40th BCS Written Question Solution 2020 has been published. 40 bcs written question, 40th BCS Written Exam Question Solution 2020, 40 BCS Written Question Solution, 40th bcs written question PDF, 40th BCS Written Question Solved 2020, BPSC 40th BCS Written Question and Solution, 40th BCS Written Question Answer, Written Question Solution of 40th BCS, 40th BCS Written Question and Solution 2020, 40th BCS Written Exam Question Solution, 40th BCS Bangla Written Question Solution 2020, 40th BCS Written English Question Solution 2020, 40th BCS Written GK Question Solution 2020, 40th BCS Written Question Solution 2019, 40th BCS Written Mathematics Question Solution 2020, 40th BCS Written Mental Ability Question Solution 2020, 40th BCS Written Science Question Solution 2020, 40th BCS Written ICT and computer Question Solution 2020 are search option to get all information of 40th BCS Written Question Solution 2020.
40th BCS Written Question Solution 2020:
Organization Name: Bangladesh Public Service Commission (BPSC)
Exam Type: Written Exam
MCQ Exam Date Was: 3 May 2019
Exam Time Was: 10.00 AM to 12 PM
See more…
Total Vacancy: 1903
General cadre: 465
Technical cadre: 568
General education cadre: 870
Assistant Teacher Trainer-33
Grand Total: 1903
Total Passed in MCQ Exam: 20277
Written Exam Date: 04 to 08 January 2020
See more….
40th BCS Written Result 2020
40th BCS Mental Ability Written Question Solution 2020
40th BCS Written Detail Exam Schedule:
1. Date: 04 January 2020, Time: 10 AM to 2.00 PM, Topic: English
2. Date: 05 January 2020, Time: 10 AM to 2.00 PM, Topic: Bangladesh Affairs
3. Date: 06 January 2020, Time: 10 AM to 1.00 PM, Topic: International Affairs
And Time: 2.00 PM to 4.00 PM, Topic- General Math
4. Date: 07 January 2020, Time: 10 AM to 1.00 PM, Topic: General Science And Time: 2 PM to 4.00 PM, Topic: Mental ability
5. Date: 08 January 2020, Time: 10 AM to 1.00 PM, Topic: Bangla (1st and 2nd Paper)
See/download 40th BCS Bangla Written Question Solution 2020 From below:
বিষয় কোডঃ ০০১
১। নিচের প্রশ্নগুলাের উত্তর লিখুন:
ক। শব্দগঠন বলতে কী বােঝায়? কী কী প্রক্রিয়ায় শব্দ গঠিত হয় উদাহরণসহ লিখুন।
খ। বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম অনুসারে অ-তৎসম শব্দের ছয়টি বানানসূত্র লিখুন।
গ। নিচের বাক্যগুলাের শুদ্ধরূপ লিখুন:
(১) দুর্বলবশত সে আসতে পারেনি। উত্তরঃ দুর্বলতাবশত সে আসতে পারেনি।
(২) শুধুমাত্র অফিস চলাকালীন সময়ে দেখা হবে। উত্তরঃ শুধু অফিস চলাকালীন দেখা হবে।
(৩) সামগ্রিক আলােচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছে। উত্তরঃ আলােচনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছে
(৪) দূরারােগ্য ব্যাধির স্বীকারে পরিণত হয়ে পৃথিবীতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। উত্তরঃ দূরারােগ্য ব্যাধির শিকারে পরিণত হয়ে পৃথিবীতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়।
(৫) এ স্মরণিটি কবি নজরুলের স্বরণে নামকরণ করা হয়েছে। উত্তরঃ এ সরণি কবি নজরুলের স্মরণে নামকরণ করা হয়েছে।
(৬) স্বাস্থ সকল সুখের মুল।। উত্তরঃ স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল
ঘ। নিচের প্রবাদ-প্রবচন ব্যবহার করে অর্থপূর্ণ বাক্য লিখুন:
আমড়া কাঠের ঢেঁকি = অকেজো
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা = নিন্দনীয় কাজ গোপনের ব্যর্থ চেষ্টা করা।
তামার বিষ = অর্থের কুপ্রভাব
মিছরির ছুরি = মুখে মধু অন্তরে বিষ
ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় =
ননীর পুতুল = শ্রমকাতর
ঙ। নিচের বাক্যগুলাে নির্দেশ অনুসারে রূপান্তর করুন:
(১) শহিদের মৃত্যু নেই। (অস্তিবাচক) উত্তরঃ শহীদেরা অমর
(২) ধনীরা প্রায়ই কৃপণ হয়। (জটিল) উত্তরঃ যারা ধনী, তারা প্রায়ই কৃপণ হয়।
(৩) তােমার সব জিনিসই দামি। (নেতিবাচক) উত্তরঃ তােমার কোন জিনিসই সস্তা নয়
(৪) জ্ঞানী হলেও তিনি বিনয়ী নন। (যৌগিক) উত্তরঃ তিনি জ্ঞানী কিন্তু বিনয়ী নন
(৫) ভুল সকলেই করে। (প্রশ্নবােধক)। উত্তরঃ সকলেই কি ভুল করে?
(৬) তিনি ধনী ছিলেন কিন্তু সুখী ছিলেন না। (সরল)। উত্তরঃ তিনি ধনী হয়েও সুখী ছিলেন না
২। ভাবসম্প্রসারণ করুন:
ক। শৈবাল দিঘিরে বলে উচ্চ করি শির, লিখে রেখাে, এক ফোঁটা দিলেম শিশির।
নিজে চেষ্টা করুন…
অথবা
খ। কমল হীরের পাথরটাকে বলে বিদ্যে, আর তা থেকে যে আলাে ঠিকরে বেরােয়, তার নাম কালচার
নিজে চেষ্টা করুন…
৩। সারমর্ম লিখুন:
ক। ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা,
ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ,
আধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাচা।
রক্ত আলাের মদে মাতাল ভােরে
আজকে যে যা বলে বলুক তােরে,
সকল তর্ক হেলায় তুচ্ছ করে
পুচ্ছটি তাের উচ্চে তুলে নাচা।
আয় দুরন্ত, আয়রে আমার কাঁচা।
নিজে চেষ্টা করুন…
অথবা
মৃত্যুর হাত হইতে বাঁচিবার উপায় জগতের একটি প্রাণীরও নাই। সুতরাং এই অবধারিত সত্যকে সানন্দে স্বীকার করিয়া নিয়াও মৃত্যুকে জয় করিবার জন্য একটি বিশেষ কৌশল আয়ত্ত করিতে হইবে। তাহা হইতেছে, অতীতের পূর্বপুরুষদের সাধনাকে নিজের জীবনে এমনভাবে রূপান্তর করা-যেন ইহার ফলে তােমার বা আমার মৃত্যুর পরেও সেই সাধনার শুভফল তােমার পুত্রাদিক্রমে বা আমার শিষ্যাদিক্রমে জগতের মধ্যে ক্রমবিস্তারিত হইতে পারে। মৃত্যু তােমার দেহকেই মাত্র ধ্বংস করিতে পারিল, তােমার আরব্ধ সাধনার ক্রমবিকাশকে অবরুদ্ধ করিতে পারিল না-এইখানেই মহাপরাক্রান্ত মৃত্যুর আসল পরাজয়।
নিজে চেষ্টা করুন…
৪। নিচের প্রশ্নগুলাের সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন:
ক। চর্যাপদের ভাষাকে কেন সন্ধ্যা ভাষা’ বলা হয়?
উত্তরঃ সন্ধ্যায় থাকে আলো আঁধারের খেলা। সন্ধ্যার সময় কোন কিছু স্পষ্টরূপে দেখা যায় না। তেমনিভাবে হাজার বছর আগে লেখা চর্যাপদের ভাষাতেও অস্পষ্টতা থাকার কারণে এই ভাষাকে সন্ধ্যা বা সান্ধ্য ভাষা বলা হয়েছে। কেউ কেউ এ ভাষাকে আলো আঁধারের ভাষা বলেছেন।
খ। শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পরিচয় এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলােচনা করুন।
উত্তরঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বড়ুচণ্ডীদাস নামক জনৈক মধ্যযুগীয় কবি রচিত রাধাকৃষ্ণের প্রণয়কথা বিষয়ক একটি আখ্যানকাব্য। ১৯০৯ সালে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিম বঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের নিকটবর্তী কাঁকিল্যা গ্রাম থেকে অযত্নরক্ষিত অবস্থায় এই কাব্যের একটি পুথি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ সালে তারই সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ নামে পুথিটি প্রকাশিত হয়; যদিও কারও কারও মতে মূল গ্রন্থটির নাম ছিল ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’। বৌদ্ধ-সহজীয়া গ্রন্থ চর্যাপদের পর এটিই আদি-মধ্য বাংলা ভাষার প্রাচীনতম আবিষ্কৃত নিদর্শন।
ভগবান বিষ্ণুর অবতাররূপে কৃষ্ণের জন্ম, বড়াইয়ের সহযোগিতায় বৃন্দাবনে রাধার সঙ্গে তার প্রণয় এবং অন্তে বৃন্দাবন ও রাধা উভয়কে ত্যাগ করে কৃষ্ণের চিরতরে মথুরায় অভিপ্রয়াণ – এই হল ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের মূল উপজীব্য। আখ্যায়িকাটি মোট ১৩ খণ্ডে বিভক্ত। জন্মখণ্ড, তাম্বুলখণ্ড, দানখণ্ড, নৌকাখণ্ড, বৃন্দাবনখণ্ড ইত্যাদি ১২টি অংশ ‘খণ্ড’ নামে লেখা হলেও অন্তিম অংশটির নাম শুধুই ‘রাধাবিরহ’, এই অংশটির শেষের পৃষ্ঠাগুলি পাওয়া যায়নি। পুঁথিটি খণ্ডিত বলে কাব্য রচনার সন-তারিখও জানা যায়।
গ। মনসামঙ্গল কাব্যের বেহুলা চরিত্রটির বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করুন।
উত্তরঃ বেহুলা প্রাচীন বাংলার সুবিখ্যাত মঙ্গলকাব্য মনসামঙ্গলের প্রধান চরিত্র। চাঁদ সওদাগরের একজন অন্যতম হলেন পুত্র লখিন্দরের স্ত্রী। বেহুলা ছিল স্বামী ভক্ত, স্বামীর জন্য নিবেদিত প্রাণ। খুবই ধৈয্যশীল মহিলা ছিলেন বেহুলা।
ঘ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের তিনটি মৌলিক রচনার নাম লিখুন। উত্তরঃ ব্রজবিলাস, রত্নপরীক্ষা ও প্রভাবতী সম্ভাষণ
ঙ। আধুনিক কবি হিসেবে মাইকেল মধুসূদন দত্তের অবদান ব্যাখ্যা করুন।
উত্তরঃ আধুনিক বাংলা কাব্যের প্রথম কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও নাট্যকার তথা বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। মধুসূদন বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক কবি, প্রথম সার্থক নাট্যকার। তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার পথ নির্মাতা। তিনি বাংলা সাহিত্যে উপহার দেন শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী, তিলোত্তমা সম্ভব কাব্য, কৃষ্ণকুমারী, মেঘনাদবদ কাব্য, ব্রজঙ্গনা কাব্য, বীরঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলী, হেক্টরবধ এর মতো বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম। মধুসূদন দত্ত নাট্যকার হিসেবেই প্রথম বাংলা সাহিত্যের অঙ্গনে পদার্পণ করেন।
চ। শওকত ওসমানের মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক তিনটি গ্রন্থের নাম লিখুন।
উত্তরঃ জাহান্নম হইতে বিদায় (১৯৭১), দুই সৈনিক (১৯৭৩) ও নেকড়ে অরণ্য (১৯৭৩)
ছ। রােকেয়া সাখাওয়াত হােসেনের ‘অবরােধবাসিনী’ গ্রন্থের বিষয় বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করুন।
উত্তরঃ তৎকালীন ভারতবর্ষীয় নারীদের বিশেষ করে মুসলমান ঘরের নারীদের সমাজের অবরোধপ্রথার জন্য যে অসুবিধায় পড়তে হত তা বর্ণিত হয়েছে। মোট ৪৭ ঘটনাকে অনুগল্প আকারে লেখে বইটি তৈরি করা হয়েছে। ঘটনাগুলো সব বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া। এ বইয়ের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া গল্পাকারে পর্দা প্রথার দরুন নারীদের দুর্ভোগ সবার কাছে উপস্থাপন করেছেন।
জ। আবহমান বাংলার ছবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায় কীভাবে চিত্রিত হয়েছে লিখুন।
উত্তরঃ বাংলা কবিতার রূপনির্মাণে যে কয়েকজন কবির নাম সর্বাগ্রে উচ্চারিত হয় তাঁদের একজন জীবনানন্দ দাশ। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় নিসর্গ ও রূপকথা-পুরাণের জগৎ জীবনানন্দের কাব্যে হয়ে উঠেছে চিত্ররূপময়, তাতে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ অভিধায় খ্যাত হয়েছেন। বিশেষতঃ কবিতার উপমা প্রয়োগে জীবননান্দের নৈপুন্য তুলনাহীন। কবিতাকে তিনি মুক্ত আঙ্গিকে উত্তীর্ণ করে গদ্যের স্পন্দনযুক্ত করেন, যা’ পরবর্তী কবিদের প্রবলভাবে প্রভাবিত করেছে। জীবন বোধকে নাড়া দিয়েছে। তার কবিতার চিত্রময়তা, যার সঙ্গে আমরা অনায়েসে ঘনিষ্ঠ বোধ করি। এটি তার জনপ্রিয়তার অন্যতম একটি কারণ। জীবনানন্দ বাংলা কাব্য সাহিত্যের যে অজ্ঞাত পূর্ব ধারা আবিষ্কার করেছিলেন তা জীবনানন্দের সমকালীন সময়ে খুব কম কাব্য রসিক কিংবা নন্দন তাত্ত্বিকরা বুঝতে পেরেছিলেন।
ঝ। সৈয়দ শামসুল হকের পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ কাব্যনাটকটি সম্পর্কে বিশ্লেষণ করুন।
উত্তরঃ পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় নাটকটি মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত একটি কাব্য নাটক। কাব্যনাট্যটিতে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সামিল হওয়ার প্রেরণার পাশাপাশি সামাজিক ও ধর্মীয় শিক্ষার জড়তা আর অসহায়তার কথা বিবৃত হয়েছে। স্থান পেয়েছে অধিকার আর অস্তিত্বরক্ষার লড়াইয়ে নিজেকে সম্পৃক্ত করার আত্মশক্তিতে বলীয়ান হওয়ার প্রেরণার কথা। ঈশ্বরের অবস্থিতি সম্বন্ধে জনতার মনে সংশয়ের দোলার সত্যাসত্যের বিবরণেও নাট্যকার সমান সাহসী বলে মনে হয়েছে। সাধারণ মানুষের বিপদে দয়াময় ও রক্ষাকারী স্রষ্টার অনুপস্থিতি বিষয়ে জিজ্ঞাসাও হাজির করেছেন তিনি পাত্রপাত্রীদের সরল উপলব্ধি ও সংলাপের ভেতর দিয়ে। পাপের, অপরাধের আর অন্যায়ের অনিবার্য অবসানে ছবি আঁকতে গিয়ে ঐতিহ্যের শক্তির সহায়তা নিয়েছেন লেখক। সব কিছুকে ছাড়িয়ে মুক্তিবাহিনির বিজয়ের সম্ভাব্যতা ও সত্যতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি শিল্পীর কৌশলি তুলির আঁচড়ে। ধান্দাবাজ সমাজপতি কাঁচা-ঈমানে ভরকরা চাটুকার ও দালাল মাতবর যেন শুনতে পেয়েছে সমাগত বিজয়ী মুক্তিসেনানির পায়ের আওয়াজ! তার কানে ভেসে আসা আওয়াজটাই এখানে মুখ্য। সত্যিকার অর্থে, জাতির পতাকার শুভ সূচনা আর বেঁচেথাকা মানুষগুলোর স্বপ্ন-প্রত্যাশার ক্যানভাসে এই গল্পটি নির্মিত হয় এক ঘোরলাগা বিবরণের জোয়ারের ভেতর দিয়ে।
ঞ। মধ্যযুগের রােমান্টিক প্রণয়ােপাখ্যানগুলাের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা লিপিবদ্ধ করুন।
উত্তরঃ মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের মুসলমান কবিগণের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান। এই শ্রেণির কাব্য মধ্যযুগের সাহিত্যে বিশিষ্ট স্থান জুড়ে আছে।ফারসি বা হিন্দি সাহিত্যের উৎস থেকে উপকরণ নিয়ে রচিত প্রণয় কাব্যগুলোতে প্রথমবারের মত মানবীয় বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে।মধ্যযুগের কাব্যের ইতিহাসে ধর্মীয় বিষয়বস্তুর আধিপত্য ছিল,কোথাও কোথাও লৌকিক ও সামাজিক জীবনের ছায়াপাত ঘটলেও দেবদেবীর প্রাধান্যে তাতে মানবীয় অনুভূতির প্রকাশ স্পষ্ট হয়ে উঠেনি।এই শ্রেণির কাব্যে মানব-মানবীর প্রেম কাহিনি রূপায়িত হয়ে গতানুগতিক সাহিত্যের ধারায় ব্যতিক্রমের সৃষ্টি করেছে।মুসলমান কবিগণ হিন্দুধর্মাচারের পরিবেশের বাহিরে থেকে মানবিক কাব্য রচনায় অভিনবত্ব দেখান।
বিষয় কোডঃ ০০২
১. নিজে চেষ্টা করুন…
২. নিজে চেষ্টা করুন…
খ। কমল হীরের পাথরটাকে বলে বিদ্যে, আর তা থেকে যে আলাে ঠিকরে বেরােয়, তার নাম কালচার
৩। সারমর্ম লিখুন:
ক। ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা,
ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ,
আধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাচা।
রক্ত আলাের মদে মাতাল ভােরে
আজকে যে যা বলে বলুক তােরে,
সকল তর্ক হেলায় তুচ্ছ করে
পুচ্ছটি তাের উচ্চে তুলে নাচা।
আয় দুরন্ত, আয়রে আমার কাঁচা।
নিজে চেষ্টা করুন…
অথবা
মৃত্যুর হাত হইতে বাঁচিবার উপায় জগতের একটি প্রাণীরও নাই। সুতরাং এই অবধারিত সত্যকে সানন্দে স্বীকার করিয়া নিয়াও মৃত্যুকে জয় করিবার জন্য একটি বিশেষ কৌশল আয়ত্ত করিতে হইবে। তাহা হইতেছে, অতীতের পূর্বপুরুষদের সাধনাকে নিজের জীবনে এমনভাবে রূপান্তর করা-যেন ইহার ফলে তােমার বা আমার মৃত্যুর পরেও সেই সাধনার শুভফল তােমার পুত্রাদিক্রমে বা আমার শিষ্যাদিক্রমে জগতের মধ্যে ক্রমবিস্তারিত হইতে পারে। মৃত্যু তােমার দেহকেই মাত্র ধ্বংস করিতে পারিল, তােমার আরব্ধ সাধনার ক্রমবিকাশকে অবরুদ্ধ করিতে পারিল না-এইখানেই মহাপরাক্রান্ত মৃত্যুর আসল পরাজয়।
নিজে চেষ্টা করুন…
See/download 40th BCS Bangla Written Question 2020 From below:
40th BCS Bangla Written Question 2020 PDF
See/download 40th BCS Mental Ability Written Question Solution 2020 From below:
কেউ সমাধান কপি করে ফেসবুকে বা অন্য কোথায় শেয়ার করলে কার্টেসী দেবেন প্লিজ…
Solved by: jobstestbd.com
১. বিভা: কিরণ: সুবলিত: ? উত্তরঃ সুগঠিত
২. সাফল্য: উৎসাহ: ব্যর্থতা: ? উত্তরঃ হতাশা
৩. Which word is different from others? উত্তরঃ Newspaper
৪. Contest has always–উত্তরঃ Newspaper
৫. Women are often— by family commitment in this society. উত্তরঃ Constrained
৬. Art: Culture: Training: ? উত্তরঃ Skill
৭. ম্রো ,চাক ,বম, তনচংগা এ শব্দগুলোর সাথে সম্পর্ক আছে–। উত্তরঃ নৃ গোষ্ঠী
৮. বায়ুমন্ডলে সব সময় থাকে——–। উত্তরঃ বাতাস
৯. প্রশ্নবোধক স্থানে কোন চিহ্নটি যথার্থ? উত্তরঃ গ
১০. প্রশ্নবোধক স্থানে কোন চিত্রটি যথার্থ? উত্তরঃ খ
১১. নিম্নের খালি স্থানে কোনটি বসবে? উত্তরঃ ঘ
১২. নিচের চিত্র গুলোর মধ্যে কোনটি ভিন্ন ধরনের? উত্তরঃ খ
১৩. প্রশ্নবোধক স্থানে কোন চিত্রটি যথার্থ? উত্তরঃ ক
১৪. নিচের চিত্রটি বাস করে বক্স তৈরি করলে কেমন দেখাবে? উত্তরঃ ক
১৫. আয়নাই WILDERNESS এর সঠিক প্রতিবিম্ব কোনটি? উত্তরঃ: ক
১৬. নিচের কোনটি আয়নায় প্রতিবিম্ব একই থাকবে? উত্তরঃ TUT
১৭. একটি ডিজিটাল ঘড়ির আয়ন চিত্র ঘড়িতে কয়টা বাজে? উত্তরঃ 12:10
১৮. নিচের ধারাবাহিকতায় প্রশ্নবোধক স্থানে কোনটি হবে? উত্তরঃ B
১৯. রহিম সোজা ২ কিলোমিটার যাবার পর বামদিকে ৩ কিলোমিটার এবং তারপর আবার বাম দিকে ২ দুই কিলোমিটার গেল। এখান থেকে প্রথম স্থানের দূরত্ব কত হবে? উত্তরঃ ৩ কিমি
২০. একটি আয়তক্ষেত্রের দৈর্ঘ্য ১৬ সেন্টিমিটার এবং কর্ণ ২০ সেন্টিমিটার। আয়তক্ষেত্রের ক্ষেত্রফল কত? উত্তরঃ ১৯২ বর্গ সেমি
২১. একটি ঘড়িতে ঠিক ৩:৩০ বাজে। যদি মিনিটের কাটা দক্ষিণ দিকে থাকে তবে সেকেন্ডের কাঁটা কোন দিকে থাকবে? উত্তরঃ উত্তর দিকে
২২. চারজন মেয়ে খেলা দেখার জন্য বসে আছে। মিমের বামে রিমা এবং ডানে জারিন। মিম ও যার মধ্যে মালিহা বসে আছে। কে বাম দিক থেকে দ্বিতীয়?
উত্তরঃ মিম
২৩. দেওয়াল ঘড়িতে সন্ধ্যা ৬টা বাজে। ঘন্টা ও মিনিটের কাঁটার মধ্যকার কোনটি কত ডিগ্রী? উত্তরঃ ১৮০ ডিগ্রী
২৪. যদি গতকালের ৩ দিন আগে রবিবার হয়ে থাকে, তা তাহলে আগামীকালের ২দিন পর কি বার হবে? উত্তরঃ মঙ্গলবার
২৫. এটি আয়নায় প্রতিফলিত একটি ঘড়ির ছবি। ঘড়িতে কয়টা বাজে? উত্তরঃ ৯ঃ১৫
২৬. মিম একটি শ্রেণীতে সামনে থেকে ৯ম এবং পিছন থেকে ৩৬তম হলে, শ্রেণীতে শিক্ষার্থী সংখ্যা কত? উত্তরঃ ৪৪ জন
২৭. প্রশ্নবোধক স্থানে কোন সংখ্যাটি বসবে? উত্তরঃ ১২১
২৮. প্রশ্নবোধক স্থানে কত বসবে? উত্তরঃ ৬০
২৯. ৩*.৩*.৩=? উত্তরঃ .০২৭
৩০. আলেয়ার আয়ের ৩/৪ অংশ ৭৫০০ টাকা হলে, মোট আয় কত টাকা? উত্তরঃ ১০,০০০
৩১. যদি a-b=6 ও a+b=10 হয় তবে a2+b2=? উত্তরঃ 60
৩২. কোন অংকটি ক্ষুদ্রতম ? উত্তরঃ ১/৫
৩৩. কোনটি মৌলিক সংখ্যা? উত্তরঃ ৪৭
৩৪. কোনটি ভুল বানান? উত্তরঃ কটূক্তি
৩৫. কোনটি শুদ্ধ বানান? উত্তরঃ Jewellery
৩৬. কোন বাক্যটি শুদ্ধ? উত্তরঃ This is a unique case.
৩৭. ’আটপৌরে’ শব্দের অর্থ কি? উত্তরঃ সর্বদা ব্যবহার উপযুক্ত
৩৮. Remember is to past, as anticipate is to—-. উত্তরঃ future
৩৯. Giant is to dwarf, as ocean is to—-. উত্তরঃ Pond
৪০. সঠিক বানান কোনটি? উত্তরঃ Pneumonia
৪১. কোন বানানটি ভুল? উত্তরঃ Prosparity ( সঠিক Prosperity)
৪২. কোনটি বেশি শক্তিশালী? উত্তরঃ ক
৪৩. পিস্টনের আয়তন যত বাড়ে ইঞ্জিনের শক্তি বাড়ে। উত্তরঃ সত্য
৪৪. If X Moves in one direction as shown,then? উত্তরঃ Y moves Clockwise and Z moves Counterclockwise.
৪৫. X ঘড়িটির আয়নার সঠিক প্রতিবিম্ব কোনটি? উত্তরঃ ঘ) 5:55
৪৬. রাস্তার ভাঙার কাজে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়—–। উত্তরঃ পানি
৪৭. আন্তঃমহাদেশীয় গাইডেড মিসাইল ব্যবহার করে—? উত্তরঃ লেজার রশ্মি
৪৮. হাইব্রিড অতিরিক্ত শক্তি পায়—। উত্তরঃ গ্যাসের মাধ্যমে
৪৯. পিস্টন ব্যবহার করা হয় কোন ইঞ্জিনে? উত্তরঃ ডিজেল ইঞ্জিনে
৫০. প্রপেলর ইঞ্জিনে প্লেন চালাতে প্রয়োজন হয়——। উত্তরঃ বাতাস
বিঃদ্রঃ কোন উত্তর ভুল থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন….
See/download 40th BCS Mental Ability Written Question 2020 From below images:
See/download 40th BCS General Math Written Question Solution 2020 from below:
Subject: General Math
১. ক) P এর মানের ব্যবধি বের করুন যার জন্য x2 – 2px +p2 + 5p -6 =0 সমীকরণের কোন বাস্তব মূল নেই।
উত্তরঃ p> 6/5 (1.2)
খ) যদি x2+1/x2=7 হয় তবে x6+1/x3 এর মান নির্ণয় করুন।
উত্তরঃ 18
২. ক) p = xy^a-1 q = xy^b-1, r = xy^c-1 হলে (p/q)^c X (q/r)^a X (r/p)^b = কত?
উত্তরঃ
খ) প্রমাণ করুন log p^b-c- + log q^c-a + log r^a-b= 0
৩. ক) দুজন শ্রমিকের মাসিক বেতনের যােগফল ২০,০০০ টাকা। একজন শ্রমিকের বেতন ১০% হ্রাস পেলে যত টাকা হয় অপর শ্রমিকের বেতন ১০% বৃদ্ধি পেলে সমপরিমাণ টাকা হয়। শ্রমিক দুজনের বেতন মাসিক কত টাকা তা নির্ণয় করুন।
উত্তরঃ ১১০০০ ও ৯০০০
খ) টাকায় ৪টি চকলেট বিক্রয় করায় ১০% ক্ষতি হয়। ২০% লাভ করতে হলে টাকায় কয়টি চকলেট বিক্রয় করতে হবে?
উত্তরঃ ৩
৪. একটি কাজ ক ১৪ দিনে এবং খ ২৮ দিনে করতে পারে। তারা একত্রে কাজটি আরম্ব করে কয়েকদিন পর কাজটি অসমাপ্ত রেখে চলে গেল এবং ৭ দিনে সম্পন্ন করল। সম্পূর্ণ কাজটি কতদিনে সম্পন্ন হয়েছিল?
উত্তরঃ ১৪ দিনে
৫. ছাত্রদের মধ্যে পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেল ৬০% ছাত্র বিচিত্রা, ৫০% ছাত্র সন্ধানী, ৫০% ছাত্র পূর্বাণী, ৩০% ছাত্র বিচিত্রা ও সন্ধানী, ৩০% ছাত্র বিচিত্রা ও পূর্বাণী, ২০% ছাত্র সন্ধানী ও পূর্বাণী এবং ১০% ছাত্র তিনটি পত্রিকাই পড়ে। শতকরা কতজন ছাত্র উক্ত পত্রিকাগুলাের মধ্যে কেবল দুটি পত্রিকা পড়ে তা নির্ণয় করুন।
উত্তরঃ ৫০%
৬. গনি সাহেব একজন সরকারি চাকুরিজীবী। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে তার মূল বেতন ছিল ২২,০০০ টাকা। তার বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির পরিমাণ ১০০০ টাকা।
ক) উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি সমান্তর ধারা তৈরি করুন এবং ২০২৫ সালের জুলাই মাসে গনি সাহেবের মাসিক মূল বেতন কত হবে তা নির্ণয় করুন।
উত্তরঃ
খ) মূল বেতনের ১০% প্রতিমাসে ভবিষ্য তহবিলে কর্তন করলে ২০ বছরে তার মােট কত টাকা ভবিষ্য তহবিলে জমা হবে তা নির্ণয় করুন।
উত্তরঃ
৭. ৩ ঢাল বিশিষ্ট একটি রেখা A(-1. 6) বিন্দু দিয়ে যায় এবং x-অক্ষকে B বিন্দুতে ছেদ করে। A বিন্দুগামী অপর একটি রেখা x-অক্ষকে c(2,0) বিন্দুতে ছেদ করে।
ক) AB এবং AC রেখার সমীকরণ নির্ণয় করুন।
উত্তরঃ 2X+Y=4, 3X-Y=-9
খ) △ABC-এর ক্ষেত্রফল নির্ণয় করুন।
উত্তরঃ ১৫
৮. 0 কেন্দ্র বিশিষ্ট একটি বৃত্তের বহিঃস্থ কোন বিন্দু P থেকে বৃত্তে দুটি স্পর্শক PA এবং PB নেয়া হলাে।
ক) প্রমাণ করুন PA = PB
খ) প্রমাণ করুন OP সরলরেখা স্পর্শ জ্যা AB-এর লম্ব দ্বিখণ্ডক।
৯. ΔABC-এর ∠A-এর সমদ্বিখণ্ডক AP, BC-কে P বিন্দুতে ছেদ করেছে। প্রমাণ করুন যে BP: PC = BA : AC.
১০. একজন প্রকৌশলীর প্লামবিং কাজের চুক্তি পাওয়ার সম্ভাব্যতা ২/৩ এবং ইলেকট্রিক কাজের চুক্তি না পাওয়ার সম্ভাব্যতা ৫/৯। যদি কমপক্ষে একটি কাজের চুক্তি পাবার সম্ভাব্যতা ৪/৫ হয় তাহলে উভয় কাজের চুক্তি পাওয়ার সম্ভাব্যতা নির্ণয় করুন।
উত্তরঃ ১৪/৪৫
১১. ক) ৫ জন মহিলা ও ৪ জন পুরুষের মধ্য থেকে ২ জন পুরুষ এবং ১ জন মহিলা নিয়ে একটি দল কতভাবে বাছাই করা যেতে পারে?
উত্তরঃ ৩০
খ) ১০টি জিনিসের মধ্যে ২টি একজাতীয় এবং বাকিগুলাে ভিন্ন ভিন্ন। ওই জিনিসগুলাে থেকে প্রতিবার ৫টি নিয়ে কত ভিন্ন ভিন্ন প্রকারে বাছাই করা যায় নির্ণয় করুন।
উত্তরঃ ১২৬
১২. একটি খুঁটি এমনভাবে ভেঙে গেল যে তার অবিচ্ছিন্ন ভাঙা অংশ দণ্ডায়মান অংশের সাথে ৪৫ডিগ্রী কোণ উৎপন্ন করে খুঁটির গােড়া থেকে ১৫ মিটার দূরে মাটি স্পর্শ করে। খুঁটির সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য নির্ণয় করুন।
উত্তরঃ ১৫+১৫√ ২
See/download 40th BCS General Math Written Question 2020 from below:
Subject: General Math
40th BCS Written Math Question 2020 PDF
See/download 40th BCS Written Question Solution 2020 from below:
Subject: Bangladesh Affairs (বাংলাদেশ বিষয়াবলী)
১. ক) বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান ও ভূ-প্রকৃতি বর্ণনা করুন।
উত্তরঃ
বাংলাদেশের ভৌগলিক বাংলাদেশ অবস্থানঃ
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। এটি এশিয়া মহাদেশের দক্ষিনাংশে দক্ষিন এশিয়ায় অবস্থিত। এর অবস্থান ২০°৩৪” উত্তর হতে ২৬°৩৮” উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°১” পূর্ব ৯২°৪১” পূর্ব দাঘ্রিমাংশে। বাংলাদেশের মাঝামাঝি স্থান দিয়ে গেছে কর্কটক্রান্তিরেখা (ট্রপিক অব ক্যান্সার)। ঢাকার প্রতিপাদ স্থান – চিলির নিকট প্রশান্ত মহাসগরে। প্রতিপাদ স্থানের সাথে সময়ের পার্থক্য ১২ ঘন্টা। প্রতিপাদ স্থানের সাথে স্থানের সাথে সেই স্থানের দাঘ্রিমার ব্যবধান ১৮০°।
আয়তনঃ বাংলাদেশের আয়তন ১৪৭৫৭০ বর্গ কিঃমিঃ বা ৫৬৯৭৭ বর্গ মাইল। বাংলাদেশের টেরিটোরিয়াল বা রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল, অর্থ নৈতিক অঞ্চল ২০০ নটিক্যাল মাইল বা ৩৭০.৮ কিঃমিঃ, সামুদ্রিক মালিকানা মহীসোপানের শেষ সীমানা পর্যন্ত।
- বঙ্গোপসাগর ৫° উত্তর ও ২২° দক্ষিন এবং ৮০° পূর্ব ও ১০০° পূর্ব দাঘ্রিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। আয়তন প্রায় ২১,৭২,০০০ বর্গকিলোমিটার (৮,৩৯,০০০ মাইল)।সর্ব উত্তর প্রান্তে বাংলাদেশ, দক্ষিনে শ্রীলংকার দন্দ্রা চূড়া থেকে সুমাত্রার উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত।এর পূর্ব প্রান্তে মিয়ানমার উপদ্বীপ থেকে আন্দামান-নিকোবর পর্যন্ত বিস্তৃত এবং পশ্চিমে ভারত ও শ্রীলংকার পূর্ব উপকূল অবস্থিত।বঙ্গোপসাগরের ঠিক মাঝখানে বিরাজ করছে ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ। অনেকগুলো বড়ো নদী এই সাগরে এসে মিশেছে। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য গঙ্গা ও তার প্রধান দুই শাখানদী পদ্মা ও হুগলি, ব্রহ্মপুত্র ও তার উশাখানদী যমুনা ও মেঘনা, ইরাবতী, গোদাবরী, মহানদী, কৃষ্ণা, সুবর্ণরেখা, কাবেরী ইত্যাদি নদীসমূহ। বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলো হল চেন্নাই, চট্টগ্রাম, কলকাতা, হলদিয়া,মোংলা, পারাদীপ, টুটিকোরিন, বিশাখাপত্তনম ও ইয়াঙ্গুন। বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার এই উপসাগরের তীরে অবস্থিত। এই উপসাগরের তীরে অবস্থিত বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রগুলি হল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, চেন্নাই, পুুুরি, বিশাখাপট্টনম, সুুুুন্দরবন(সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন), দিঘা, ফুকে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ত্রিংকোমালি ইত্যাদি।
- বঙ্গোপসাগরের জলসীমা নির্ধারণ ও সমুদ্র সম্পদের উপর অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ১৪ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সালে মিয়ানমারের বিপক্ষে জার্মানির হামবুর্গে অবস্থিত সমুদ্র আইন বিষয়ক ট্রাইব্যুনালে এবং ভারতের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত সালিশ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ১৪ই মার্চ, ২০১২ সালে বাংলাদেশ – মিয়ানমার মামলায় আন্তর্জাতিক আদালত বাংলাদেশের ন্যায্যভিত্তিক দাবির পক্ষে ঐতিহাসিক রায় দেয়। এ রায়ের মাধ্যমে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে উপকূলীয় বেজলাইন ধরে ১২ নটিক্যাল মাইল রাষ্ট্রাধীন সমুদ্র এলাকা এবং ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল পায়। এর ফলে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সাগরের তলদেশ বাংলাদেশের মহীসোপানে রয়েছে।
- বাংলায় সুন্দরবন-এর আক্ষরিক অর্থ সুন্দর জঙ্গল বা সুন্দর বনভূমি। সুন্দরী গাছ থেকে সুন্দরবনের নামকরণ হয়েছে।সুন্দরবন ৮৯° ও ৮.৫৫° পূর্ব দাঘ্রিমাংশ এবং ২১.৩০° ও ২৩.২৩° উত্তর অক্ষাংশের মধ্যে।
সীমাঃ বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয় পূর্বে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা,মিজোরাম এবং মিয়ানমার। দক্ষিনে বঙ্গপোসাগর এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। বাংলাদেশের সর্বমোট সীমারেখা ৪৭১১ কিঃমিঃ[সূত্র : মাধ্যমিক ভূগোল] এবং ৫১৩৮ বর্গ কি: মি: [সূত্র :বর্ডার গার্ড বাংলাদশে]। এর মধ্যে স্থলসীমা ৩৯৯৫ বর্গ কি:মি: [সূত্র : মাধ্যমিক ভূগোল] বা ৪৪২৭ বর্গ কি:মি: [সূত্র :বর্ডার গার্ড বাংলাদশে]।ভারতের সাথে সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৩৭১৫ কি:মি:[সূত্র : মাধ্যমিক ভূগোল] ও ৪১৫৬ কি:মি:[সূত্র :বর্ডার গার্ড বাংলাদশে]।আর মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত দৈর্ঘ্য ২৮০কি:মি:[সূত্র : মাধ্যমিক ভূগোল] এবং ২৭১কি:মি:[সূত্র :বর্ডার গার্ড বাংলাদশে]।বাংলাদেশের উপকূলের দৈর্ঘ্য ৭১৬ বর্গ কি:মি:[সূত্র : মাধ্যমিক ভূগোল] এবং ৭১১ বর্গ কি:মি:[সূত্র :বর্ডার গার্ড বাংলাদশে]। বাংলাদেশের দক্ষিন- পশ্চিমে হাড়িয়াভাঙ্গা নদী বাংলাদেশ – ভারত এবং দক্ষিন- পূর্বে নাফ নদী বাংলাদেশ – মিয়ানমার সীমান্ত নির্দেশ করে।
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতিঃ
বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ব-দ্বীপ। বাংলাদেশের প্রায় সমগ্র অঞ্চল বিস্তীর্ণ সমভূমি।সামান্য পরিমাণে উচ্চভূমি আছে।ভূপ্রকৃতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে প্রধানত তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায়।
১) টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ
২) প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ
৩) সাম্প্রতিকালের প্লাবন সমভূমি
১। টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহঃ বাংলাদেশের দক্ষিন – পূর্ব, উত্তর, উত্তর- পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূ এ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। টারশিয়ারি যুগে হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার সময় এসব পাহাড় সৃষ্টি হয়েছে। এগুলো টারশিয়ারি যুগের পাহাড় নামে খ্যাত। পাহাড়গুলো আসামের লুসাই এবং মিয়ানমারের আরাকান পাহাড়ের সমগোত্রীয়। বেলেপাথর, শেল ও কর্দম দ্বারা গঠিত। এ পাহাড়গুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-
ক) দক্ষিন – পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
খ) উত্তর – পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহ
ক) দক্ষিন – পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহঃ রাঙ্গামাটি, বান্দরবন, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার চট্টগ্রাম জেলার পূর্বাংশ এ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। দক্ষিন -পূর্বের এ পাহাড়গুলোর গড় উচ্চতা ৬১০ মিটার। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পর্বত শৃঙ্গ বান্দরবানের তাজিনডং (বিজয়) এবং উচ্চতা ১২৩১ মিটার।কিত্তক্রাডং হলো ১২৩০ মিটার।
খ) উত্তর ও উত্তর – পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহঃ ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার উত্তরাংশ, সিলেট জেলার উত্তর ও উত্তর – পূর্বাংশ এবং মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার দক্ষিনের পাহাড়গুলোর উচ্চতা ২৪৪ মিটারের বেশিনা। উত্তরের পাহাড়গুলো স্থানীয়খাবে টিলা নামে পরিচিত। এগুলোর উচ্চতা ৩০ থেকে ৯০ মিটার।
২। প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহঃ আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলে। উত্তর – পশ্চিমাংশের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় বা উচ্চভূমি এ অঞ্চলের অন্তভুক্ত। নিচে এসব উচ্চভূমি বর্ণনা দেওয়া হলোঃ
বরেন্দ্রভূমিঃ দেশের উত্তর – পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৯৩২০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় বরেন্দ্রভূমি বিস্তৃত। প্লাবন সমভূমি হতে এর উচ্চতা ৬ থেকে ১২ মিটার। মাটি ধূসর ও লাল বর্ণের।
মধুপুর ও ভাওয়ালের গড়ঃ টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায় মধুপুর এবং ভাওয়ালের গড় গাজীপুর জেলায়। আয়তর প্রায় ৪১০৩ বর্গকিলোমিটার। সমভূমি হতে ৩০ মিটার উঁচু। মাটি লালচে ও ধূসর।
লালমাই পাহাড়ঃ কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিঃমিঃ পশ্চিমে লালমাই থেকে ময়নামতি পর্যন্ত এ পাহাড়টি বিস্তৃত। এর আয়তন প্রায় ৩৪ বর্গকিঃমিঃ এবং গড় উচ্চতা ২১ মিটার।
৩। সাম্প্রতিককালের প্লাবান সমভূমিঃ টারশিয়ারি যুগের পাহাড়সমূহ এবং প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশ নদী বিধৌত এক বিস্তীর্ণ সমভূমি। এ প্লাবন সমভূমির আয়তন প্রায় ১,২৪,২৬৬ বর্গকিলোমিটার।
১. খ) ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান ও এর ঝুঁকিসমূহ আলোচনা করুন।
উত্তরঃ
ভৌগোলিকভাবে এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান। একই সময়ে বৃহত্তর ভূ-রাজনীতির দৃষ্টিতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে বাংলাদেশ। এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশ ভৌগলিকভাবে কৌশলগত অবস্থানে পড়েছে। ভূ-রাজনীতি হচ্ছে স্থান (space) ও রাজনীতির (politics) মধ্যবর্তী সম্পর্কে বিজ্ঞান যা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সেরা ভৌগোলিক ধারণা প্রদানের প্রচেষ্টা। জাতীয় আশা-আকাক্সক্ষা থেকে এটি বেরিয়ে আসে। তথ্য ও নীতি অনুসন্ধান করে, যা জাতীয় চাহিদা পূরণ করতে কার্যকর হয়। রাষ্ট্রের পারিসরিক চাহিদা বিবেচনা করে ভূ-রাজনীতি প্রপঞ্চকটি প্রসারিত হয়। ভূ-রাজনীতির জনক Karl Hausofer স্পষ্টভাবে The Dynamic aut of Geopolitics” এ বলার চেষ্টা করেছেন যে ভূ-রাজনীতিতে স্থানকে রাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হয় (Fifield and Pearcy)।
ভূ-রাজনীতি ও বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান ও এর ঝুঁকিসমূহঃ
বাংলাদেশ তার সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই প্রতিনিয়ত কোন না কোন সমস্যা মোকাবেলা করেই চলেছে। কখনও ফারাক্কা সমস্যা, কখন সীমান্ত সমস্যা, কখনও টিপাইমুখ সমস্যা আবার কখনও বা চলছে পার্বত্য এলাকার অশান্ত পরিবেশ- এমনিভাবে অসংখ্য সমস্যা। দেশটি দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধ আর লাখ মানুষের রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভ করে কিন্তু স্বাধীনতা ছিল এক খন্ডিত ভূ-খন্ড নিয়ে। বঙ্গভঙ্গের যে বাংলা তার ৬৪ শতাংশ নিয়ে গঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান যা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ অর্থাৎ বাংলার ৩৬ শতাংশ বঞ্চিত হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম। সুতরাং বাংলাদেশ সূচনালগ্ন থেকেই বঞ্চনার শিকার আর এখন দেশটির বিরুদ্ধে চলছে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের নগ্ন থাবা। ক্ষুধার্ত হায়েনার মতো কিছু স্বার্থবাদীগোষ্ঠী এ দেশকে গ্রাস করার জন্য মেতে উঠেছে উন্মাদ হলি খেলায়। তারা পদে পদে এ দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে ভূ-লুণ্ঠিত করতে চাচ্ছে এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে। তারা আষ্টেপৃষ্ঠে খামছে ধরেছে এ দেশের লাল সবুজ পতাকাকে।
ভৌগোলিকভাবে দেশটি দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি জনবহুল দেশ। দেশটি ২০°৩৪” উত্তর হতে ২৬°৩৮” উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°১” পূর্ব ৯২°৪১” পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। যা দেশটির পরম (Absolute) অবস্থান নির্দেশ করে। অবস্থান ও ভূ-কৌশলগত কারণেই বাংলাদেশের রয়েছে বিশ্বরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার সুযোগ। বাংলাদেশ শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট ASEAN, SAARC-এর মত উদীয়মান আঞ্চলিক জোট, বর্তমান বিশ্বে আলোচিত দেশ ও Rising Country চীন-এর মত দেশ এবং দক্ষিণে বিশাল জলরাশিBay of Bengal এর মত অবস্থানিক প্রপঞ্চকের মধ্যে অবস্থিত যা তাকে বিদেশনীতি গ্রহণ থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ দিয়েছে (মানচিত্র-২)। এই সকল অবস্থানিক প্রভাব বলয়ের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি, সৎ, যোগ্য, জ্ঞানী ও জনসাধারণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার যার কোনো বিকল্প আছে বলে আমি মনে করি না। অন্য দিকে একটি রাষ্ট্রের পরম অবস্থান (অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাগত), সমুদ্র উপকূলবর্তী অবস্থান (Sea–Side Location) সামরিক কৌশলগত অবস্থান (Stratagic Location), সন্নিহিত অবস্থান (Relative Location) সুসংহত হলে সেই রাষ্ট্রের প্রভাববলয় বেড়ে যায় যা বাংলাদেশের অনুকূলে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভৌগোলিক ও ভূ-রাজনৈতিক ভিত্তি
বিশ্বব্যাপী আন্তঃনির্র্ভরশীলতার এ যুগে কোন জাতিই বিচ্ছিন্নভাবে থাকতে পারে না। প্রত্যেক রাষ্ট্রেরই একে অপরের সাথে সম্পর্ক রাখা জরুরি। সাধারণত পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা হয়। নীতি হচ্ছে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ও উদ্দেশ্য সাধনের জন্য অবলম্বিত কিছু কার্যক্রম। একটি রাষ্ট্রের জাতীয় নীতি দুই প্রকারÑ ক. অভ্যন্তরীণ নীতি খ. বৈদেশিক নীতি। সাধারণভাবে অন্য রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কযুক্ত বৈদেশিক নীতিকেই পররাষ্ট্রনীতি বলে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভৌগোলিক উপাদান
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ক্ষমতাসীন দল দ্বারা প্রভাবিত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ও পাশের ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন এমনকি পাকিস্তানের সাথে এই দু’টি দেশের সম্পর্কের ওপর। এই প্রেক্ষিতে ১৯৭২ এর পররাষ্ট্রনীতি এবং ২০১০ সালের পররাষ্ট্রনীতির একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হলো :
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ভূ-রাজনৈতিক ভিত্তি
১.অবস্থান : বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অস্থিত। পাশের দেশগুলো থেকে দূরত্ব সামরিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে এই দেশটিকে সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ স্থান দিয়েছে।
২.অবস্থানের সামরিক গুরুত্ব : বাংলাদেশের সব দিক ভারত দ্বারা বেষ্টিত। নিঃসন্দেহে এটা একটা দুর্বলতা। অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশ নাজুক হলেও এর সামরিক গুরুত্ব অপরিসীম, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমা অতিক্রম করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে ৯০ ডিগ্রি পশ্চিম দ্রাঘিমা রেখা অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করলে আশপাশের প্রায় ৪৮২৭ কিলোমিটার পর্যন্ত ধ্বংসলীলা চালানো সম্ভব হবে। এমতাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ অনেক সামরিক শক্তিধর দেশের বাংলাদেশের ওপর তীক্ষন্য দৃষ্টি রয়েছে।
৩.পানিসীমার অর্থনৈতিক গুরুত্ব : FOW এর মতে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার মহীসোপানকে “স্বর্ণখনি” বলা হয়েছে। কারণ এখানে প্রচুর পরিমাণ মৎস্য সম্পদের সম্ভাবনা রয়েছে। এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে প্রায় ৪৭৬ প্রজাতির মৎস্যসম্পদ রয়েছে যা ধরতে পারলে প্রতিবছর বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটের সমান অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
৪.পানিসীমার সামরিক গুরুত্ব : বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা একটি ত্রিভুজ আকৃতির সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণ ভারত মহাসাগর একমাত্র দিয়াগো গার্সিয়া ছাড়া এর আশপাশে আর কোনো মার্কিন সামরিক ঘাঁটি নেই। বাংলাদেশের পানিসীমার এই ত্রিভুজ এলাকার ওপর যে বৃহৎশক্তি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে সে পাশের রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় পানিসীমার ওপরও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে (মানচিত্র-৩)। এ জন্যই সেন্টমার্টিন দ্বীপটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক প্রপঞ্চক যার ওপর যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশের লুলুপ দৃষ্টি রয়েছে।
৫.দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান : আঞ্চলিক সমঝোতা, বাণিজ্য ও নিরাপত্তা প্রশ্নে এক রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এই বাস্তবতা থেকেই বাংলাদেশের নেতৃত্বে দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশ নিয়ে SAARC নামে একটি আঞ্চলিক রাষ্ট্রজোট গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে এটি একটি বড় বিজয়। এ ছাড়া ASEAN, সিয়াটো সেন্টো, BIMSTEC প্রভৃতি আঞ্চলিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক গোষ্ঠী দ্বারাও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি বহুলাংশে প্রভাবিত।
৬.বৃহৎ শক্তিবর্গের স্বার্থের দ্বন্দ্ব : স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে মতাদর্শের ক্ষেত্রে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, তা বৃহৎ শক্তিবর্গের স্বার্থের টানাপড়েনেই সৃষ্ট। স্বাধীনতাযুদ্ধের শত্রুরা আজ বাংলাদেশের মিত্র (যেমন-ইউএসএ, চীন) এবং সাহায্যকারীরা দূরে সরে গেছে। অতীতের এবং বর্তমানে সরকারগুলোর পটপরিবর্তনের ফলে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে তা বৃহৎশক্তিগুলোর সম্প্রসারণবাদী নীতিরই সৃষ্ট।
৭.খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদের অবস্থা : নদীবাহিত পললদ্বারা বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা সৃষ্ট হলেও এ দেশের একটা বৃহৎ এলাকাজুড়ে রয়েছে প্রাচীন ভূভাগ, সে সকল এলাকাগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খনিজ ও প্রাকৃতিক সম্পদ, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, ইউরেনিয়াম, মৃত্তিকা, পানিসম্পদসহ বহু প্রাকৃতিক সম্পদ। এসব সম্পদের প্রতি রয়েছে বহৎ শক্তিবর্গের শকুনি দৃষ্টি। ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বাংলাদেশ সফরের সময় মৌলভীবাজারের ইউরেনিয়াম নিয়ে মন্তব্য করতে ভুল করেননি। প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লার মতো জ্বালানি শক্তির ওপর পাশের দেশসহ বহুদেশ মন্তব্য করেই চলেছে যা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়নে প্রভাবিত করছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির পরাজয় এবং পরবর্তীতে বিশ্বব্যবস্থা সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র বলয়ে বিভক্ত হয়ে পড়ায় বিশ্ব রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নতুন মেরুকরণ শুরু হয়। নব্বই দশকের শুরুতে সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পর চীন ধীরে ধীরে বর্তমান বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নিজকে প্রস্তুত করছে। এমতাবস্থায় চীনকে যদি আগামী বিশ্বশক্তির কেন্দ্রবিন্দু বলে খ্যাত ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরের নীল জলরাশিতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে হয় তাহলে সবচেয়ে যোগ্যতম স্থান হচ্ছে বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকা তথা বাংলাদেশ কেননা এখানে চীনের সাথে আছে জনসংখ্যার মধ্যে জাতিতাত্ত্বিক মিল এবং কম দূরত্ব। এমতাবস্থায় চীন এই এলাকার ওপর প্রভাব বিস্তার করার জন্য বাংলাদেশের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র এটা কোন দিক থেকে গ্রহণ করবে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে বাংলাদেশের সরকারযন্ত্রের। সামান্য ভুলের কারণে হয়তো এই সম্ভাব্য এলাকাটি এক সময় সমগ্র জাতির জন্য দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ভারত শুধু আঞ্চলিক নয়, উদীয়মান বিশ্বশক্তি। ভারতের লক্ষ্য এখন জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্যপদ ও বিশ্বশক্তির মর্যাদা। ১২০ কোটির বিশাল জনশক্তিসহ ভারত এখন বিশ্বের তৃতীয় বা চতুর্থ বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ, বিশ্বের সর্ববৃহত্ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। একবিংশ শতাব্দীতে এসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক, পারমাণবিক ও কৌশলগত অংশীদারির সম্পর্ক স্থাপন করলেও বিংশ শতাব্দীর বিশ্বস্ত বন্ধু রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের পারদ একটুও নামেনি, যেমন ছিল সে রকমই আছে। অন্যদিকে আঞ্চলিক কর্তৃত্বের প্রতিযোগিতা ও ভূখণ্ডগত বিরোধ থাকা সত্ত্বেও চীনের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্যসহ বহুমুখী সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য ঘোষিত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতির মূল লক্ষ্য হলো এই অঞ্চলে চীনের অধিপত্য বিস্তার ঠেকিয়ে রাখা, যাতে পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক স্বার্থ হুমকির মুখে না পড়ে। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র, চীন-ভারত, যুক্তরাষ্ট্র-চীন—এই ত্রিমুখী সম্পর্কের সমীকরণে ভারত সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ঐতিহাসিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ বহুমুখী দিক রয়েছে।
চীন বাংলাদেশের নিকট-প্রতিবেশী। সহজ নীতিমালাসহ চীনের রয়েছে বিশাল বিনিয়োগ ক্ষমতা। কাছের দেশ হওয়ায় প্রযুক্তিগত সহায়তা ও বিশেষজ্ঞ খরচ পশ্চিমা যেকোনো দেশের চেয়ে অনেক কম। তা ছাড়া প্রতিবেশী হওয়ায় ধর্মান্ধ জঙ্গি দমনে ভারতের মতো চীনও বাংলাদেশকে সর্বাত্মক আন্তরিক সহযোগিতা দেবে। কারণ বাংলাদেশ উগ্র জঙ্গিবাদের শিকার হলে চীনের নিরাপত্তাও হুমকিতে পড়বে।
বাংলাদেশের ভূ-রাজনীতির অন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক মধ্যপ্রাচ্য। একে তো মুসলমানপ্রধান অঞ্চল, তা ছাড়া মুসলমানদের সর্বোচ্চ পবিত্র স্থান সৌদি আরবে অবস্থিত। বৈদেশিক মুদ্রার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎস জনশক্তি রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশ আসে মধ্যপ্রাচ্য থেকে। দেশের প্রায় ৮০ লাখ মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত আছে।
এশিয়ার অর্থনৈতিক শক্তি জাপান আমাদের স্বাধীনতা প্রাপ্তির শুরু থেকে অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। এত দিন সামরিক দিক থেকে অন্তর্মুখী থাকলেও সম্প্রতি জাপান আবার সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভেতরে পূর্ব চীন সাগরের কয়েকটি দ্বীপের মালিকানা নিয়ে চীনের সঙ্গে এর মধ্যেই জাপানের দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে। ভূ-রাজনীতির বাস্তবতায় ও সমীকরণে বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক শক্তির অন্যতম ফ্রন্টলাইন স্টেট। উপরন্তু সব সূচক বিবেচনায় বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের একটি টার্নিং পয়েন্টে দাঁড়িয়ে বিধায় খনিজ ও সমুদ্রসম্পদ আহরণ ও ১৬ কোটি মানুষের বিশাল বাজারের সুবিধা নেওয়ার জন্য বিশ্বের করপোরেট হাউসগুলোর দৃষ্টিও ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং উন্নয়ন ও নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশকে সতর্কভাবে একটা ভারসাম্যমূলক স্থানে থাকতে হবে।
বিশ্বের একমাত্র পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারির সম্পর্ক বহুমুখী। টিকফাসহ চারটি সংলাপের কাঠামো বা ফোরাম রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নতুন নীতির আওতায় চীনের বিস্তার ঠেকানোর যে কৌশল যুক্তরাষ্ট্র নিয়েছে, সেখানে কোনো একপক্ষ নয়, সব পক্ষের সঙ্গে থাকার অত্যন্ত কঠিন ভারসাম্যের নীতি রক্ষা করতে গিয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে এক ধরনের টানাপড়েন এখন লক্ষ করা যায়।
১০। টীকা লিখুনঃ
ক) ভিশন ২০২১
জাতির জনক ও বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের উন্নয়ন দর্শন ছিল অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক মুক্তি-মধ্যস্থতাকারী উন্নয়ন দর্শন, যা বিনির্মাণে নিয়ামক ভূমিকায় থাকবে জনগণ। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সমবায়কে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয়ার কথা ভাবছিলেন। আর সে কারণেই দেশকে ২০২১ সালে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দেয়ার সুস্পষ্ট অঙ্গীকার নিয়ে ঘোষণা করা হয়েছে রূপকল্প-২০২১।
দু হাজার একুশ সালে বাংলাদেশ পঞ্চাশ বছরে পা রাখবে। সুবর্ণ জয়ন্তীর এই লগ্নে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে আমরা কোন অবস্থানে দেখতে চাই, সেটাই বস্তুত ভিশন ২০২১-এর মূল কথা।
ভিশন ২০২১-এর প্রধান লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হলো নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা যেখানে চরম দারিদ্র্য সম্পূর্ণভাবে বিমোচিত হবে। সেজন্যে একগুচ্ছ সহায়ক কাজ নিশ্চিত করতে হবে। কেমন, গণতন্ত্র ও কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠা করা; ক্ষমতার বিকেন্দ্রিকরণ এবং জনপ্রতিনিধিত্বমূলক রাজনৈতিক অবকাঠামো বিনির্মাণ করা; রাজনৈতিক পক্ষপাতবিবর্জিত আইনের শাসন নিশ্চায়ক সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা; রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়ন করা; দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা ইত্যাদি।
রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের সমবায়কে কাজে লাগিয়ে ২২টি লক্ষ্য অর্জনে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে বর্তমান সরকার। ২২টি লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে- বিকাশমান অর্থনীতি, দারিদ্র্য মুক্তি, অংশীদারিত্বমূলক সহিষ্ণু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সামাজিক ন্যায়বিচার, নারীর সমঅধিকার, আইনের শাসন, মানবাধিকার, সুশাসন ও দূষণমুক্ত পরিবেশ।
রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে যে ২২টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে :
১। প্রতি গ্রামে সমবায় সমিতি গড়ে সমিতির সদস্যদের সন্তান কিংবা পোষ্যদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা। এভাবে ২০১০ সালের মধ্যে প্রথিমিক স্তরে ভর্তির হার ১০০ ভাগ নিশ্চিত করা।
২। ২০১০ সালের মধ্যে দেশের সব মানুষের জন্য নিরাপদ সুপেয় পানির ব্যবস্থ্যা করা।
৩। ২০১২ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা।
৪। ২০১৩ সালের মধ্যে প্রতিটি বাড়িকে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থার আওতায় আনা।
৫। ২০১৩ সালে বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ৮ শতাংশ। ২০১৭ সালে এই হার ১০ শতাংশে উন্নীত করে অব্যাহত রাখা।
৬। ২০১৩ সালে বিদ্যুতের সরবরাহ হবে ৭ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০১৫ সালে ৮ হাজার মেগাওয়াট। ২০২১ সাল নাগাদ দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা ২০ হাজার মেগাওয়াট ধরে নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
৭। ২০১৩ সালে পর্যায়ক্রমে স্নাতক পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
৮। ২০১৪ সালে নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
৯। ২০১৫ সালের মধ্যে সকল মানুষের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা।
১০। ২০১৫ সালে জাতীয় আয়ের বর্তমান হিস্যা কৃষিতে ২২ শিল্পে ২৮ ও সেবাতে ৫০ শতাংশের পরিবর্তে হবে যথাক্রমে ১৫, ৪০ এবং ৪৫ শতাংশ করা।
১১। ২০২১ সালে বেকারত্বের হার বর্তমান ৪০ থেকে ১৫ শতাংশে নেমে আসবে।
১২। ২০২১ সালে কৃষি খাতে শ্রমশক্তি ৪৮ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়াবে ৩০ শতাংশে।
১৩। ২০১১ সালে শিল্পে শ্রমশক্তি ১৬ থেকে ২৫ শতাংশে এবং সেবা খাতে ৩৬ থেকে ৪৫ শতাংশে উন্নীত হবে।
১৪। ২০২১ সাল নাগাদ বর্তমান দারিদ্র্যের হার ৪৫ থেকে ১৫ শতাংশে নামবে।
১৫। ২০২১ সালে তথ্য প্রযুক্তিতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে বাংলাদেশ পরিচিতি লাভ করবে।
১৬। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৮৫ শতাংশ নগরিকের মানসম্পন্ন পুষ্টি চাহিদা পূরণ নিশ্চিত হবে।
১৭। ২০২১ সালের মধ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য প্রতিদিন নূন্যতম ২১২২ কিলোক্যালরির উপর খাদ্য নিশ্চিত করা হবে।
১৮। ২০২১ সালের মধ্যে সকল প্রকার সংক্রামক ব্যাধি সম্পূর্ণ নির্মূল করা।
১৯। ২০২১ সালে গড় আয়ুষ্কাল ৭০ এর কোঠায় উন্নীত করা।
২০। ২০২১ সালে শিশু মৃত্যুর হার বর্তমান হাজারে ৫৪ থেকে কমিয়ে ১৫ করা।
২১। ২০২১ সালে মাতৃমৃত্যুর হার ৩.৮ থেকে কমে ১.৫ শতাংশ হবে।
২২। ২০২১ সালে প্রজনন নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারের হার ৮০ শতাংশে উন্নীত করা। এই ২২টি লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন সম্ভব হলে সত্যিকার অর্থে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
সম্পূর্ণ সমাধানের কাজ চলছে…… আমাদের সাথেই থাকুন……
See/download 40th BCS Bangladesh Affairs Written Question 2020 from below images:
বিষয়ঃ ইংরেজি
১. Answer the following questions in your own words without copying any sentences from the passage above:
a) What is the passage about?
b) Why has Bangladesh been the subject of global concern?
c) Describe the correction between child labour and poverty?
d) Why do the destitute families choose to send their children to work?
e) What do you understand by intergenerational transfer of Property?
f) Why are many children forced to give up their studies?
g) Why don’t most parents object to their children’s going to work?
h) Why is it impracticable to try to approve child labour from Bangladesh completely at the moment?
i) Which step do you consider the most important for reducing child labour?
j) Give a suitable title to the passage?
Try Yourself
২. Write the meaning of the following words/expressions in English using contextual clause (The words are underlined in the passage)
a) Tribulation = cause of great trouble or suffering
b) Chore = a routine task, especially a household work.
c) Dismal = sad and without hope works conditions
d) Make both ends meet = to manage to keep one’s expenses within one’s income
e) Pitfall = a hidden or unsuspected danger or difficulty
৩. Fill in the table by putting words in the empty cells according to their parts of speech:
Noun——————-Verb——————————Adjective
Consumption ——- consume …………………….. x
necessity—————– x …………………….Necessary
Inclination……………… x ………………………….. inclined
Decrease ………………….. Decrease ……………………… x
………………..X………… urbanize ………………………….. urban
৪. Give an antonym for each of the following words and make sentences with the antonyms
a) Poverty = abundance =The growth of industry promised wealth and abundance in Bangladesh.
b) strenuous = Easy= I like her easy and agreeable manner.
c) destitute = Rich= He comes from a a rich and famous family.
d) severe = Minor = Marzia requested a number of minor alterations.
e) bane = Benefit = Enjoy the benefits of being a good human.
৫. Make sentence with the below words or phrase.
a) pernicious = There are some pernicious influences of the mass media.
b) stanchion = If this stanchion is removed, the stairs will collapse.
c) Subsume = Most of these phenomena can be subsumed under two broad categories
d) Blight = The vacant properties are a blight on the neighbourhood.
e) inclination = Monir was a scientist by training and inclination
f) drudgery =Please Clean the drudgery for the sake of environment.
g) subject to = The proposed merger is subject to the approval of the shareholders
h) fall short of = The results fell short of recently.
i) vulnerable to = Environment pollution is vulnerable to health.
j) on the contrary =He hates me on the contrary I like him.
৬. Summarize the passage in your own words (within 100 words)
Try Yourself
৭. Write a letter to the editor of an English daily highlighting The gruesome aspects of child labour and the urgency to stop it.
Try Yourself
৮. Write an essay in about 1000 words on any one of the following topics
a) Literature and Society
b) Democracy and good governance
Democracy cannot flourish in the absence of good governance. The pre-condition for good governance is effective democratic institutions for democratizing the society. Improvement of the living standard of people cannot happen where people cannot participate in governance, human rights are not respected, information does not flow, and civil society and the judiciary are weak. Nine criteria of to be referred as the Nine I’s of good governance or Nine ‘I’ model of good governance. In the absence of these Nine I’s good governance in Bangladesh like any other country will be a far cry. These components constitute the foundations of modern democracy and create the underpinning to establish free economy and spur domestic and foreign investment, specially the potential investment of the Non Resident Bangladeshis ( NRB’s) particularly in the case of Bangladesh.
It is not true that only elections lead to a democracy. Democracy should be home work (Manifesto) of the political parties where they ought to outline their ideas and concept of democracy they want to offer to the citizens in lieu of their votes. The political parties should make it vividly transparent as to how and when they will apply their policies for establishing a democratic society ensuring parity, rule of law, equitable distribution of wealth, social justice, freedom of speech and thought if voted to power. The political philosophy and the commitment of the political parties should be expressed in the form of party manifesto much ahead of elections for empowering the voters so that they can make good governance may be used to determine whether any country qualifies to have good governance are:
1. INDEPENDENT AND NON PARTISAN ELECTION COMMISSION
2. INDEPENDENT JUDICIARY AND THE RULE OF LAW
3. INDEPENDENT MEDIA AND FREEDOM OF SPEECH
4. INDEPENDENT ANTI-CORRUPTION COMMISSION
5. INVESTING IN THE PEOPLE
6. INDEPENDENT AND EFFECTIVE PARLIAMENT
7. INDEPENDENT HUMAN RIGHTS COMMISSION
8. INDEPENDENT OMBUDSMAN SYSTEM
9. INVESTMENT FRIENDLY GOVERNMENT.
I would propose these Nine components informed decisions before casting their votes during the elections. In Bangladesh, unfortunately the practice of presenting the manifesto of the political parties are not transparent and as such it may be stated that political commitment of the parties to the people is also not transparent which gives the parties a space to shift form their commitments and promise after the election.
Sound policies and their execution are essential pre-condition of development. Good Governance necessarily means govern justly, invest in the people, and encourages private economic enterprise.
Bangladesh is yet to promote principles of good governance, and initiative of our civil society reinforces the need for good governance. Through cooperative ventures of our parliament, judiciary, executive organ of the state along with the civil society it is possible to enact policies and design the governance so that human dignity and freedom are allowed to flourish. Some of the principles of good governance date back to the time of ancient Greece . Others are principles developed in more recent years, or lessons learned from our own history and that of other democracy practicing societies. Broadly speaking, good governance promotes fundamental and universal human rights. As per constitution of Bangladesh , the political power lies with the people (Article 7). Principles of good governance allow people to pursue their lives in a just, equitable and democratic society. Countries like Bangladesh need the tools to educate their citizens to take part in the opportunities offered by the global economy. We need to do hard work to eradicate corruption.
Perhaps the most basic and important principle of good governance is that a nation’s political institutions be democratic. In the words of Abraham Lincoln, democracy is a form of government “of the people, by the people, and for the people.” This means that the rights and principles of democratic government can and should be universally applied. They are not a uniquely American invention. The right of every person to speak freely about his government is a basic human right to overcome bad governance even by a elected government by the party, for the politician and nothing for the people. The right of any citizens to express his opinion about his government is one that is supported by the doctrine “Rule by the Ruled” as has been recognized by nations all over the world. Now let us examine the Nine I’s of Good governance
INDEPENDENT AND NON PARTISAN ELECTION COMMISSION
Independent and Non Partisan Election Commission is a precondition for free & fair participative elections to elect public representative to the parliament. Elections, however, are not the only cornerstone to democracy. Accountable leadership and fulfillment of the will of the people are essential to ensuring that elections are a means to a democratic society, not an end in themselves. It is critical that a nation’s elections be free and fair in level plane ground. This means that every citizen have a equal access and opportunity to compete to become public representative. Voters have a choice among candidates and that they have a right to information concerning those candidates’ background.
Free and fair elections are open and transparent to all people without discrimination based on sex, religion, or race. Such elections are not restricted by government interference and coercion by money and muscle. The right to free and fair elections should be guaranteed by independent nonpartisan election commission having appropriate capabilities and skill to deliver honest acceptable elections. And such elected government can only be held accountable to their citizens. Voters should be able to participate freely in the political process, whether through political parties or independent candidates.
INDEPENDENT JUDICIARY AND THE RULE OF LAW
Another criterion of good governance is independent judiciary, important for preserving the rule of law. It is very essential to have a strong judiciary and courts to ensure that a nation’s laws are enforced constantly and fairly. All organs of government must be law abiding. The rule of law also is the basis for the formation of business enterprises and the establishment of a free market, which underpin economic development. Citizens or their elected representatives should be involved in all levels of lawmaking including the local government.
Another characteristic of good governance is the presence of constitutional limits on the political power. Such limits include transparent, creditable, periodic elections, guarantees of Fundamental Rights, guarantees of Human Rights by a independent judiciary, which allows citizens to seek protection of their rights and redress against government actions. These limit help make government departments accountable to each other and to the people. Accountability is another characteristic that is considered globally for the eligibility when determining whether a country practices good governance.
Not only should the law be enforced, but it should also be enforced fairly and without any sort of discrimination. Good governance means equal protection for all without any discrimination of sex, cast, creeds, and race. An open and easy access to judicial and administrative systems. A nation’s courts should not be open to only a select few. Government agencies should allow appeals of regulations as well as citizen participation in their decision-making process, and citizens should be granted access to these bodies in a timely and easy manner. Governments also have a duty to protect their citizens from criminal violence, especially the practice of trafficking of persons. Women, girls and children are most vulnerable to this illegal trade, which can only be stopped by diligent law enforcement. Respect for the Citizens & rights’ relating to personal privacy is a far cry in a weak democracy like Bangladesh .
INDEPENDENT MEDIA AND FREEDOM OF SPEECH
To function properly, a democratic society must ensure free exchange of information and ideas. This is best realized in the creation of a free and open media and the freedoms of speech and expression. A free and independent media provides voters with the information they need to make informed decisions. It facilitates the exchange of political discourse, creating an “open place for ideas” where no view is neglected and the best are chosen. Free Media can also serve as a check on government power ensuring that bureaucracy, public officials and government departments remain accountable to the voters. The media’s ability to report on trade and industry and the economy is also important for preserving public trust in the free economy and for attracting domestic and foreign investment including the potential investment of the NRB’s. The right of the free media to publish, to editorialize, to criticize, and to inform is a fundamental principle of democracy.
INDEPENDENT ANTI-CORRUPTION COMMISSION
Good governance also means combating corruptions, and countries can not be considered having good governance, if they are corrupt. To preserve the integrity of democracy, governments must strive to rid themselves of corruptions and bribery. Corruption destroys economic foundations, impedes the ability of developing countries to attract foreign investment. Corruption hinders the growth of democratic institutions, and concentrates power in the hands of a few having money and muscle. The best way to combat corruption is for governments to be open and transparent. Official Secrecy Act must not be abused. While in certain cases governments have a responsibility to retain secrecy and confidentiality regarding national security and alike issues. Strong laws against corruption, application of such laws and the actions of law enforcement agencies that work against corruption demonstrate a government’s commitment to this principle.
INVESTING IN THE PEOPLE
Good governance requires that governments invest in their people and work to preserve the welfare of their citizens, without regard to gender, race or religion. Governments should invest in health care, nutrition, housing, education, and poverty elevation. They should ensure an economic environment where people can find jobs and establish business enterprises. Along with other measures, a government’s ability to provide job and a high standard of living for its people is considered by the democratic world in determining governmental effectiveness. The importance of the other Four – I’s i.e., Independent and Effective Parliament, Independent Human Rights Commission, Independent Ombudsman System, Investment Friendly Government could not be discussed here due to limitations of space which I have intention to discuss later in some other articles of mine.
CONCLUSION
Only practicing these components (Nine- I’s) of good governance results in a democratic society where people can pursue their hopes and aspirations. This will facilitate the creation of free markets, which are trusted by investors and financial institutions. Good governance is a pre-condition for any economic development. Development cannot flourish where people cannot participate in governance, human rights are not respected, information does not flow, and civil society and the judiciary are weak. UNDP and the World Bank, among others, have come to realize that development assistance that focuses only on economic governance at the expense of democratic governance fails. The proof is that, 42 of the 49 high human development countries on the UN Development Index are democracies (UNDP source). With few exceptions, all of the world’s richest countries have the world’s most democratic governance.
The fundamental rights and the standard of living of Bangladeshi citizens will be enhanced through good governance. But one has to remember the rule that no good governance – no democracy. Governments that govern rationally with the commitment of good governance become democratic and get support for their reform efforts from their people as well as from the democratic world.
c) Corruption: the Invincible monster
৯. Translate the following text into Bangla:
Of all the amusement which can possible be imagined for a hard-working man, after his day’s toil, there is nothing like reading an entertaining book. It calls for no bodily exertion of which he has had enough. It relieves his home of its dullness. It transports him to lovelier and more interesting scenes, and while he enjoys these, he may forget the evils of the present moment. Nay, it accompanies him to his day’s work, and if the book he has been reading be anything above the very idlest and lightest, it gives him something to think about during the drudgery of his everyday occupation. If I were to pray for a taste which should stand me in good stead under every variety of circumstances and be a source of happiness and cheerfulness through life, it would be a taste for reading. Give a man this taste and the mean of gratifying it, and you will never fail to make him happy, unless indeed you put into his hands the most perverse selection of books. You place him with the best society in every period of history, with the wisest, the wittiest, the tenderest, the bravest and the purest characters which have adorned humanity. You make him a citizen of all nations- a contemporary of all ages.
একজন কঠোর পরিশ্রমী মানুষের সারাদিনের পরিশ্রমের পরে যতগুলো বিনোদন নিতে পারে তারমধ্যে বিনোদনের বইপড়ার মত কোনটিই নয়। এতে শারীরিক পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই যার জন্য তিনি যথেষ্ট পরিমাণে ব্যয় করেছেন।
১০. Translate the following text into English
মানুষের জীবন কতগুলো ঘটনা সংকলন তবে এসব ঘটনায় স্মরণীয় হয় না সে ঘটনা স্মৃতির পাতায় সোনার অক্ষরে লেখা হয়ে যায় তাই স্মরণীয় বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে গৌরবময় স্মরণীয় ঘটনা এদেশের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা লাভ করেছি স্বাধীন দেশ নিজস্ব পতাকা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলার কৃষক শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণ বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার পরিণতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ডিসেম্বর জাতীয় অর্জন করে চূড়ান্ত বিজয় বিশ্বের মানচিত্রে একটি রাষ্ট্র যার নাম স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম জাদুঘর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জাদুঘরের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বাহি নানান স্মার্ট মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কার্যক্রমের অংশ হিসেবে একটি গাড়িকে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরের রূপ দেয়া হয়েছে এভাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অমর হয়ে থাকবে দেশের মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা।
Ans:
Human life is several collection of phenomenon. But All incidents are not memorable.it is memorable which was written by gold letters on the page of memory.Liberation War in this country is the most glorious and unforgettable event for Bangladeshi people.we have achieved an independent country and our own flag through this War.people of all classes jumped into the armed war against brutal Pakistany armed force including Bangalee students-youth,Farmers-workers on the 26 March in 1971.As the consequences,Nations have achieved an ultimate victory on the 16 December in 1971.And a country was established with glitters on the World Map which is nothing but an independent sovereign Bangladesh.The first liberation based Museum is “Muktijoddho Jadughor” which is reaching the youth generation with our glorious history of struggling of Liberation War.Museum gallaries arranged with based on the history and values of Liberation War.Each gallary contains specially various memorandum of Liberation War.As the part of activities of liberation War, a Car has been shaped knock-about Museum.In this way,The glorious collection of Liberation War in this country will be immortalised from generation to generation.
See/download 40th BCS Written Question 2020 from below images:
বিষয়ঃ ইংরেজি
Courtesy: To all authorities from where documents are collected
N.B: Generally we try to update any news. For any Change, reform and republished of any news we are not responsible.
For more update stay with our website jobstestbd.com
40th BCS Written Question Solution 2020:
40th BCS Written Question Solution 2020 has been published has published. BPSC has published some news on various categorizes post. BPSC is one of the largest Government sector in Bangladesh.BPSC has published a huge job circular by the Authority. All information regarding the appointment of BPSC are given on our website jobstestbd.com. We Publish all Jobs Circular Every day, Such as Government Jobs in Bangladesh, Bank Jobs in Bangladesh, Private Jobs in Bangladesh, International NGO in Bangladesh, Private Company in Bangladesh, Private University Jobs in Bangladesh. Bank Jobs Results, Government Jobs Results, Government University Jobs result in Bangladesh and all Part time Jobs in Bangladesh and other educational support are available here in our website. We provide different types of job information with also provide some effective information or resource and job tips which helps to get job easily. We trust that our distributing data helps the activity searchers who are finding a superior employment. We likewise share slanting assets for learner uniquely who is re expanding their insight. Our principle target turns into a trusty occupations round site in Bangladesh by distributing a genuine refresh that enables the joblessness to individuals. All the jobs of this website is not for the unemployed people but also employed people too. All type of suggestions, question solutions of different competitive exam are available here. We provide all type of educational support in our website jobstestbd.com. So everyday tune with our website for all kinds of educational support. Please like our facebook page jobstestbd.com.
Contact Us:
If you want to give advertisement in our website for any product of your organization please contact with us by following Address.
Inbox to Facebook: jobstestbd.com
Email at : jobstestbd.com@gmail.com
Contact No.: 01720403750
Mirpur 1, Dhaka, Bangladesh.