উৎক্ষেপন করা হবে।আমেরিকার এর স্পেস-এক্স কোম্পানি স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১২. ২০১৫ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ নির্মাণ চুক্তির পর কথা ছিলো ২০১৭ সালেই সেটি মহাকাশে পৌঁছে যাবে। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেবছরও উৎক্ষেপণের নির্ধারিত দিনও পার হয়ে যায়।
১৩. ২০১৫ সালের ১১ নভেম্বর ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ।
১৪. স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ এবং তা কক্ষপথে রাখার জন্য রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কেনা হয়। মহাকাশে এই কক্ষপথের অবস্থান ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতে প্রায় ২১৯ কোটি টাকায় ১৫ বছরের জন্য এই কক্ষপথ কেনা হয়।
১৫. পরিচালনায় বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট কোম্পানি ‘বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি ।
১৬. গাজীপুরে প্রায় ১৩ একর জায়গার ৫ একর জুড়ে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
১৭. বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর আয়ু ১৫ বছর তবে ৪৫ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
১৮. ওজন ৩.৭ মেট্রিক টন মানে ৩৭০০ কেজি।
১৯. বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট মহাকাশে অবস্থান করবে – ১১৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে
২০. বাংলাদেশের এই স্যাটেলাইটের আওতায় আসবে সার্কভুক্ত দেশগুলোসহ – ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, তাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কেমেনিস্তান ও কাজাখস্তান
২১. বাংলাদেশ প্রথম স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ শুরু করে – ২০০৭ সালে
২২. বাংলাদেশে মহাকাশে ১০২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে কক্ষপথ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছিল জাতিসংঘের – আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নে, ২০০৭ সালে
২৩. বাংলাদেশের এই আবেদনের উপর আপত্তি করেছিল – ২০ টি দেশ
২৪. বর্তমান কক্ষপথ “ ১১৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশটি “ বাংলাদেশ সরকার কিনে নেয় – ২১৯ কোটি টাকায়, ২০১৩ সালে, রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিক থেকে
২৫. বঙ্গবন্ধু ১ স্যাটেলাইট তৈরি প্রাথমিক কাজ শুরু হয় – ২০১২ সালে
২৬. স্যাটেলাইট তৈরির মূল কাজ শুরু হয় – ২০১৫ সালে
২৭. এই স্যাটেলাইট প্রথম ৩ বছর পর্যবেক্ষণ করবে – বাংলাদেশের সাথে, থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস
এক নজরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটঃ
Mission type | Communications |
---|---|
Operator | Bangladesh Communication Satellite Company Limited |
Website | Bangabandhu Satellite Project |
Mission duration | 15 years |
Spacecraft properties | |
Bus | Spacebus 4000 |
Manufacturer | Thales Alenia Space |
Launch mass | 3,500 kg (7,700 lb) |
Power | 6kW |
Start of mission | |
Launch date | Planned: US Time May 10, 2018[1] |
Rocket | Falcon 9 Block 5 [2] |
Launch site | Kennedy Space Center Launch Complex 39 |
Contractor | SpaceX |
Orbital parameters | |
Regime | GEO |
Longitude | 119.1°E |
Transponders | |
Band | 14 C band, 26 Ku band |
স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ হলো মহাকাশে উৎক্ষেপিত বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় উদ্ভাবিত উপগ্রহ। স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার খবর আমরা নিমিষেই পেয়ে যাই। স্যাটেলাইটকে রকেট বা স্পেস শাটলের কার্গো বে-এর মাধ্যমে কক্ষপথে পাঠানো হয়। পাঠানোর সময় রকেট নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয় ইনার্শিয়াল গাইডেন্স সিস্টেম (আইজিএস) মেকানিজম। পৃথিবীর অভিকর্ষ পার হতে রকেটকে ঘণ্টায় ২৫ হাজার ৩৯ মাইল ত্বরণে ছুটতে হয়। স্যাটেলাইট স্থাপনের সময় কক্ষীয় গতি ও তার জড়তার ওপর পৃথিবীর অভিকর্ষের যে প্রভাব রয়েছে, এর জন্য সামঞ্জস্য বিধান করতে না পারলে স্যাটেলাইট এ অভিকর্ষের টানে ফের ভূপৃষ্ঠে চলে আসতে পারে। এ জন্য স্যাটেলাইটকে ১৫০ মাইল উচ্চতাবিশিষ্ট কক্ষপথে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১৭ হাজার মাইল গতিতে পরিভ্রমণ করানো হয়। মূলত গতিবেগ কত হবে, তা নির্ভর করে স্যাটেলাইটটি পৃথিবী থেকে কত উচ্চতায় রয়েছে, তার ওপর। পৃথিবী থেকে ২২ হাজার ২২৩ মাইল উপরে স্থাপিত স্যাটেলাইট ঘণ্টায় ৭০০ মাইল বেগে পৃথিবীকে আবর্তন করে। পৃথিবীর সঙ্গে স্যাটেলাইটও ২৪ ঘণ্টা ঘোরে।
স্যাটেলাইটের কাজ কি?
১। মহাকাশ বা জ্যোতির্বিজ্ঞান গবেষণা
২। আবহাওয়ার পূর্বাভাস
৩। টিভি বা রেডিও চ্যানেল, ফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট যোগাযোগ প্রযুক্তি
৪। নেভিগেশন বা জাহাজের ক্ষেত্রে দিক নির্দেশনায়
৫। পরিদর্শন – পরিক্রমা (সামরিক ক্ষেত্রে শত্রুর অবস্থান জানার জন্য)
৬। দূর সংবেদনশীল
৭। মাটি বা পানির নিচে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কাজে
৮। মহাশূন্য এক্সপ্লোরেশন
৯। ছবি তোলার কাজে (সরকারের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ)
১০। হারিকেন, ঘূর্ণিঝড়, প্রাকৃতিক বিপর্যয় এর পূর্বাভাস
১১। আজকাল সন্ত্রাসীরা অনেক রিমোট এরিয়া তেও স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছে।
১২। গ্লোবাল পজিশনিং বা জি পি এস
১৩। গামা রে বারস্ট ডিটেকশন করতে
১৪। পারমাণবিক বিস্ফোরণ এবং আসন্ন হামলা ছাড়াও স্থল সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য ইন্টিলিজেন্স সম্পর্কে আগাম সতর্কবার্তা পেতে।
১৫। তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিভিন্ন খনির সনাক্তকরণ ইত্যাদি
১৬। ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করা
১৭। নিউক্লিয়ার মনিটরিং, রাডার ইমেজিং, ফটোগ্রাফি ও শত্রুর গতিবিধ পর্যবেক্ষন করে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সুবিধাঃ
১. দেশের প্রায় ৩০টি স্যাটেলাইট চ্যানেল সম্প্রচারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্যাটেলাইট ভাড়ানিতে হবেনা।
২. চ্যানেলগুলোর খরচ হয় ২০ লাখ ডলার বা প্রায় ১৭ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালু হলে এই স্যাটেলাইট ভাড়া কমবে। আবার দেশের টাকা দেশেই থেকে যাবে।
৩. বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালু করতে পারলে দেশে শুধু বৈদেশিক মুদ্রারই সাশ্রয় হবে না, সেই সাথে অব্যবহৃত অংশ নেপাল, ভূটান এর মতো দেশে ভাড়া দিয়ে প্রতি বছর প্রায় ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ আয় করা যাবে। কারন ৪০ টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে মাত্র ২০ টি ব্যবহার করবে বাংলাদেশ। আর বাকি ২০ টি ভাড়া দেওয়া হবে।
৪. ইতিমধ্যে ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে এই স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডার বিক্রির জন্য সরকারের গঠন করা বঙ্গবন্ধু কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি (বিসিএসবি) লিমিটেড কাজ শুরু করেছে।
৫. বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের আরেকটি বিক্রয়যোগ্য পণ্য হবে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ।
৬. ডিটিএইচ (ডাইরেক্ট টু হোম) সেবা, স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সম্প্রচার এবং ইন্টারনেট সুবিধা পাবে।
৭. ঝড় বা বড় ধরনের দুর্যোগে যোগাযোগব্যবস্থা সচল রাখতেও কার্যকর হবে এ স্যাটেলাইট।
৮. সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলের মানুষের ইন্টারনেট ও ব্যাংকিং সেবা, টেলিমেডিসিন ও দূরনিয়ন্ত্রিত শিক্ষাব্যবস্থা প্রসারেও ব্যবহার করা যাবে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট।
Courtesy: To all authorities from where documents are collected
N.B: Generally we try to update any news. For any Change, reform and republished of any news we are not responsible.
For more update stay with our website jobstestbd.com
Contact Us:
If you want to give advertisement in our website for any product of your organization please contact with us by following Address.
Inbox to Facebook: jobstestbd.com
Email at : jobstestbd.com@gmail.com
Contact No.: 01720403750
Mirpur 1, Dhaka, Bangladesh.